আন্দোলনে ব্যর্থ হলে বিএনপি আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে -সাক্ষাত্কারে অধ্যাপক পিয়াস করিম

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক পিয়াস করিম বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে খুন-গুম, অর্থনৈতিক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশব্যাপী জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। আন্দোলনের মাঠ তৈরিই আছে। এখন বিএনপির কাজ হলো জনগণের এ ক্ষোভকে ভাষা দিয়ে আন্দোলনে নামা। আর ঈদের পর আন্দোলনে নামার যে হুমকি দিচ্ছে, এটা তাদের জন্য শেষ সুযোগ। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে দেশের জনগণের কাছে অপ্রাসঙ্গিক ও ব্যর্থ দল হিসেবে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে বিএনপি।

গত সপ্তাহে আরটিএনএনএর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে ড. পিয়াস করিম এসব কথা বলেন। সাক্ষাত্কারে দেশের রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায় নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন তিনি।
পিয়াস করিম বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ব্যর্থতায় রাজনীতিতে প্রধান শক্তি হিসেবে ভবিষ্যতে জামায়াতের উত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আমি তা চাই না। তবে চোখ বন্ধ রাখলেই তো মহাপ্রলয় ঠেকানো যাবে না, প্রলয় হবেই। তবে জামায়াত না হলে আরেকটি শক্তি (সেনাবাহিনী) দেশের ক্ষমতায় চলে আসবে।
ঈদের পর খালেদা জিয়ার সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে পিয়াস করিম বলেন, দল গুছানো এবং আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলকে কোনো নির্দেশনা ছাড়া খালেদার আন্দোলনের ডাক অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিলেও কেন তিনি বার বার হুমকি দিচ্ছেন তা ভেবে দেখতে হবে। তিনি অবশ্যই সাধারণ কেউ নন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। না জেনে-বুঝে তো তিনি এমন কথা বলবেন না। নিশ্চয়ই সে রকম প্রস্তুতি তার রয়েছে। আর এখনই তা বলে সরকারকে সজাগ করে দেয়ার মত ভুলও তিনি করবেন না।
দেশের চলমান সংকট উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি, ফলে জনগণের পছন্দের সরকার ক্ষমতায় আসেনি। তাই সকল দলের অংশগ্রহণে অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তবে তিনি বলেন, এমন অক্ষম, অপদার্থ ও একচোখা নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কখনই সম্ভব নয়।
তার পুরো সাক্ষাত্কারটি নিম্নে তুলে ধরা হল-
আরটিএনএন: কেমন আছেন স্যার?
পিয়াস করিম: কথাটির উত্তর দু’ভাবে দেয়া যায়। ভাল থাকার যে অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার সবগুলোতে ভাল নেই। সাধারণভাবে বললে ভাল আছি। এছাড়া সবাইকে নিয়ে ভাল থাকার কথা বললে উত্তর হল- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একদিকে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, শত শত মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে, অন্যদিকে মানুষ বিয়ে-শাদীও করেছে এবং সন্তান জন্ম দিয়েছে। তখনও মানুষ ভাল ছিল তবে কেমন ভাল ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাধারণত হাজারো সমস্যার মাঝে সবাই যেমন ভাল থাকার চেষ্টা করে আমিও তেমন ভাল আছি।
আরটিএনএন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। সেই বাংলাদেশ এখন কেমন আছে?
ড. পিয়াস করিম: ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় পেলেও তাদের ক্ষমতায় যেতে দেয়া হয়নি। এরপরই ’৭১ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ সময় ডা. মিলন, নূর হোসেনসহ অনেকেই জীবন দিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে প্রতিনিধিত্বমূলক সেই গণতন্ত্র নেই। এখন লোকের মৃত্যু অন্য মানুষের কাছে কোনো ব্যাপারই না, সবাই এটা সাধারণভাবে নেয়।
আরটিএনএন: সরকারি দলের লোকজন বলছেন দেশে এখন গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগ চলছে। বিরোধীরা বলছেন, দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আপনার কী মনে হয়?
পিয়াস করিম: বাংলাদেশের চলমান গণতন্ত্রের প্রতি সাধারণ মানুষসহ কারো আস্থা নেই। মানুষের প্রতিবাদী কথা বলার কোনো অধিকার নেই। তারপরও কিভাবে যে দেশে গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগ চলছে তা আমার বোধগম্য নয়। তবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রধান দুই দলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনীতিবিদরা যদি এ ব্যাপারে ভূমিকা পালন না করে এবং গণতন্ত্র নিয়ে এমন কথা বলতে থাকেন তবে মানুষ তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে। অদূর ভবিষ্যতে কেউ এমন গণতন্ত্র আশা করবেন না।
আরটিএনএন : দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে কীভাবে দেখছেন?
