‘জলাবদ্ধ’ চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিলেন নাছির
ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন |
নগর
ভবনে মেয়র যখন প্রবেশ করছেন, তখন বাইরে তুমুল বৃষ্টি। ডুবে আছে চট্টগ্রাম
নগরের বড় একটি এলাকা। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও বা
কোমরসমান। সড়কে পানি ঠেলে চলছে মানুষ। আর নগর ভবনের দরজায় ছাতা হাতে
দাঁড়িয়ে ছিলেন কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীরা। গাড়ি থেকে নামার পর মেয়রের মাথার
ওপর ছাতা ধরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো ভবনের ভেতরে।
নির্বাচিত হওয়ার প্রায় তিন মাস পর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিতে গতকাল রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আন্দরকিল্লার নগর ভবনে আসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন তিনি।
নগর ভবনে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন করা হবে। প্রথম বছর কিছু এলাকায় এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বছরেও কোন কোন এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত করা হবে, তা ঠিক করে কাজ করা হবে। পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে নগরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন নয়, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। কেননা যাঁদের দিয়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করব ও উন্নত করতে যাব, তাঁদের যদি বেহাল অবস্থা হয়, তাহলে পরিকল্পনা প্রণয়ন করব কীভাবে। আর পরিকল্পনা গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না। তাই সবার আগে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।’
করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘এ বিভাগ টোটালি কলাপসড (সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে) করছে। এখানে কোনো সেবা নেই। এই খাতে প্রচুর টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। এতে নাগরিকেরা উপকৃত না হয়ে যদি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপকৃত হন, তাহলে এই বিভাগ চালু রাখা হবে কি না, প্রয়োজনে তা ভেবে দেখা হবে।’
সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামের পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইসহাক মিয়া, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, সচিব রশিদ আহমদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন প্রমুখ।
মেয়র জানান, করপোরেশনের দেনার পরিমাণ ২৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এটি পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর ও করপোরেশনের স্বার্থে গঠনমূলককাজ ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবেন। ভুল হলে নির্দ্বিধায় আমার কাছে উপস্থাপন করবেন। আমি শুধরে নেব।’ প্রতি তিন মাস পরপর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথাও জানান তিনি। মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আল কাদেরী। এরপর করপোরেশনের সব বিভাগ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
নির্বাচিত হওয়ার প্রায় তিন মাস পর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিতে গতকাল রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আন্দরকিল্লার নগর ভবনে আসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন তিনি।
নগর ভবনে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন করা হবে। প্রথম বছর কিছু এলাকায় এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বছরেও কোন কোন এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত করা হবে, তা ঠিক করে কাজ করা হবে। পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে নগরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন নয়, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। কেননা যাঁদের দিয়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করব ও উন্নত করতে যাব, তাঁদের যদি বেহাল অবস্থা হয়, তাহলে পরিকল্পনা প্রণয়ন করব কীভাবে। আর পরিকল্পনা গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না। তাই সবার আগে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।’
করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘এ বিভাগ টোটালি কলাপসড (সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে) করছে। এখানে কোনো সেবা নেই। এই খাতে প্রচুর টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। এতে নাগরিকেরা উপকৃত না হয়ে যদি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপকৃত হন, তাহলে এই বিভাগ চালু রাখা হবে কি না, প্রয়োজনে তা ভেবে দেখা হবে।’
সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামের পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইসহাক মিয়া, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, সচিব রশিদ আহমদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন প্রমুখ।
মেয়র জানান, করপোরেশনের দেনার পরিমাণ ২৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এটি পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর ও করপোরেশনের স্বার্থে গঠনমূলককাজ ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবেন। ভুল হলে নির্দ্বিধায় আমার কাছে উপস্থাপন করবেন। আমি শুধরে নেব।’ প্রতি তিন মাস পরপর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথাও জানান তিনি। মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আল কাদেরী। এরপর করপোরেশনের সব বিভাগ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
No comments