মিস ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ‘ক্লান্ত’ ওজিল, তাই বাদ রিয়াল থেকে

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো থেকে জোয়াকিম লো। স্পেন থেকে জার্মানি। রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে আর্সেনালে বিক্রি করার জন্য গত কয়েক দিন ধরে কম ক্ষোভ দেখা যায়নি।
গ্যারেথ বেলকে কিনতে কেন ওজিলকে বিক্রি করা হবে এই নিয়ে স্প্যানিশ ক্লাব কর্তাদের মুণ্ডপাত করতেও ছাড়েনি টুইটারে তাঁর সমর্থকরা। কিন্তু তাঁর — মেসুট ওজিলের রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ‘আসল’ কারণ নাকি অন্য। ক্লান্তি। মাঠে পরিশ্রমের ক্লান্তি নয়। মাঠের বাইরে। সুন্দরীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। ২৪ বছর বয়সি জার্মান ফুটবলার সুন্দরীদের আকর্ষণে এতটাই নাকি মজে ছিলেন যে বাধ্য হয়েই রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার আগে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেন রিয়াল কর্তারা। এমনটাই দাবি স্প্যানিশ মিডিয়ার।
জার্মান মিডফিল্ডারের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন নাকি প্রাক্তন মিস ভেনেজুয়েলা আইদা ইয়েসপিকা। ৩১ বছর বয়সি মডেলের সঙ্গে সময় কাটাতে সুযোগ পেলেই ওজিল উড়ে যেতেন মিলান আর প্যারিসের হোটেলে। হপ্তা দুয়েক অন্তর ১৫ হাজার পাউন্ড গাঁটের কড়ি খরচ করে উড়ে যেতেন ইয়েসপিকার কাছে। চার্টার্ড বিমানে। কাকভোরের সেই বিমানযাত্রা আবেগের ভেলায় ভেসে এতটাই দীর্ঘায়িত হত যে ওজিলের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব অবশ্যম্ভাবী ছিল।

ক্লান্তির কারণ মিস ভেনেজুয়েলাওজিলের নতুন বান্ধবী ম্যানি ক্যাপরিস্টো যদিও প্রেমিকের এই ‘দুষ্টুমি’ জানেন কি না পরিষ্কার নয়। স্প্যানিশ মিডিয়ার একটি অংশের দাবি, তাঁর জার্মান পপ তারকা বান্ধবী ম্যানি নাকি প্রেমিকের কাছাকাছি থাকতে ইংল্যান্ডেই চলে আসতে চান। ওজিলকে চোখে চোখে রাখার জন্যই কি ম্যানির এই সিদ্ধান্ত? মিডিয়ার একটা অংশ সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

একটা সময় ওজিলের পূর্বপুরুষরা তুরস্ক থেকে জার্মানি চলে আসেন। ওজিল নিজেও খুব ধর্মপ্রাণ। তাঁর বান্ধবী যদিও জার্মানির রীতিমতো সেলিব্রিটি। টিভি শো-এ তাঁকে প্রায়ই দেখা যায়। ব্রিটিশ মিডিয়াতেও ম্যানিকে নিয়ে আগ্রহ তাই তুঙ্গে। দু’জনের জুটির নামই হয়ে গিয়েছে, ‘জার্মান পশ অ্যান্ড বেকস’।
ব্রিটিশ মিডিয়ায় আবার শোনা যাচ্ছে ম্যানি হার্টফোর্ডশায়ার ট্রেনিং গ্রাউন্ডের আশেপাশে ডেরা বাঁধার পরামর্শ এক কথায় নাকচ করে দিয়েছেন। হয়তো ট্রেনিংয়ের সময় প্রেমিকের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চান না বলেই। বান্ধবীর কড়া শাসনে ওজিল এখন কতটা ‘ক্লান্তি’ কাটিয়ে উঠতে পারেন এখন সেটাই দেখার।

তবে ওজিল নিজে এক সাক্ষাৎকারে জানান, আর্সেন ওয়েঙ্গারের এক ফোন তাঁকে রিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে। এমনকী তিনি বিনামূল্যেও আর্সেনালে আসতে নাকি রাজি ছিলেন। “ওয়েঙ্গার আমাকে বলেছিলেন, রিয়ালে যে বিশ্বাস, স্বচ্ছতা, সম্মান আমি পাইনি সেটাই আর্সেনালে পাব,” বলেছেন ওজিল।

No comments

Powered by Blogger.