ভোটের অধিকার, মৃত্যুর দায়ভার
আবার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। আবারও হয়তো মানুষ পুড়বে, মৃত্যুর থাবা কেড়ে নেবে কারও জীবন, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকবেন আরও মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এঁরা হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য। টেলিভিশন আর সংবাদপত্র সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করছে এসব যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষ আর তাঁর পরিবারের ওপর। ত্রাস আর আতঙ্কের প্রকোপে বিনা কষ্টে ‘সফলভাবে’ পালিত হচ্ছে বিরোধী দলের কর্মসূচি। অন্যদিকে সরকারের পক্ষে ‘খুনি’ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে আরও কঠিন সমালোচনা করা যাচ্ছে, বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগোনো যাচ্ছে। রাজায় রাজায় এ যুদ্ধে জিতবে যে, পরের পাঁচ বছর ক্ষমতা, অর্থ-প্রতিপত্তি আর দেশগড়ার সব কীর্তি হবে তার। যে হারবে সে নানান চালাকি করে ইতিমধ্যে অর্জিত সম্পদ রক্ষার আর পরেরবার নতুন সম্পদ আহরণের চেষ্টা করবে। রাজায় রাজায় এ যুদ্ধে মরবে না কোনো রাজা, মন্ত্রী, সেনাপতি। এ যুদ্ধে প্রাণ যাবে শুধু উলুখাগড়ার। এই যুদ্ধের পক্ষ সাধারণ মানুষ নয়, বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কারও ক্ষমতারোহণে এদের ভাগ্যেরও তেমন পরিবর্তন হবে না। তবু মরতে হবে, পুড়তে হবে, না হলে ঘরে বসে অনাহারে থাকতে হবে এদেরই। নেতা-কর্মীরা দগ্ধ বা আক্রান্ত হচ্ছেন না একেবারে, তা নয়। কিন্তু যে পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা নিছক লাঠিয়াল, ফুট-সোলজার, উচ্ছিষ্টভোগী কিংবা ‘পোটেনশিয়াল’ উচ্ছিষ্টভোগী। এসব সাধারণ মানুষ বা কর্মীকে মরতে হচ্ছে যুগে যুগ ধরে। নির্বাচনের বছরে আরও নির্বিচারে।
দুই নেত্রীর প্রতিপত্তি, অর্থবিত্ত আর বংশধরদের আরাম-আয়েশ নিশ্চিত করার যুদ্ধের বলি এঁরা। দেশে দেশে যুদ্ধের আইন আছে, দায়দায়িত্ব আছে, আছে এমনকি বিচারও। দুই নেত্রীর যুদ্ধের আইন নেই, দায় নেই, বিচার তো দূরের কথা। অথচ আমরা তাঁদের বিশ্বাস করেছিলাম। দুই নেত্রী দেশে গণতন্ত্র এনেছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের হাতে সেলিম-দেলোয়ার-জয়নাল, দীপালি-বসুনিয়া-মিলনসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ মারা গিয়েছিলেন বলে। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে কয়েক গুণ বেশি মানুষের জীবন। শুধু এ বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় (পুলিশের গুলি, দ্বিপক্ষীয় সংঘাত এবং হরতাল/অবরোধকালীন নাশকতা) মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ। দুই নেত্রী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন অবৈধভাবে এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলেন বলে। তাঁরা নিজেরা ক্ষমতায় এসে সংবিধান বা আইন নিজের মতো করে লিখেছেন নিজেদের অন্যায়কে বৈধতার প্রলেপ দেওয়ার জন্য। এরশাদ নির্বাচনে কারচুপি করেছিলেন বলে দুই নেত্রীর নির্দেশে আমরা মাঠে নেমেছিলাম। এরপর এক নেত্রী নিজেই ২০০৬ সালে কারচুপির চেষ্টা করেছিলেন। অন্যজন কারচুপির সুবিধার জন্য নিজেরই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একক সিদ্ধান্তে বাতিল করে দিয়েছেন। আগের নেত্রীর ‘পরিকল্পনা’ ঠেকাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল মানুষকে, এখনকার নেত্রীর ‘কর্মকাণ্ড’ ঠেকাতেও প্রাণ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
দুই এসব মৃত্যুর দায় প্রধানত দুই নেত্রীর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের অবরোধে ছোড়া পেট্রলবোমা বা ককটেলে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। এটি বলা তাই খুব সহজ যে এসব মৃত্যুর দায় বিরোধী দলের বা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বিরোধী দলের নেত্রীর। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেনও যে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা যায়। চাইলে আসলেও হয়তো তা করা যায়। কিন্তু খালেদা জিয়ার চেয়েও স্পষ্ট ভাষায় লগি-বৈঠা নিয়ে ২০০৬ সালের নির্বাচন প্রতিহতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। যে সংবিধানের কথা তিনি সুযোগ পেলেই বলেন, বহু কাটাছেঁড়ার পরও সেখানে আজও আছে আইনের চোখে সমান, বৈষম্যহীনতা এবং পক্ষপাতহীন বিচারের কথা। এই সংবিধান মানলে ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি, কিন্তু ২০০৬ সালে হুকুমের আসামি শেখ হাসিনা নিজে। তবে ২০০৬ সালে মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনার একার ছিল না। তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলেন। তাঁর সন্দেহ হয়েছিল খালেদা জিয়ার ‘পরিকল্পিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তা হতে দেবে না। