কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর

মোহাম্মদ মুরসি
 কেন ও কীভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট মুরসি?
ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মুরসি দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পাশাপাশি মিসরের অনেকেই মনে করছিলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে তিনি তেমন কিছুই করেননি। মুরসির ইসলামপন্থী সমর্থক ও তাঁদের বিরোধী বামপন্থী, উদারপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিরোধ এতটাই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যে মিসর কার্যত দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গত ৩০ জুন ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুরসির দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তি। মুরসির পদত্যাগের দাবিতে গড়ে ওঠা তামারোদ (বিদ্রোহ) আন্দোলন ওই দিন দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিলে লাখ লাখ লোক রাস্তায় নামেন। সেনাবাহিনী মুরসিকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীসরকার।
 সেনা হস্তক্ষেপের পর থেকে কী ঘটেছে?
সেনা হস্তক্ষেপের পর
মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁর সমর্থকেরা। বিক্ষোভের একটি কেন্দ্রছিল কায়রোর প্রেসিডেন্ট গার্ড সদর দপ্তর এলাকা। অনেকের ধারণা মুরসিকে প্রেসিডেন্ট গার্ড সদর দপ্তরেই বন্দি রাখা হয়েছে। সেখানে ৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫১ জন মুরসি-সমর্থক নিহত হন। এ ছাড়া রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের বাইরে মুরসি-সমর্থকদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী ২৭ জুলাই গুলি চালালে নিহত হন আরও অন্তত ৭০ জন।
 ১৪ আগস্ট ঠিক কী ঘটেছিল?
নিরাপত্তা বাহিনী কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের বাইরে ও নাহদা চত্বর থেকে মুরসি-সমর্থকদের সরিয়ে দিতে ১৪ আগস্ট সকালে অভিযান শুরু করে। সেদিনের অভিযানে পাঁচ শ জনের বেশি নিহত হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও এ সময়প্রাণহারায়।
 এরপর কী হতে পারে?
সেনাপ্রধান সিসি বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আদলি মানসুর দায়িত্বে থাকবেন। মানসুর মুরসি সরকারের প্রণীত সংবিধান পুনর্বিবেচনা এবং ২০১৪ সালের শুরুর দিকে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। সিসি অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কী হবে বা সেখানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.