দুই নেত্রীর সমঝোতা ও নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি by সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাঙালি জনগণ বেশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তন থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন মিলনায়তনে এ ব্যাপারে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেন এ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা? বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০১৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সমাপ্ত হবে। অতীতে নিয়ম ছিল, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে আনুমানিক ৯০ দিনের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তত্ত্বাবধায়কের মেয়াদ শেষ হয়ে যেত। এ ব্যবস্থাটির নাম ছিল নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি। এ বিধান বা ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে। এ বিধানটি সংবিধানে প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজপথ কাঁপিয়ে কঠোর আন্দোলন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। এ আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল জামায়াতে ইসলামী।
একটু পেছনে যাই। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তিনটি রাজনৈতিক জোটের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ও গণআন্দোলনের মুখে যখন পদত্যাগ করেন, তখনও একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি ১০ জন উপদেষ্টা নিয়েছিলেন। তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তরুণ পাঠকরা হয়তো জানেন না, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন শেষে আবার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। কারণ তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এ শর্ত দিয়েছিলেন- ‘আপনাদের অনুরোধে আমি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু দায়িত্ব পালন শেষে আমাকে আবার প্রধান বিচারপতি পদে ফেরত যেতে দিতে হবে।’ রাজনৈতিক দলগুলো এ শর্ত মেনে নিয়েছিল। পরে এ বিষয়টি বাংলাদেশ সংবিধানে সংশোধন করা হয়। এর জন্য প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ বা প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার কোনো অবকাশ নেই। কারণ ওই মুহূর্তে এটিই ছিল সময়ের দাবি এবং রাজনৈতিক সংকট এড়ানোর একমাত্র পথ। ১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এ বিষয়টি কারও চিন্তায় আসেনি যে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি আবার দরকার হতে পারে।
১৯৯৬ সালের মার্চে যে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তাতে কিছু ভুল-ত্র“টি ছিল। ভুল-ত্র“টি থাকাটাই স্বাভাবিক। স্থানাভাবে আমি সে ব্যাপারে আলোচনা করছি না। ১৯৯৬ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠিত দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের জুনে একবার, ২০০১ সালের অক্টোবরে একবার এবং ২০০৬ সালে একবার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। ২০০৬ সালের অক্টোবরে ক্ষমতার পালাবদল শান্তিপূর্ণভাবে ঘটেনি। কেন ঘটেনি? তার ব্যাখ্যা সংক্ষিপ্তভাবে করছি। কেননা ব্যাখ্যা না করলে ২০১৩ সালের রাজনৈতিক সংকটের কারণটি স্পষ্ট হবে না। সে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় বিএনপি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি মহোদয়দের চাকরির বয়সসীমা দু’বছর বাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন যেমন সরকার দেশব্যাপী সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা দু’বছর করে বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও বয়স বাড়ানোর অনুমোদন সম্পর্কে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি। ২০০৬ সালে প্রশ্ন উঠেছিল, হঠাৎ বিএনপি সরকার সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বয়স কেন বাড়াল? আওয়ামী লীগ বলেছিল, বিএনপি বয়স বাড়িয়েছে এজন্য যে, ওই সময় দায়িত্ব পালনরত বিচারপতি মহোদয়ের দায়িত্ব পালনে মেয়াদ বেড়ে যাবে। ফলে ২০০৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রশ্ন উঠবে, তখন নিয়ম অনুযায়ী সেই বিচারপতি কেএম হাসান মহোদয়ই হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান। ওই সময়ের আওয়ামী লীগের মতে, ওই সময়ের ক্ষমতাসীন দল বিএনপি এমনটিই প্রত্যাশা করছে। ওই সময়ের আওয়ামী লীগের মতে, প্রধান বিচারপতি কেএম হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হলে ক্ষমতাসীন দল বিএনপির সুবিধা হবে, কারণ প্রধান বিচারপতি কেএম হাসান বিএনপি মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি। সুতরাং জাতীয় নির্বাচনে সুবিধা তাদের দিকেই গড়াবে। অতএব বিচারপতি কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। কিন্তু ২০১৩ সালে স্বয়ং আওয়ামী লীগ প্রধানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হবে এবং সেই সরকারের নেতৃত্বেই সবাইকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইংরেজিতে এটাকে আয়রনি বলা যায়।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শুরু হয়েছে। প্রায় দু’বছর চার মাস আগে হঠাৎ করেই বর্তমান সরকার সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেয়। বাতিল করার আগে তারা একটি খোঁড়া অজুহাত দাঁড় করায়। সুপ্রিমকোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি-না এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার বিচারকার্য চলার সময় সুপ্রিমকোর্টই আদালতের রেওয়াজ অনুযায়ী প্রখ্যাত আইনজীবীদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এ ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করতে। দেশের প্রখ্যাত সাতজন আইন বিশেষজ্ঞ সুপ্রিমকোর্টে দাঁড়িয়ে মতামত দিয়েছিলেন গণতন্ত্র ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মধ্যে সম্পর্ক কী ধরনের। ওই সাতজনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঁচ বা ছয়জন বলেছিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ও গণতন্ত্রের মধ্যে কোনো সংঘাত নেই।’ একজন অথবা দু’জন বলেছিলেন, না, সংঘাত আছে। সুপ্রিমকোর্টের বেঞ্চের যারা শুনেছিলেন, তাদের মধ্যেও মতভেদ ছিল। বেঞ্চের তিনজন বিচারপতি বলেছিলেন, সংঘাত আছে। দু’জন বিচারপতি বলেছিলেন, সংঘাত নেই। বাংলাদেশের সংবিধানকে সংশোধন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ব্যাপারে সংবিধান সংশোধনী সুপারিশ কমিটি নামে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটি দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না এ ব্যাপারে মতামত চায়। ওই জরিপে একজনকেও পাওয়া যায়নি, যিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বা সাংঘর্ষিক এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন। সাজেদা চৌধুরী ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যারা এর নেতৃত্বে ছিলেন, তারাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিপক্ষে কোনো কথা উচ্চারণ করেননি। তাহলে সংবিধান সংশোধনী কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে সুপারিশ উপস্থাপন করল, সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রতিকূলে কিছু না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের সুপারিশসহ কীভাবে বের হয়ে এলো? জবাবে বলতেই হয়, অদৃশ্য গায়ের জোরে বা অপ্রকাশিত পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে। আর তা বাস্তবায়নের জন্য সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো আছেই। এ ইতিহাস বর্ণনা না করলে বর্তমান তরুণ সমাজের কাছে এ ঘটনা অজানা থেকে যেত। তাই এখানে তুলে ধরলাম।
এভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী প্রচার করতে থাকলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাই একে বাতিল করা হল। আসলে সুপ্রিমকোর্ট মৌখিকভাবে ৭-১০ লাইনের একটি রায় দিয়েছিলেন এবং সেখানে স্পষ্ট লেখা ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির আওতায় আরও দুই মেয়াদে নির্বাচন হতে পারে। শুধু তাই নয়, এ মৌখিক রায়ের প্রায় দেড় বছর পর তারা লিখিত রায় প্রকাশ করেন। শুধু মৌখিক রায়ের ওপর ভিত্তি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। সুতরাং গায়ের জোরে কী করা যায় বা যায় না তার উদাহরণ যদি পৃথিবীর সংবিধান রচনাকারীরা দেখতে চান, তাহলে তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে আসতে হবে গবেষণার জন্য।
বিভিন্ন মিডিয়ায় বারবার বলা হচ্ছে, দুই নেত্রী তাদের নীতিতে অনড় থাকলে দেশ কঠিন সংকটের মুখে পতিত হবে। এই দুই নেত্রীর মধ্যে একজন নেত্রীর সহকর্মী হিসেবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আমি একটি প্রশ্ন তুলতে চাই। প্রশ্নটি অনড় থাকার ব্যাপারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নিয়ম ভেঙেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বাতিল করে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া তো কোনো সংকট সৃষ্টি করেননি। তিনি শুধু নিয়মের আবর্তে থেকে জাতীয় নির্বাচন চাইছেন। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়া অনড়ও নন, নড়ও নন। তিনি স্বাভাবিকতা তথা যা ছিল তা-ই চাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যদি এ সমস্যা সৃষ্টি না করতেন, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি পুনরায় উত্থাপনের প্রশ্নটি আসত না। সুতরাং যিনি সমস্যা সৃষ্টি করেছেন, তাকেই তার অনড়ত্ব ভাঙতে হবে। এতে দেশ এক কঠিন সংকট থেকে রক্ষা পাবে। আমি দুটি আপাত অবিশ্বাস্য বিষয়ের বর্ণনা দিতে চাচ্ছি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের সারমর্ম ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি স্থাপন করতে না পারলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক চেতনা ধ্বংস হয়ে যাবে।’ ২০১৩ সালে সরকারে অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি স্থাপিত হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক চেতনা ধ্বংস হয়ে যাবে।’। ইংরেজিতে এটাকেও আয়রনি বলা যায়।
শেষে দু’-একটি কথা না বললেই নয়। পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যাওয়ার পর তারা জবাব দিল- ‘আওয়ামী লীগ হেরেছে, গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে’। এ মুহূর্তে চলমান সংকটে মানুষের নিরাপত্তা ও দেশের শান্তি বড়, নাকি সাংবিধানিক গণতন্ত্র বড়? আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রণীত, আওয়ামী সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করা পঞ্চদশ সংশোধনী, যার উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেয়া, সেই সংশোধনীর অধীনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে জেতানোর জন্য ১৮ দলীয় জোট হাসতে হাসতে নির্বাচনে যাবে, এটা কল্পনা করা অবান্তর। ২২টি টিভি চ্যানেলে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের মতামত জরিপ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার উপদেষ্টামণ্ডলী সবাই পত্রিকা পড়েন, টিভি দেখেন। নিশ্চয়ই জনমত জরিপগুলোও তাদের নজরে আসে। এসব জরিপে ক্ষমতাসীন দলের অবস্থান কী, সেটা নিশ্চয়ই তারা জানেন। তারা যদি এসব জরিপকে না মানেন বা অগ্রাহ্য করেন, তাহলে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা নির্বাচন কমিশন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে এ মুহূর্তে একটি গণভোটের ব্যবস্থা করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে কী হবে না, তার জন্য হ্যাঁ অথবা না মতামত দেবে জনগণ। জনগণ যে রায় দেবে, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ তথা সারা বিশ্বের মানুষ সেটা মেনে নেবে। অতএব শুধু জেদের বশবর্তী হয়ে দেশের মানুষকে আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রাখবেন না- এটাই কামনা ও প্রার্থনা।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক : কলাম লেখক; চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি

No comments

Powered by Blogger.