শিশু কারখানা অভিযানে আটক ১৯ মা

এক বাড়িতেই ছিলেন ১৯ জন অন্তঃসত্ত্বা। প্রত্যেকেই চেয়েছিলেন জন্ম নেয়ার পরই সন্তানকে বিক্রি করে ফিরে যাবেন বাড়িতে। কিন্তু তার আগেই তাদের গ্রেফতার করেছে নাইজেরিয়ার পুলিশ। নাইজেরিয়ায় শিশু পাচার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি হয় প্রতারণা, তারপর মাদকের ব্যবসাসংক্রান্ত অপরাধ আর তারপরই রয়েছে শিশু পাচার। শিশু পাচার এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, পাচারকারীরা এখন আর শিশুর জন্মের অপেক্ষা করে না, তার আগেই চুক্তি করে ফেলে সন্তানের মা কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কারও সঙ্গে।
এতে বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়া কিছু মেয়ের খুব সুবিধা হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত সন্তানের কারণে সামাজিক হয়রানি এড়াতে তারা সময়মতো চলে যান দূরের কোনো মাতৃসেবা কেন্দ্রে। সেখানে নিরাপদে তারা সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরপরই বিক্রি হয়ে যায় সদ্যোজাত শিশু। শিশু বিক্রির টাকার একটা অংশ পেয়ে খুশি মনেই তখন বাড়ি ফেরেন মায়েরা। শুক্রবার উমু আহিয়া শহরের এক ঘর থেকে সেরকম ১৯ তরুণীকে গ্রেফতার করেছে নাইজেরিয়ার পুলিশ। আর কয়েকদিন পর প্রত্যেকেই মা হতেন। তারপর সন্তান বিক্রি করে কিছু টাকাও পেতেন। কিন্তু তা আর হল না। গ্রেফতার হয়ে তারা এখন হাজতে। শিশু পাচারকারীকে ধরা যায়নি। পুলিশ আসার আগেই পাচারকারী পালিয়েছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.