পিয়াস করিম: জনগণের সামনে তাদের আশা পূরণ করার মত এ দুই দল ছাড়া কোনো দল নেই। আমরা আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপিকে ভোট দেই না। যখন একদল ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে মানুষের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালায় তখনই অতিষ্ঠ হয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে অন্যদলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি। পর্যায়ক্রমে আবারও তাদের নির্যাতনের শিকারে পরিণত হই। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঘুরে ফিরে এদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি।
আরটিএনএন: দেশের বর্তমানের রাজনীতি ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কতটা আশাব্যাঞ্জক?
পিয়াস করিম : দেখুন ইতিহাস বার বার পাল্টায়। ’৪৮-এ কেউ জানতো না ’৫২-তে কি হবে। ’৬৯-এ জানতো না ’৭১-এ কি হবে এমনকি ’৭৪-এ ও কেউ জানতো না ’৭৫-এ কি হবে। আমাদের পূর্ববর্তীরাও আমাদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু রেখে যায়নি। ঘটনার পরিক্রমায় আমরা এসব পাচ্ছি। এখন তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এক ধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা এখন রাজনৈতিক সহিংসতা চায় না। মারামারির রাজনীতিতেও বিশ্বাস করে না।
আরটিএনএন: ঈদের পর খালেদা জিয়া সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সত্যিই কি বিএনপি আন্দোলন করতে পারবেন? নাকি আগের মতই ব্যর্থ হবে বলে মনে করেন?
পিয়াস করিম: খালেদা জিয়া ঈদের পর যে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন অনেকেই এটাকে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন। দল গুছানো এবং আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলকে কোনো নির্দেশনা ছাড়া তিনি কেন বার বার সরকারকে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন তা ভেবে দেখার বিষয়। কারণ তিন বার নির্বাচিত একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় না জেনে বুঝে কিছু বলবেন না। হয়তো হুমকি দেয়ার মত সে রকম প্রস্তুতি তার রয়েছে। আর এখনই তা বলে সরকারকে সজাগ করে দেয়ার মতো ভুলও তিনি করবেন না।
সরকারের বিরুদ্ধে খুন-গুম, অর্থনৈতিক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশব্যাপী জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। মাঠ তো তৈরিই আছে। এখন বিএনপির কাজ হলো জনগণের এ ক্ষোভকে ভাষা দিয়ে আন্দোলনে নামা। তা করতে না পারলে দেশের জনগণের কাছে অপ্রাসঙ্গিক ও ব্যর্থ দল হিসেবে বিএনপি ইতিহাসের আঁঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
আরটিএনএন: আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসন ব্যবস্থা ও তার বিপরীতে বিএনপির অক্ষমতা বজায় থাকলে কেউ কেউ মনে করছেন প্রধান শক্তি হিসেবে জামায়াতের উত্থান হতে পারে। আপনি কি মনে করেন?
পিয়াস করিম: সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা আর সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির অক্ষমতায় রাজনীতিতে প্রধান শক্তি হিসেবে ভবিষ্যতে জামায়াতের উত্থানের সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
যদিও আমি চাই না জামায়াত আসুক। কারণ আমি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তবে চোখ বন্ধ করে রাখলেই মহাপ্রলয় ঠেকানো যাবে না, প্রলয় হবেই। তেমনি এই দুই দলের ব্যর্থতায় দুটি বিষয় হতে পারে। এক হল প্রধান শক্তি হিসেবে জামায়াতের উত্থান। অপরটি সামরিক শক্তি চলে আসতে পারে-যা আওয়ামী লীগ, বিএনপি এমনকি সাধারণ জনগণ কারো কাছেই কাম্য নয়।
আরটিএনএন: জামায়াত নিষিদ্ধে গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে একাত্ম হননি কেন?
পিয়াস করিম: মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে যখন শাহবাগ উত্তাল ছিল তখন জামায়াত কেন নিষিদ্ধ করা যাবে না সে সম্পর্কে যুক্তি তুলে ধরায় আমার ওপর অন্যায় আক্রমণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি জামায়াতের হয়ে কাজ করছি। আসলে আমি শুধু বাস্তবতাটুকু তুলে ধরেছিলাম মাত্র। গণজাগরণ মঞ্চ আমার বক্তব্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ দেখুন আজ আইনমন্ত্রী জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে একই কথা বলছেন। আর সে কথাতে প্রধানমন্ত্রীও সায় দিচ্ছেন।
আরটিএনএন: শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে কারা লাভবান হয়েছে?
