১৯১৪ থেকে ২০১৪: অধরা বিশ্বশান্তি by এম সাখাওয়াত হোসেন

প্রায় দুই সপ্তাহ কাটিয়েছিলাম একসময়ের পূর্ব ইউরোপে। জার্মানির শহর মিউনিখ হয়ে চেক, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, পোল্যাল্ড, হাঙ্গেরি আর অস্ট্রিয়া হয়ে দেশে ফিরেছি। এসব দেশের পুরোটাই স্থলপথে ভ্রমণ করেছি। উদ্দেশ্য যাই থাকুক, দেখার বিষয় ছিল এ কয়টি দেশ তথাকথিত সোশ্যালিস্ট ক্যাম্প থেকে ধনতান্ত্রিক ক্যাম্পে আসার পর কেমন আছে, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার পর।
অস্ট্রিয়া অবশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ১০ বছরের মাথায়ই মোটামুটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে উভয় ক্যাম্প থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল। এসব দেশের কিছু কিছু সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল যে এই পরিবর্তন তাদের অর্থনৈতিক ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক। যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় এবং ভিসা প্রথা না থাকার কারণে চলাচলের স্বাধীনতা উপভোগ করে আসছে এসব দেশের মানুষ। তবে সব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি একই মাপে হয়েছে, তা বলা যাবে না। এ কয়টি দেশের মধ্যে পোল্যান্ডের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। স্মরণযোগ্য যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডের শহরগুলো যেভাবে ধ্বংস হয়েছিল, সে রকম হয়তো ইউরোপে কমই হয়েছিল। রাজধানী ওয়ারসসহ অন্য শহরগুলো ৮৫ শতাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ৭০ বছর পর পোল্যান্ডের কোনো শহর দেখে তা বোঝার উপায় নেই।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা নাৎসি দখলমুক্ত হয়ে চার শক্তির তত্ত্বাবধানে ছিল ১০ বছর। ভিয়েনায় অবস্থানকালে একটি টিভি চ্যানেলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি থেকে যুদ্ধের সময়কাল ১৯১৪-১৯১৮ পর্যন্ত তথ্যচিত্র প্রতিদিন দেখেছি। জানতে পারলাম ব্রিটেনসহ ইইউ দেশগুলো, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আগামী জুলাই ২৮ থেকে নভেম্বর ১১, ২০১৮ পর্যন্ত এই চার বছর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু এবং শেষ হওয়ার সময় পর্যন্ত উদ্‌যাপন করার সিদ্ধান্তের পর থেকে এ অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য বিস্তারের শেষ শিকার বলকান অঞ্চল, যার মধ্যে ছিল সার্বিয়াধীন বসনিয়া-হার্জেগোবিনা-সারায়েভো দখল ও বিদ্রোহ; বসনিয়া-হার্জেগোবিনার রাজধানী সারায়েভোর জাতীয়তাবাদী সংগঠন ম্লাডা বসনার ( MLADA BOSNA) ছয়জন আততায়ী, যার মধ্যে একজন গ্যাব্রিয়ালো প্রিন্সেপ গুলি করে হত্যা করেছিলেন অস্ট্রো-হাঙ্গেরির যুবরাজ আর্চ ডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্ডিনান্ড ও তাঁর স্ত্রী সোফিকে।
জাতীয়তাবাদী এই দলটিতে মুসলমান সম্প্রদায়ের সদস্য মোহামেদ মেহমেদাবাসিকও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ ঘটনা ২৮ জুন ঘটার এক মাস পর অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ানরা যুদ্ধ শুরু করে বলকান রাষ্ট্র সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। বসনিয়া-হার্জেগোবিনা ছিল সার্বিয়ার অঞ্চল। অপর দিকে তৎকালীন রাশিয়া সার্বিয়ার পক্ষে এবং জার্মানি অস্ট্রো-হাঙ্গেরির পক্ষে যোগ দিলে শুরু হয় মহাযুদ্ধ। ব্রিটেন, ফ্রান্স এ যুদ্ধের বাইরে থাকতে পারেনি। শেষের দিকে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেন ও ফ্রান্স কেন যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল, তা নিয়ে ওই সব দেশে প্রশ্ন উঠছে। ইউরোপ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, আত্মপ্রকাশ শুরু করল পরাশক্তি হিসেবে। অপর দিকে যুদ্ধের জের ধরে ইউরোপে সাম্রাজ্যের পতন, রাশিয়াসহ জন্ম দিল নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার। ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও শীতল যুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে দুটি পরাশক্তির জন্ম হয়েছিল, তার মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনও হয় বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে। বিভক্ত বিশ্ব দৃশ্যত একক বিশ্বে পরিণত হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রসঙ্গ এ কারণে টানলাম যে ওই যুদ্ধের এক শ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউরোপব্যাপী উদ্‌যাপনের যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ইইউ তথা ইউরোপে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। অপর দিকে এ যুদ্ধে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে কতখানি গুরুত্ব দেবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। বসনিয়া-হার্জেগোবিনার বস্তুতপক্ষে বলকান অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী চেতনা পুনরায় ফিরে আসছে। সারায়েভোতে জুন ২৮, ২০১৪ উদ্‌যাপন করা হলো গ্যাবরিয়ালো প্রিন্সেপের প্রতিমূর্তিতে ফুল দিয়ে জাতীয় বীর আখ্যার মাধ্যমে। অন্যান্য দেশে বিশেষ করে জার্মানি ব্রিটেন ও বেলজিয়ামের বর্তমান প্রজন্মের প্রশ্ন, কেন তাদের দেশ এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল? ওই যুদ্ধ কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ রহিত করতে পেরেছিল? ইউরোপীয়দের মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঠিক যেমন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কাছে তাদের দেশের নতুন মধ্যপ্রাচ্য গড়ার পরিকল্পনা ও প্রয়াস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী ভূমিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব নিয়েও।
২.
শীতল যুদ্ধের অবসানের পরপরই একক বিশ্বের প্রধান শক্তিরূপে আভির্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হলো। নিজের অবস্থান ধরে রাখতে আরও আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি ওয়াশিংটনে গৃহীত হলো। এরই প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদ ও প্রভাব রক্ষার্থে নতুন ছক কাটা হলো। এর মধ্য দিয়েই প্রতিপক্ষ তৈরি হলো কথিত ইসলামি উগ্রবাদ। তার পরের ইতিহাস অতি সাম্প্রতিক, সবারই জানা। প্রথমে আফগানিস্তান, পরে ইরাক, লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং বর্তমানে নতুন আঙ্গিকে সিরিয়া ও ইরাকের পরিস্থিতি সমগ্র মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রগুলোতে নতুন ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
আফগানিস্তানে তালেবান উৎখাতের পরবর্তী পরিস্থিতির শিকার প্রধানত পাকিস্তান হলেও উপমহাদেশের অন্যান্য দেশে এর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশও শঙ্কামুক্ত নয়। পাকিস্তান প্রতিনিয়ত মোকাবিলায় রয়েছে ওই দেশের তালেবান নিয়ে। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তথা পশ্চিমা দেশের সামরিক বাহিনীর পশ্চাৎ​পদ প্রত্যাহারের পর ওই দেশের অবস্থা আরও অস্থিতিশীল হবে, যদি বর্তমানে আলোচনারত তালেবানদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বোঝাপড়া না হয়।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের পর শুধু আফগানিস্তানের অভ্যন্তরেই নয়, উপমহাদেশেও উত্তেজনা বাড়তে পারে। এ কারণে ভারত-পাকিস্তান বিরোধে নতুন মাত্রা যোগ হবে, তা হবে আফগানিস্তানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। তালেবানদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি হলে সে ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান দুর্বল হবে, তা প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে সহায়ক হবে না। অপর দিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তানি তালেবানদের সঙ্গে শুধু বল প্রয়োগে সুবিধা করতে পারছে না বলেই আলোচনার তাগিদ অনুভব করছে পাকিস্তান সরকার। সে ক্ষেত্রে আফগানিস্তানে ২০১৪ সালের শেষের দিকে পটপরিবর্তন হলে পাকিস্তানকে অবশ্যই তাদের অংশের তালেবানদের সঙ্গে একধরনের বোঝাপড়ায় আসতে হবে। অন্যথায় পাখতুনস্তানের দাবি নতুন করে উঠতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থানের পর আফগানিস্তানে ত্রিশক্তির টানাপোড়েন শুরু হবে। এক পক্ষে চীন-পাকিস্তান, অপর দিকে ভারত। এমনটা হলে উপমহাদেশে উত্তেজনা বাড়বে। