জায়ান্ট পান্ডার যমজ শাবক

জায়ান্ট পান্ডা মেই শিয়াং। গত ১১ আগস্ট তোলা ছবি l ইপিএ
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, একটি বাচ্চা জন্মাবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল জুর বিখ্যাত জায়ান্ট পান্ডা মেই শিয়াং গত শনিবার যমজ সন্তান প্রসব করেছে। এতে সবাই একই সঙ্গে বিস্মিত ও আনন্দিত। খবর এএফপির। প্রথম বাচ্চাটির জন্ম হয় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে। দ্বিতীয়টি রাত ১০টা ৭ মিনিটে। লোমহীন গোলাপি রঙের শাবক দুটি আকারে বড়সড় ইঁদুরের প্রায় সমান। চিড়িয়াখানাটির পরিচালক ডেনিস কেলি বলেন, মেই শিয়াংয়ের প্রসবে তাঁরা চমৎকৃত হয়েছেন। অত্যন্ত ছোট হওয়ায় বাচ্চা দুটির অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাঁরা জানেন, মা হিসেবে মেই অত্যন্ত যত্নবান।
বন্দী অবস্থায় জায়ান্ট পান্ডার স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হয়। তাই প্রাণী সংরক্ষণবিদেরা কৃত্রিম উপায়ে গত এপ্রিলে মেই শিয়াংয়ের গর্ভসঞ্চার করেন। এ জন্য চীনের জায়ান্ট পান্ডা হুই হুইয়ের হিমায়িত বীর্য ব্যবহার করা হয়। হুই হুই চীনের সিচুয়ান প্রদেশের জায়ান্ট পান্ডা সংরক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের বাসিন্দা। একই উদ্দেশ্যে মেই শিয়াংয়ের শরীরে স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল জুর আরেক পান্ডা তিয়ান তিয়ানের তাজা বীর্যও প্রয়োগ করা হয়। এখন নবজাতক যমজ বাচ্চার পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। মেই শিয়াং ২০০৫ সালে একটি বাচ্চা প্রসব করে। সেটিকে চীনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেইয়ের আরেক সন্তানের নাম বাও বাও, থাকে মায়ের সঙ্গেই। ২০১৩ সালে মেইয়ের একটি বাচ্চা জন্মানোর পরপরই মারা যায়। আরেকটি বাচ্চা ২০১২ সালে জন্মের পর মাত্র ছয় দিন বেঁচে ছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড জানায়, বিশ্বজুড়ে বুনো পান্ডার সংখ্যা বর্তমানে দুই হাজারের কম। আবাস নষ্ট হওয়ার কারণেই এরা বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। এই প্রাণীর খাবার বাঁশ। আর কোনো কিছুই এরা সাধারণত খায় না। কয়েকটি দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় পান্ডা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.