থাই নির্বাচনী নিবন্ধন কেন্দ্র ঘেরাও

থাইল্যান্ডে আসন্ন নির্বাচন ভণ্ডুল করতে বিরোধী বিক্ষোভকারীরা সোমবার তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করেছে। থাইল্যান্ডের রাজনীতি থেকে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও তার পরিবারকে রাজনীতির বাইরে রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিরোধী দল প্রার্থীদের নিবন্ধন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। সরকার ঘোষিত ফেব্র“য়ারির জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইচ্ছুক প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত একটি স্টেডিয়াম ঘেরাও করেছে থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। নির্বাচন হওয়ার আগে রাজনৈতিক সংস্কার করা দরকার বলে দাবি করেন তারা। সোমবার রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত থাই-জাপান স্টেডিয়াম অবরোধ করে তারা, জানিয়েছে বিবিসি। নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু সম্ভাব্য প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার স্থান হিসেবে স্টেডিয়ামটি বেছে নেয়া হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচনে অংশ নিতে ২৭ ডিসেম্বর আগেই নিবন্ধনের চেষ্টা করছে। সোমবার থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রোববার এই স্টেডিয়ামটি অবরোধের জন্য অনুসারীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতা বর্তমানে বিক্ষোভাকারীদের নেতা সুথেপ থাগসুবান। এরইমধ্যে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেট পার্টি ফেব্র“য়ারির সম্ভাব্য নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাশাপাশি, চলমান আন্দোলনের নেতা এবং ডেমোক্রেট পার্টির সাবেক জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ সুথেপ থাগসুবান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের সঙ্গে একমত নই, সংস্কার চাই। আমরা চাই, নির্বাচনের আগে যেন দেশের রাজনীতিতে সংস্কারমূলক পরিবর্তন আসে।’ সোমবার নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষ্যে সুথেপ থাগসুবান থাই-জাপানিজ স্টেডিয়ামকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলার জন্য আন্দোলনকারীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘প্রার্থিতার জন্য আবেদন করতে চাইলে তাদের অবশ্যই আমাদের পার হয়ে যেতে হবে।’ এদিকে প্রতিবেদকেরা জানিয়েছেন স্টেডিয়ামের পরিবর্তে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাংককের একটি থানায় তাদের প্রার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মোতাবেক আসন্ন নির্বাচনে ৩৪ দলের অংশ গ্রহণ থাকবে। সোমবার প্রার্থী নিবন্ধনের প্রথম দিনে বিক্ষোভকারীদের বাধা সত্ত্বেও ৯টি দলের প্রার্থীদের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ঘোষিত আগামী ২ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ইংলাক বাধ্য হয়ে নির্বাচনের ওই তারিখ ঘোষণা করে। এএফপির খবরে বলা হয়, থাইল্যান্ডে প্রায় এক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সংকটের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে সর্বশেষ অধ্যায়। এই সংকটে সাধারণত ইংলাক ও তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যাংকক ভিত্তিক এলিট নাগরিকরা রাজপথে নেমে আসে। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ গরিব লোক ইংলাক ও থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক।

No comments

Powered by Blogger.