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা ছিল সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের, যিনি প্রায় ৩০ বছর আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। সেই রাজনীতি সংস্রব তিনি পুরোপুরি ত্যাগ করেছিলেন, এমনভাবেই ত্যাগ করেছিলেন যে অবসর নেওয়ার পর আজ ২০১৩ সাল পর্যন্ত এখনো আমরা তাঁকে বিএনপি-সমর্থক কোনো সংগঠনের কর্মসূচিতেও অংশ নিতে দেখিনি।
দুই এসব মৃত্যুর দায় প্রধানত দুই নেত্রীর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের অবরোধে ছোড়া পেট্রলবোমা বা ককটেলে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। এটি বলা তাই খুব সহজ যে এসব মৃত্যুর দায় বিরোধী দলের বা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বিরোধী দলের নেত্রীর। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেনও যে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা যায়। চাইলে আসলেও হয়তো তা করা যায়। কিন্তু খালেদা জিয়ার চেয়েও স্পষ্ট ভাষায় লগি-বৈঠা নিয়ে ২০০৬ সালের নির্বাচন প্রতিহতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। যে সংবিধানের কথা তিনি সুযোগ পেলেই বলেন, বহু কাটাছেঁড়ার পরও সেখানে আজও আছে আইনের চোখে সমান, বৈষম্যহীনতা এবং পক্ষপাতহীন বিচারের কথা। এই সংবিধান মানলে ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি, কিন্তু ২০০৬ সালে হুকুমের আসামি শেখ হাসিনা নিজে। তবে ২০০৬ সালে মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনার একার ছিল না। তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলেন। তাঁর সন্দেহ হয়েছিল খালেদা জিয়ার ‘পরিকল্পিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তা হতে দেবে না। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা ছিল সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের, যিনি প্রায় ৩০ বছর আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। সেই রাজনীতি সংস্রব তিনি পুরোপুরি ত্যাগ করেছিলেন, এমনভাবেই ত্যাগ করেছিলেন যে অবসর নেওয়ার পর আজ ২০১৩ সাল পর্যন্ত এখনো আমরা তাঁকে বিএনপি-সমর্থক কোনো সংগঠনের কর্মসূচিতেও অংশ নিতে দেখিনি।
তবু আওয়ামী লীগ ভরসা করতে পারেনি। পারেনি তার কারণ, কারচুপির নির্বাচন (মাগুরা উপনির্বাচন) করার রেকর্ড বিএনপির ছিল, ছিল বিরোধী দলকে চরম দমন-নিপীড়নের রেকর্ডও। ছিল কে এম হাসানই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন এমনভাবে সংবিধান সংশোধনের সন্দেহজনক ঘটনা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের মিছিল থেকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে এক দিনে ঢাকায় ১১ জন মানুষকে হত্যা করে কে এম হাসানকে অপসারণে বাধ্য করা হয়েছিল। এই হত্যার দায় আওয়ামী লীগের ছিল, কিন্তু এমন চরম কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগকে ঠেলে দেওয়ার কারণে তখনকার হত্যাকাণ্ডের দায় ছিল বিএনপিরও। ২০১৩ সালে এসে নৃশংসতাকারীদের ভূমিকা বদলেছে, নৃশংসতার চিত্র বদলায়নি। আজকের হত্যাযজ্ঞ আর রাজপথে নাশকতার জন্য মূল দায়ভার বিএনপির। কিন্তু এর জন্য একইভাবে আমরা আওয়ামী লীগকেও দায়ী করতে পারি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে এম হাসান হতে যাচ্ছেন বলে বিএনপির সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিসন্ধি নিয়ে ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের সন্দেহ ছিল। এবার নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান খোদ আওয়ামী লীগ নেত্রী নিজে বলে একইভাবে সন্দিহান বিএনপি। আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ীই শেখ হাসিনা থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সংবিধান অনুসারেই কে এম হাসানেরও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা ছিল! আওয়ামী লীগ বলছে, স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করেছে তারা। স্থানীয় নির্বাচনগুলো কি আগে সুষ্ঠুভাবে করেনি বিএনপি? সব যুক্তি আসলে একই রকম, সব অজুহাত, সব অপকর্মও। ২০০৬ সালের সহিংসতা হয়েছিল ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে। ২০১৩ সালেও কি তা-ই বলা হচ্ছে না?
