বিহারে লালুকে ছেড়ে যাচ্ছেন বিশ্বস্ত সঙ্গী

লালুপ্রসাদ যাদব
পরিবারতন্ত্র ধরে রাখতে গিয়ে দলে ভাঙনের পথ খুলে দিলেন বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। গতকাল শনিবার সকালে দলের সব পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন লালুর ২০ বছরের বিশ্বস্ত সঙ্গী রামকৃপাল যাদব। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন সংকটের মুখে পড়ল তাঁর দল। লোকসভা নির্বাচনে রামকৃপাল বিহারের পাটলিপুত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। লালু ওই আসনে তাঁর মেয়ে মিশা ভারতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ রামকৃপালকে শান্ত করতে মিশা শুক্রবারই দিল্লি আসেন। রাজ্যসভার সদস্য রামকৃপালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর সরকারি বাসভবনে যান। তাঁর আসার খবর পেয়ে আগেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান রামকৃপাল। মিশা আর তাঁর দেখা পেলেন না। গতকাল সকালে রামকৃপাল দলের সব পদে ইস্তফা দেন। অবশ্য রাজ্যসভার সদস্য ও আরজেডি থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি।
ফলে মনে হচ্ছে, তিনি দলীয় সভাপতি লালুকে একটি সুযোগ দিতে চান। লালু অবশ্য তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। রামকৃপালকে তিনি মোতিহারি অথবা মাধেপুরা আসন দিতে রাজি। রামকৃপাল গতকাল বলেন, লালু পরিবারতন্ত্র কায়েম রাখতে গিয়ে দলের নীতি জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রামকৃপাল আরজেডি ছাড়লে বিজেপি অথবা রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পাটলিপুত্র থেকে দাঁড়িয়ে তিনিই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন মিশাকে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর কারাভোগের কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার হারিয়েছেন লালু। দলকে পরিবারের কবজায় রাখতে তিনি শুরু থেকেই আগ্রহী। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাগারে গেলে তিনি রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। লালুর নয় সন্তানের মধ্যে ৩৭ বছরের মিশাই সবার বড়। তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে বিয়ে করে এখন তিনি বিহারের দানাপুর নিবাসী। এই দানাপুর পাটলিপুত্র আসনের মধ্যে। মিশার পরের দুই ভাই তেজপ্রতাপ ও তেজস্বীর বয়স এখনো ২৫ হয়নি। স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মনোনয়ন দিয়েছেন সরন আসন থেকে।

No comments

Powered by Blogger.