পুলিশ থাকতে র‌্যাব কেন? by মশিউল আলম

এক. পুলিশ থাকতে র‌্যাব কেন?
হঠাৎ করে এ প্রশ্ন উচ্চারিত হলে বলা হতে পারে, কিসের সঙ্গে কিসের তুলনা! কোথায় এলিট ফোর্স র‌্যাব আর কোথায় সাধারণ পুলিশ! তবে এ মুহূর্তে প্রশ্নটি অপ্রাসঙ্গিক নয়৷ ১৯ মে ঢাকা মহানগর পুলিশের অফিশিয়াল সংবাদ সাইট ডিএমপি নিউজ-এ ‘এবার অর্থ আত্মসাতে ১৮ র‌্যাব সদস্য প্রত্যাহার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরপরই সেটা প্রত্যাহার, পুলিশের এই তথ্যকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করা এবং পরদিন র‌্যাবের ওই সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়নি বলে জানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে র‌্যাব ও পুলিশের মধ্যে যে দ্বন্দ্বের আভাস মেলে, এ প্রশ্ন সেই পরিপ্রেক্ষিতেই৷ প্রশ্নটা মৌলিক: দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান ও অপরাধ দমনের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত ও বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকতে কেন র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে? যুক্তিটা কী?
র‌্যাব গঠন করা হয়েছিল ২০০৪ সালের মার্চে আর এই বাহিনী কাজ শুরু করে জুন থেকে। সেটা খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তৃতীয় বছরে। র‌্যাব গঠনের পেছনে তাদের কী ভাবনা কাজ করেছিল, তা আমাদের জানার উপায় নেই। তবে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কিছু গোপনীয় তারবার্তার ভাষ্য থেকে কিছু ধারণা পাওয়া যায়।
খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গুরুতর অপরাধবৃত্তি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে র‌্যাব গঠনের আগে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বে চালানো হয়েছিল ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে এক দুর্ধর্ষ অভিযান। তখন নিরাপত্তা হেফাজতে ৪৬ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছিল; কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে। নাগরিক সমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সরকার একপর‌্যায়ে অপারেশন ক্লিন হার্ট বন্ধ করে ওই অভিযানে অংশগ্রহণকারী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা যাবে না বলে জাতীয় সংসদে দায়মুক্তি দেয়। অপারেশন ক্লিন হার্ট ছাড়াও অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সরকার চিতা, কোবরা ইত্যাদি নামে পুলিশের একাধিক ইউনিটকে ব্যবহার করে এবং তাদের বিরুদ্ধেও ক্রসফায়ারসহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রচুর অভিযোগ ওঠে। আসলে ‘ক্রসফায়ার’ হত্যাকাণ্ড র‌্যাব গঠনের পরে নয়, তার অনেক আগে থেকেই বিশেষত পুলিশের দ্বারা এটা ঘটে আসছে।
কিন্তু এসবের দ্বারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি। অপরাধ দমনের প্রধান দায়িত্ব যে পুলিশ বাহিনীর হাতে, তার অবস্থা এতই শোচনীয় যে একটা আশু কার্যকর বিকল্প পন্থা হিসেবে তৎকালীন সরকার র‌্যাব গঠনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। র‌্যাব গঠনের প্রাথমিক পরিকল্পনায় অংশগ্রহণকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) চৌধুরী ফজলুল বারীর ভাষ্য অনুযায়ী, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ এবং ভয়ংকর অপরাধীদের হাত থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’ তিনি মার্কিন দূতাবাসকে বলেন, র‌্যাব গঠনের শুরুর দিকে পুলিশ বাহিনী এতে অংশ নিতে অনাগ্রহী ছিল৷ কারণ ঘুষ ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড থেকে র‌্যাবের বাইরে থেকেই তারা অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করে।’ ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিল মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিসের লেখা এক গোপনীয় তারবার্তা অনুযায়ী, বারী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার‌্যালয়ে বসে থাকতেই
বেশি পছন্দ করেন।...পুলিশ বাহিনী কাজ করে বিশাল এক পিরামিডের মতো, যেখানে রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী সদস্যটি থেকে শুরু করে ওপরের দিকের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া-নেওয়া চলতে থাকে।...পুলিশ বিভাগ তাদের সক্ষম সদস্যদের র‌্যাবে পাঠানোর ব্যাপারে অনাগ্রহী, তার পরিবর্তে তারা প্রায়শই বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অযোগ্য সদস্যদের পাঠাতে চায়। পুলিশের সদস্যদের গুলি করার মতো প্রাথমিক দক্ষতাগুলোর ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়েছে; বিশেষ অভিযানের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ নেই।’
নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশের ব্যর্থতা ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছেও সেটা বেশ সুবিদিত বিষয়। শুধু দুর্নীতি আর অদক্ষতাই নয়, পুলিশকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের বিষয়েও মার্কিন কূটনীতিকেরা বেশ অবগত। এমন অবস্থায় র‌্যাব কাজ শুরু করার পর থেকে অপরাধবৃত্তি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে থাকলে র‌্যাবের প্রথম বর্ষপূর্তি বিশ্লেষণ করে লেখা এক গোপনীয় তারবার্তায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জুডিথ শামাস মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে কুখ্যাত এবং রাজনৈতিকীকরণের শিকার—এই পটভূমিতে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের তৎপরতার ফলে এই বাহিনীর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।’ মোট কথা, পুলিশের ব্যর্থতা ও অকার্যকারিতার কারণেই মূলত সৃষ্টি হয়েছে র‌্যাব।