তিন আমরা ভোটের অধিকারের নামে এই লড়াইয়ের অবসান চাই। অবসান চাই অনাবশ্যক বিভ্রান্তির। লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মারা বেশি নৃশংস, নাকি আগুনে পুড়িয়ে মারা? এক দিনে ১১ জনের মৃত্যু কি সাত দিনে ৩০ জনের মৃত্যুর চেয়ে বেশি ভয়াবহ? রাজনৈতিক কর্মীকে পিটিয়ে মারা কি সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলার চেয়ে কম নিন্দাযোগ্য? এক দিনে ১১ জনের মৃত্যুর পর বিদেশি বন্ধুরা যেভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, এক সপ্তাহে তার চেয়ে বেশি মৃত্যুর জন্য কি একই রকম চাপ সৃষ্টি করা উচিত? তখনকার মতো এখনো কি সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা পালন করা উচিত? এ রকম গুরুতর বিতর্ক আমরা করতে পারি। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হচ্ছে নিরেট সাদামাটা সত্যিকে উপলব্ধি করা। সত্যি হচ্ছে এই, আমাদের দুই নেত্রী ক্ষমতায় এলে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চান না, পরাজয়ের ঝুঁকি নিতে চান না। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করার পর খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি কিছুটা আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আরও অনেক বেশি আন্তরিকতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকারকে কর্তৃত্বাধীন রাখার চেষ্টা করেছিলেন খালেদা জিয়া,
তিন আমরা ভোটের অধিকারের নামে এই লড়াইয়ের অবসান চাই। অবসান চাই অনাবশ্যক বিভ্রান্তির। লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মারা বেশি নৃশংস, নাকি আগুনে পুড়িয়ে মারা? এক দিনে ১১ জনের মৃত্যু কি সাত দিনে ৩০ জনের মৃত্যুর চেয়ে বেশি ভয়াবহ? রাজনৈতিক কর্মীকে পিটিয়ে মারা কি সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলার চেয়ে কম নিন্দাযোগ্য? এক দিনে ১১ জনের মৃত্যুর পর বিদেশি বন্ধুরা যেভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, এক সপ্তাহে তার চেয়ে বেশি মৃত্যুর জন্য কি একই রকম চাপ সৃষ্টি করা উচিত? তখনকার মতো এখনো কি সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা পালন করা উচিত? এ রকম গুরুতর বিতর্ক আমরা করতে পারি। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হচ্ছে নিরেট সাদামাটা সত্যিকে উপলব্ধি করা। সত্যি হচ্ছে এই, আমাদের দুই নেত্রী ক্ষমতায় এলে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চান না, পরাজয়ের ঝুঁকি নিতে চান না। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করার পর খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি কিছুটা আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আরও অনেক বেশি আন্তরিকতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকারকে কর্তৃত্বাধীন রাখার চেষ্টা করেছিলেন খালেদা জিয়া,
২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সরকারকে তার চেয়ে অনেক বেশি কুক্ষিগত করে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি সর্বদলীয় সরকার নামে মহাজোট সরকারের একটি নতুন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সরকার দৈনন্দিন কাজের নামে ভোটকে প্রভাবিত করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে (দেখুন ২৯ নভেম্বরের প্রথম আলো)। এই সরকারের নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড করে (বিএনএফকে নিবন্ধন প্রদান, আরপিও সংশোধনে বাধা না প্রদান, নিজের ক্ষমতা হ্রাসের চেষ্টা, বিতর্কিতভাবে শিডিউল ঘোষণা) সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ও আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছে। একতরফা নির্বাচন যাতে প্রতিহত না করা যায়, এ জন্য জনসমাবেশ, মিছিল এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির অধিকার সরকার হরণ করেছে, বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার, রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুরের পদক্ষেপ নিয়েছে, বিভিন্ন জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি করে প্রভাবশালী দাতাদের তুষ্ট রাখছে। অবরুদ্ধ থেকে কেবল দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালনকারী বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভীকে মাত্র কালকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতীকী হয়তো, দলীয় অফিসে গ্রেপ্তার অভিযানকালে বিএনপির নেত্রীর চেয়ারটিও নাকি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অচিরেই হয়তো গ্রেপ্তার হবেন তিনিও। এরপর হয়তো আরও বহু সহিংসতায় প্রাণ হারাবেন বা দগ্ধ হয়ে আহাজারি করবেন আরও বহু মানুষ। এর দায়ভার কতটুকু কোন নেত্রীর, তা নিয়ে আমরা আরও তর্কবিতর্ক করতে পারব।
কিন্তু মূল প্রশ্ন হচ্ছে, স্রেফ ভোটাধিকারের জন্য আর কত মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে!
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু মূল প্রশ্ন হচ্ছে, স্রেফ ভোটাধিকারের জন্য আর কত মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে!
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments