ভারতীয় স্কুলে জাপানি ভাষাশিক্ষা চান মোদি

‘২১ শতাব্দী হবে এশিয়ার শতাব্দী, বিশ্ব এটি স্বীকার করে নিয়েছে, কিন্তু আমাদের এটি জিজ্ঞেস করা উচিত, আমরা কি নিজেদের এর জন্য প্রস্তুত করেছি।’ সোমবার জাপানের তাইমেই এলিমেন্টারি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেয়া এক ভাষণে এ আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩৬ বছরের পুরনো এই স্কুলটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এ সময় ভারত ও জাপানের মধ্যে ভাষার সখ্য গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন মোদি। এ লক্ষ্যে ভারতে এসে জাপানি ভাষাশিক্ষা দিতে জাপানি শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাফতরিক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা মোদির ভাষণের টুইটে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের স্কুলগুলোতে জাপানি ভাষাশিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছি।
এ জন্য আমাদের শিক্ষক দরকার। আমি আপনাদের সবাইকে ভারতে এসে শিক্ষা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ এশিয়ার দেশগুলোতে শিক্ষার আরও প্রসার ঘটানো দরকার বলে মন্তব্য করেন মোদি। বর্তমানে পাঁচ দিনের সফরে জাপানে রয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তিনি জাপানের প্রাচীন শহর কিয়াটোতে পৌঁছলে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তাকে স্বাগত জানান। রোববার মোদি কিয়াটোর বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দির তোজি ও কিনকাকু-জি পরিদর্শন করেন। পিটিআই। বিনা বিচারে বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে ভারত : বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে আটক আছেন অধিকাংশ কারাবন্দি। বিচারের অপেক্ষায় সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদেও জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। বছরের পর বছর ধরে চলমান মামলাগুলোর আসামিদের এবার মুক্তির ব্যবস্থা করছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সোমবার আলোচনায় বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
ভারতের বিচারিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে বন্দিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে বিচার হলে যে শাস্তি হতো, তার চেয়ে বেশি সময় কারাগারে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, বিচারাধীন ব্যক্তিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে আইনগত কোনো জটিলতা নেই। বন্দিদের মুক্তি দিতে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরে কোনো সংশোধনীও আনার প্রয়োজন নেই। বিচারাধীন ব্যক্তিদের মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য বিশেষ একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দোষ প্রমাণ হলে যে সাজা হতো, এর অর্ধেকের বেশি সময় ধরে কেউ যদি বিচারের অপেক্ষায় কারাবন্দি থাকেন, তাহলে সিআরপিসি ৪৩৬ এ ধারায় তাদের মুক্তি দিতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.