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাত গুটিয়ে নেওয়াকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবর্তিত আগ্রাসী নী​তির কৌশলগত পরাজয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতির কৌশলগত পরাজয়ের জ্বলন্ত উদাহরণ লিবিয়া ও মিসর। তবে নতুন উদ্বেগ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসআইএস, নতুন নাম ইসলামিক স্টেট নামক সুন্নিগোষ্ঠীর উত্থান। মসুল, তিরকিত, বাজিসহ ইরাকের বিশাল অঞ্চল দখলের পর এই সুন্নিগোষ্ঠী সিরিয়ার কিছু অংশসমেত ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে আবু ওমর আল বাগদাদিকে নেতা নিযুক্তির কথা বলেছে। আইএসআইএস বা ইসলামিক স্টেটের লক্ষ্য শুধু ইরাক নয়; সিরিয়া, তুরস্ক ও জর্ডানের কিছু অংশসহ তৎকালীন লেভেন্টে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা; এদের শক্তির কাছে ইরাকি বাহিনী পরাস্ত। সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রকে নতুনভাবে নতুন আঙ্গিকে সীমিত আকারে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে হচ্ছে। আইএসআইএস কোনো জঙ্গি সংগঠন নয়, তা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করছেন। যদিও এই সুন্নি সংগঠনের যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে এই সংগঠনের হাতে প্রচুর অর্থ রয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। অনেকের ধারণা, মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর বহু বিত্তবান এই সংগঠনের অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গবেষণা সংস্থার অনেকেই মনে করেন, সিরিয়ার তেলক্ষেত্র এদের হাতে থাকায় এবং বর্তমানে মসুল-বাজির মতো তেলক্ষেত্রগুলো থেকে তেল চোরাই পথে বিক্রি করে এদের হাতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক অর্থ রয়েছে। এ অর্থ নতুন জনবল সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধ পরিচালনায়।

ইরাকে আলোচিত সুন্নি সংগঠনের উত্থান এবং ইরাকে এই সফলতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জিহাদি সুন্নি তরুণদের আকৃষ্ট করছে। কিংস কলেজ অব লন্ডনের প্রফেসর পিটার নিউম্যাম বলেন, সিরিয়ায় যেসব যোদ্ধা পশ্চিমা দেশ থেকে গিয়েছিল, তাদের ৮০ শতাংশ এখন ইরাকে। আইএসআইএসের মুখপাত্রের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ অন্যান্য ইউরোপিয়ান ও আরব রাষ্ট্র থেকে যোদ্ধারা এ সংগঠনে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ দিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সদস্য রয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো ও ককেশাস অঞ্চল থেকে।
ইরাকে সুন্নি সংগঠনের উত্থান এবং ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিককে ইরাকে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে তথ্যে প্রকাশ। এসব প্রচেষ্টা আফগান জিহাদ ও পরবর্তী সময়ের অনুরূপ হলেও পার্থক্যটি অন্যখানে, আর তা হলো ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টা। আমাদের দেশেও এমন কিছু সংগঠন রয়েছে, যারা আইএসআইয়ের ভাবধারায় সংগঠিত। কাজেই ইরাকের ঘটনার পরিধি যে উপমহাদেশ ছুঁইবে না, তা হলফ করে বলা যায় না।
ইরাক তথা মধ্যপ্রাচ্যের দ্রুততম পরিবর্তনের ঘটনা বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আলামত মনে হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে শীতল যুদ্ধের অবসানের পর বিশ্বের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা কোথায় ঠেকবে, তা বলা সহজ নয়। এর প্রভাব সারা বিশ্বে পড়তে শুরু করেছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এমনকি শীতল যুদ্ধের অবসানের পর বিশ্বের মানচিত্র বদলিয়েছে বহুবার। বর্তমান পরিস্থিতি আরও বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টির পথে গড়াচ্ছে। যদিও এবারের রণক্ষেত্র মধ্যপ্রাচ্যে, তবে এর প্রভাব পড়ছে সমগ্র বিশ্বে, বিশেষ করে অস্থির অবস্থায় রয়েছে কথিত মুসলিম বিশ্ব। পরিবর্তনের পথে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র। যেমন পরিবর্তিত হয়েছে অতীতে যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে। একবিংশ শতাব্দীতেও বিশ্ব খুব শান্তিতে থাকবে বলে মনে হয় না। এ অশান্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে।

এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.): অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও কলাম লেখক৷
hhintlbd@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.