শিম্পাঞ্জির ভাষা বুঝতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা

‘আমার পিঠে উঠে বসো’এ কথা বলার
জন্য পায়ের তালু দেখায় শিম্পাঞ্জিরা
বন্য শিম্পাঞ্জিরা পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য যেসব অঙ্গভঙ্গি করে, গবেষকেরা এবার সেগুলোর মানে খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা বলছেন, প্রাণীটির ‘শব্দভান্ডারে’ ৬৬টি অঙ্গভঙ্গি রয়েছে। তারা সুনির্দিষ্ট ১৯টি বার্তা পাঠিয়ে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। খবর বিবিসির। উগান্ডায় শিম্পাঞ্জিদের আচার-আচরণ ভিডিওচিত্রে ধারণ করে বিজ্ঞানীরা প্রাণীটির অন্তত পাঁচ হাজার অর্থপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি বিশ্লেষণ করে দেখেন। এ গবেষণা প্রতিবেদন কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিজ্ঞানী ক্যাথরিন হবেইটার।তিনি বলেন, মানুষ ছাড়া শুধু শিম্পাঞ্জিরই রয়েছে একটি নিজস্ব যোগাযোগব্যবস্থা, যার আওতায় তারা পারস্পরিক বার্তা বিনিময় করতে পারে।
একমাত্র শিম্পাঞ্জির ভাষা ও যোগাযোগের ধরনই মানুষের সঙ্গে কিছুটা হলেও মিলে যায়। এর আগে একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, বানর ও উল্লুক অন্যান্য প্রাণীর কাছ থেকে পাওয়া জটিল সংকেত বুঝতে পারে। তবে এসব প্রাণী ইচ্ছাকৃত যোগাযোগে নিজেদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার থেকে বিরত থাকে। হবেইটার বলেন, এটিই হচ্ছে শব্দ করা ও অঙ্গভঙ্গির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। তবে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, মানুষ ছাড়াও আরেকটি প্রাণী অর্থপূর্ণ যোগাযোগের সামর্থ্য রাখে। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী সুসান শুলৎজ বলেন, মানুষের ভাষার বিবর্তন সম্পর্কে অজানা তথ্য জানার চেষ্টা হিসেবে গবেষণাটি প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এ গবেষণার ফলাফল কিছুটা হতাশাজনক। শিম্পাঞ্জির নানারকম অঙ্গভঙ্গির দুর্বোধ্যতার মানে হয় তারা পরস্পরের কাছে খুব কমই বার্তা পাঠায়, অথবা তাদের বিনিময় করা অনেক তথ্য মানুষ এখনো উদ্ধার করতে পারছে না।

No comments

Powered by Blogger.