লালমনিরহাটে দোকানদার হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লালমনিরহাট সদর উপজেলার সিন্দুরমতি বাজারে মুদি দোকানদার তাজুল ইসলামকে (২১) কুপিয়ে হত্যা এবং তাঁর চার ভাইকে আহত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত তাজুল ইসলামের বাবা লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর মণ্ডলপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদ মণ্ডল।
মামলায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম (মো. লিটন মণ্ডল), তাঁর বড় ভাই লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক নাজমুল হুদা (লিমন), একই ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের যুবলীগকর্মী এরশাদুল হকসহ (২৮) আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১৪ জনের নাম পরিচয় উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের আগে শুক্রবার রাতে নজরুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও এরশাদুল হককে আটক করা হয়। নাজমুল হুদা ও নজরুল ইসলাম পুলিশ পাহারায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরশাদুল হককে গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে তাজুল ইসলামের লাশ শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার রাতে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে উত্তর মণ্ডলপাড়া গ্রামের কবরস্থানে রাত সাড়ে আটটায় দাফন করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজমুল হুদা সিন্দুরমতি বাজারের দোকানে এসে আরিফুল ও ফারুকের কাছে বাকিতে এক প্যাকেট সিগারেট চান। আগের বাকির টাকা না দিলে নতুন করে বাকি দেওয়া হবে না বলে জানালে নাজমুল-আরিফুলকে চড় মারেন ও বাজারে দোকান করতে চাইলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।
শুক্রবার বিকেলে নাজমুল হুদা ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন ওই মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ সময় তাজুল ইসলাম ও তাঁর চার ভাই গুরুতর আহত হন। তাঁদের সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার গভীর রাতে তাজুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অপর চারজন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।

No comments

Powered by Blogger.