দুই. র‌্যাব-পুলিশ ঠান্ডা লড়াই
এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে র‌্যাব ও পুলিশের মধ্যকার সম্পর্কটি শুরু থেকেই মসৃণ নয়। গত বছর র‌্যাবে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন সরকারকে দেওয়া হয়েছিল, যেটিতে র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যদের মধ্যে অন্তত ১৬টি অপ্রীতিকর ঘটনার বিবরণ ছিল। এ বিষয়ে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘র‌্যাবে আসা সেনা কর্মকর্তারা মনে করেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সব সময় সেনা-বিদ্বেষ কাজ করে। এমনকি পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারাও র‌্যাবের সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রবিশেষে সহযোগিতা করতে চান না। র‌্যাবকে পুলিশের জন্য ‘ডাম্পিং স্টেশন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে বেশি বয়সী, হৃদ্রোগী, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। তাঁরা এসে কোনো কাজ করতে চান না।’ ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সেনা-বিদ্বেষ থাকায় সশস্ত্র বাহিনীগুলো থেকে আসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ তাঁরা মানতে চান না।’
আর প্রথম আলোর উল্লিখিত প্রতিবেদন অনুযায়ী র‌্যাবের সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ‘র‌্যাবে প্রেষণে আসা সেনা কর্মকর্তারা আইন বোঝেন না। ফৌজদারি আইন, পুলিশ প্রবিধান সম্পর্কে তাঁদের ধারণা যেকোনো পুলিশ সদস্যের চেয়ে অনেক কম। নবীন সেনা কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে মামলাও লিখতে পারেন না। র‌্যাবের কর্মকর্তারা আইন না বুঝে আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে বললে পুলিশ কর্মকর্তারা সেটা করতে চান না বলে অনেক সময়ই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ক্রসফায়ার ছাড়া র‌্যাবের কোনো সাফল্য তাঁরা দেখেন না। আর ক্রসফায়ার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আইনের মধ্যে থেকে হয় না।’