পিয়াস করিম: সকল ধরনের সামাজিক মুভমেন্টগুলো হয়ে থাকে বিরোধী শক্তির পক্ষে এবং সরকারের বিরুদ্ধে। অথচ শাহবাগের আন্দোলনটি হয়েছে সরকারের পক্ষে। প্রথম থেকেই সরকার এ আন্দোলনকে পৃষ্ঠপোষকতা করায় লাভের পুরোটা অংশ সরকার পেয়েছে। অন্যদিকে গণজাগরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের পুরোটা ফল ভোগ করেছে বিরোধী শক্তি। গণজাগরণ মঞ্চের দাবিগুলো যেমন ভেবে দেখার মতো তেমনি হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোও ভাবার মতো। এগুলোকে পাশ কাটানো যাবে না।
আরটিএনএন: পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন? প্রথমে আওয়ামী লীগ মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বললেও এখন সে অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, এর কারণ কী?
পিয়াস করিম: ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সর্বমোট ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৪১টি দলের মধ্যে ১০/১১ দলের অংশগ্রহণ ছিল। সেটা আবার একপক্ষীয়। এটাকে কখনোই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে পারি না। রাজনীতিবিদরা যখন দায়সারা নির্বাচন করে তখন দেশের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং বিদেশি চাপের ফলে সেই সময় আওয়ামী লীগ বলেছিল এটা একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। খুব শিগগিরই আরেকটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন দেয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে শক্তিশালী বিরোধীদল না থাকায় এবং বিরোধী শক্তির আন্দোলন তীব্রতর না হওয়ায় তারা দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে ড্যামকেয়ার ভাব দেখায়। তাছাড়া বিরোধী শক্তিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ এবং বিরোধিতাকারী দেশগুলোকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ওয়াদা থেকে ফিরে আসে। পুরো সময়টা ক্ষমতায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরটিএনএন : চলমান সংকট উত্তরণের উপায় কি?
পিয়াস করিম : ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে না পারায় জনগণের পছন্দের সরকার ক্ষমতায় আসেনি। ফলে এই মুহূর্তে দেশের চলমান সংকট উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। সে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দলকেই দেশের এসব সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে।
আরটিএনএন : অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কি এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সম্ভব?
পিয়াস করিম : কখনোই না। এমন অক্ষম, অপদার্থ ও একচোখা নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কখনই সম্ভব নয়। যদি এ কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেটাও ৫ জানুয়ারির মত আরেকটি নির্বাচন হবে। আর এমন নির্বাচন হওয়ার চেয়ে না হওয়াই ভাল।
আরটিএনএন : দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হানাহানি, সহিসংসতায় একের পর এক ছাত্র খুন, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা সকল অস্থিরতা বিরাজমান। একজন শিক্ষক হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখছেন?
পিয়াস করিম : আসলে আমরা জাতি হিসেবে লজ্জার চরম সীমায় পৌঁছে গেছি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনায়। প্রমাণ থাকা সত্বেও জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা অস্বীকার করে জাতিকে অবাক করে দিয়েছেন। এটা অপরাধীদের উত্সাহিত করে। তাছাড়া শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা আসে পড়াশুনা করতে, খুনাখুনি করতে নয়। এমন ঘটনা দুঃখজনক।
আরটিএনএন : দীর্ঘদিন গবেষণা এবং শিক্ষকতা পেশা নিয়ে আপনি অনকেটা নীরবে চললেও এখন আপনাকে দেশের চলমান বিভিন্ন বিষয়ে সরব দেখা যায়। এটা কি শুধুই সামাজিক দায়বদ্ধতা, না অন্য কিছু?
পিয়াস করিম : দেখুন, ছাত্রজীবনে আমি বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তখন তাদের সঙ্গে দেশ এবং দশের কল্যাণে কাজ করতাম। কিন্তু এই সময়ে বাম শক্তিগুলো যে আন্দোলন করছে, তার ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। দলগুলো এখন তাদের আদশের্র মূল জায়গা থেকে সরে সুযোগ সুবিধার রাজনীতিতে নেমে পড়েছে। তাদের মধ্যে রুটি ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। দেশের কল্যাণের কথা তো বলতেই হবে। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমি কথা বলে যাচ্ছি।
আবার অনেকে বলেন আমি বিএনপির লোক। সেটা আমি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করছি না। তবে বিএনপির প্ল্যাটফর্মে থেকেই দেশের পক্ষে কথা বলার সুযোগ বেশি। তাই তাদের পক্ষেও বলতে পারেন।
আরটিএনএন: আমাদেরকে সময় দেয়ায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পিয়াস করিম: আপনাদের এবং আরটিএনএন-এর সকল পাঠককেও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.