থাইল্যান্ডে আগাম নির্বাচন নাকচ

থাইল্যান্ডে ছয় দিনব্যাপী বিক্ষোভের মুখেও আগাম কোনো নির্বাচন দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। বিবিসিকে তিনি বলেন, থাইল্যান্ড পরিস্থিতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট শান্ত নয়। বিক্ষোভকারীরা একের পর এক সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো দখল করে নিতে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দেবেন না বলেও জানান ইংলাক। ইংলাক বলেন, থাইল্যান্ডে থাকসিনের শাসন নয়, নির্বাচিত সরকারের শাসন চলছে।
থাইল্যান্ডে ২০১১ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুয়ে থাই পার্টির জয়লাভের মধ্য দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন ইংলাক। বিবিসির জোনাথন হেডের সঙ্গে শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নতুন করে নির্বাচন দিলেও যে বিক্ষোভকারীরা সন্তুষ্ট হবে সে নিশ্চয়তা নেই। দেশকে ভালোবাসেন এবং দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ জানিয়ে ইংলাক বলেন, দেশের জন্য একটি জিনিসই তার দরকার, আর তা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা। দেশের পরিস্থিতি খুবই নাজুক উল্লেখ করে ইংলাক আবারও আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার থাই পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর বিরোধীদের প্রতি বিক্ষোভ বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের নেতা সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সরকার পতনে থাই বিক্ষোভকারীদের সেনা হস্তক্ষেপ কামনা : থাইল্যান্ডে ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকারের পতনে অবশেষে সেনা হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দেশটির সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। দেশটিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে বিক্ষোভকারীরা এ লক্ষ্যে স্থানীয় সেনা অধিদফতরের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়াও এই আন্দোলনের জের ধরে আরও কিছু বিক্ষোভকারী ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন দফতর এবং মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার দেশটির প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির সেনা অধিদফতরের সদর দরজা ভেঙে দফতরের সামনের মাঠে অবস্থান নিয়েছে। সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, আমরা জানতে চাই সেনাবাহিনী আমাদের পক্ষে নাকি শাসকদের পক্ষে। বিক্ষোভকারীরা এমন এক সময়ে এই অবস্থান নিল যখন ঠিক তার আগের দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সংসদে অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করে এক ভাষণে আন্দোলনকারীদের রাজপথ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সুতেপ থাউগসুবান এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমরা তাকে আর শাসন করতে দেব না। এদিকে থাই সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র কর্নেল সান্সের্ন তার এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের বোঝাব যে এটা একটা সুরক্ষিত এলাকা এবং তাদের এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করব। উল্লেখ্য, ছয় দিন ধরে চলমান এই আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ সরকার পতনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান করছে। বুধবার আন্দোলনকারীরা দেশটির মোট ১৪টি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়। বিবিসি, আলজাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.