সাতক্ষীরার ২৫ গ্রাম জলাবদ্ধ দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী
এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানিতে তালা উপজেলার ২৫টি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ছোট-বড় শতাধিক চিংড়িঘের। পানি ঢুকেছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
কপোতাক্ষ নদের কাছিকাটা থেকে পাখিমারা পর্যন্ত নদ খনন না হওয়ায় এ অবস্থা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পাঁচ দিনে উপজেলার দক্ষিণ সারসা, ওমরপুর, উত্তর সারসা, রাঢ়ীপাড়া, ভবানীপুর, ঘোনাসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই হাজার পরিবার।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচতলায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, কৃষি কার্যালয় ও কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উপজেলা দারিদ্র্যবিমোচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকেছে।
কার্যালয়ের ভেতরেই গোড়ালির ওপরে পানি। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর (এলজিইডি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টার এলাকা জলাবদ্ধ।
ধানদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁর ইউনিয়নের দক্ষিণ সারসা, ওমরপুর, উত্তর সারসাসহ সাতটি গ্রামের রাস্তা ডুবে গেছে। অনেক বাড়িতে হাঁটু সমান পানি জমেছে।
এলাকার আড়াই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় বসবাস করছে। ডুবে গেছে ছোট-বড় শতাধিক চিংড়িঘের।
জালালপুর ইউপির চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক বলেন, তাঁর এলাকায় কানাইদিয়া, চরকানাইদিয়া, কৃষ্ণকাটি, জেঠুয়া, বিলডাঙ্গা, আঠুলিয়া ও সাতপাখিয়া গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় বসবাস করছে। তিনি শনিবার থেকে স্থানীয় লোকজন নিয়ে এক্সকাভেটরের (খননযন্ত্র) মাধ্যমে নদীর পাড় উঁচু করার কাজ করছেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার তিনি রাঢ়ীপাড়া এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছেন ওই গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী।
রাঢ়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভেতরে পানি ঢুকছে। কপোতাক্ষ নদ খনন না হওয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকছে।
ইউএনও জানান, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছেন। পানিনিষ্কাশনের জন্য নতুন করে চ্যানেল (খাল খনন) খনন না করলে এই পানি নিষ্কাশন করা যাবে না।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, পাউবো অপরিকল্পিতভাবে কপোতাক্ষ নদ খনন করছে। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। পরিকল্পিতভাবে নদ খনন হলে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না।
এতে দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ছোট-বড় শতাধিক চিংড়িঘের। পানি ঢুকেছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
কপোতাক্ষ নদের কাছিকাটা থেকে পাখিমারা পর্যন্ত নদ খনন না হওয়ায় এ অবস্থা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পাঁচ দিনে উপজেলার দক্ষিণ সারসা, ওমরপুর, উত্তর সারসা, রাঢ়ীপাড়া, ভবানীপুর, ঘোনাসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই হাজার পরিবার।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচতলায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, কৃষি কার্যালয় ও কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উপজেলা দারিদ্র্যবিমোচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকেছে।
কার্যালয়ের ভেতরেই গোড়ালির ওপরে পানি। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর (এলজিইডি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টার এলাকা জলাবদ্ধ।
ধানদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁর ইউনিয়নের দক্ষিণ সারসা, ওমরপুর, উত্তর সারসাসহ সাতটি গ্রামের রাস্তা ডুবে গেছে। অনেক বাড়িতে হাঁটু সমান পানি জমেছে।
এলাকার আড়াই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় বসবাস করছে। ডুবে গেছে ছোট-বড় শতাধিক চিংড়িঘের।
জালালপুর ইউপির চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক বলেন, তাঁর এলাকায় কানাইদিয়া, চরকানাইদিয়া, কৃষ্ণকাটি, জেঠুয়া, বিলডাঙ্গা, আঠুলিয়া ও সাতপাখিয়া গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় বসবাস করছে। তিনি শনিবার থেকে স্থানীয় লোকজন নিয়ে এক্সকাভেটরের (খননযন্ত্র) মাধ্যমে নদীর পাড় উঁচু করার কাজ করছেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার তিনি রাঢ়ীপাড়া এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছেন ওই গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী।
রাঢ়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভেতরে পানি ঢুকছে। কপোতাক্ষ নদ খনন না হওয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকছে।
ইউএনও জানান, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছেন। পানিনিষ্কাশনের জন্য নতুন করে চ্যানেল (খাল খনন) খনন না করলে এই পানি নিষ্কাশন করা যাবে না।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, পাউবো অপরিকল্পিতভাবে কপোতাক্ষ নদ খনন করছে। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। পরিকল্পিতভাবে নদ খনন হলে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না।
No comments