তিন: পুলিশের সমস্যা র‌্যাবে সংক্রমিত
অকার্যকর পুলিশের কার্যকর বিকল্প হিসেবে র‌্যাবের যাত্রা শুরুর দিনগুলোতেই এমন প্রশ্ন উঠেছিল যে, যেসব সমস্যার কারণে পুলিশ বাহিনীর ওপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে গেছে, র‌্যাবকেও যে সেই সমস্যাগুলো সংক্রমিত করবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? পুলিশের প্রধান সমস্যা দুটি: ব্যাপক দুর্নীতি আর প্রবল রাজনৈতিকীকরণ।
র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) চৌধুরী ফজলুল বারী ২০০৫ সালের জুনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসকে বলেছিলেন, র‌্যাবের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পুলিশের মতো না হওয়া। এর উপায় সম্পর্কে বারী বলেন, ‘যেসব সমস্যা পুলিশ বিভাগকে সংক্রমিত করেছে, র‌্যাবকে সেগুলোর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হলে উচ্চ নৈতিক আদর্শ ও মনোবল বজায় রাখতে হবে। আইন লঙ্ঘনের দায়ে (যেমন চাঁদাবাজি) ধৃত র‌্যাবের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এটা হবে এসব প্রবণতা রোধের কার্যকর ব্যবস্থা।’
কিন্তু দুঃখের বিষয়, ওই সব প্রবণতা রোধের ব্যবস্থা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়নি। দিনে দিনে র‌্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ বেড়েছে। শুধু চাঁদাবাজি নয়, অর্থের বিনিময়ে অপহরণ ও হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার-বাণিজ্যের অভিযোগ আছে অনেক, কিন্তু ‘কন্ট্যাক্ট কিলিংয়ের’ অভিযোগ শোনা যায় না, যা শোনা যাচ্ছে র‌্যাবের বিরুদ্ধে। আগে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে প্রধানত দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীরা মারা পড়ত বলে ক্রসফায়ার আইনসংগত না হলেও আমজনতা সেটা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন অর্থের বিনিময়ে র‌্যাবকে দিয়ে শত্রুতা চরিতার্থ করতে ক্রসফায়ার ঘটানো যায়—এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। ফলে র‌্যাব সম্পর্কে জনগণের ধারণা দিনে দিনে পুলিশের মতোই নেতিবাচক হয়ে উঠছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তাদের কোনো সদস্য আইন লঙ্ঘন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো অপরাধ করলে তাঁর শাস্তি হয়। কিন্তু সেসব শাস্তি নিশ্চয়ই এমন কঠোর নয়, যা র‌্যাবের অন্য সদস্যদের একই ধরনের অপরাধ সংঘটনে নিরুৎসাহিত করতে পারে। নইলে তাঁদের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধ সংঘটনের ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে কেন?
দ্বিতীয় সমস্যা রাজনৈতিকীকরণ। পুলিশকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের কাজ করা হয়, আবার দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়। ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সাতখুন পুলিশ দেখেও দেখে না। কিন্তু বিরোধী দলের বড় বড় নেতাকে ফাঁসানো হয় ককটেল ফাটানো কিংবা বাস পোড়ানোর মামলায়। এভাবে পুলিশ বাহিনীর নৈতিক মনোবল দুর্বল হয়েছে৷ ক্ষমতাসীনদের বাহিনী হিসেবে কাজ করতে করতে তারা সুযোগ পেয়েছে নিজেদের আখের গোছানোর। এই রোগ র‌্যাবের মধ্যে পুরো মাত্রায় সংক্রমিত হতে হয়তো আরও সময় লাগবে। কিন্তু র‌্যাবের রাজনৈতিকীকরণ যে কিছুমাত্রায় হলে ঘটতে পারে, আমেরিকান কূটনীতিকেরা সে কথা র‌্যাব গঠনের পরপরই সরকারকে বলেছিলেন।
র‌্যাবের রাজনৈতিকীকরণ পুলিশের মতো হবে না, হবে তার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক—এ রকম আশঙ্কা মার্কিন কূটনীতিকেরা ব্যক্ত করেছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) চৌধুরী ফজলুল বারী র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০০৫ সালের জুনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসকে বলেছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি রাজনৈতিক কারণে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করার নির্দেশ র‌্যাবকে দেওয়া হয়, তাহলে র‌্যাব সরকারের সেই নির্দেশ পালন করবে না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন, ‘নৈতিক মূল্যবোধের কারণে আমি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারব না।’ কিন্তু ২০০৫-২০০৬ সালেই বিরোধী দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হত্যা সংঘটনের অভিযোগ উঠেছিল। আর এ আমলে তাদের বিরুদ্ধে আছে বিরোধী দলের একাধিক নেতাকে গুম করে দেওয়ার অভিযোগ।
পুলিশের সমস্যাগুলো র‌্যাবে আরও বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হলে র‌্যাব হয়ে উঠবে পুলিশের থেকে বেশি বিপজ্জনক৷ কারণ র‌্যাবের অস্ত্রবল, প্রশিক্ষণ ও ক্ষিপ্রতা বেশি কিন্তু জবাবদিহি কম৷ সেই সংক্রমণ থেকে র‌্যাবকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রধানত সরকারের, তবে র‌্যাবের নিজেরও সে ব্যাপারে আরও সচেষ্ট হওয়া উচিত৷
মশিউল আলম: লেখক ও সাংবাদিক৷

No comments

Powered by Blogger.