‘ড. ইউনূস রাষ্ট্রদ্রোহী’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ড. ইউনূস একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। কারণ তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন। এর জন্য তার বিচার হওয়া উচিত।
আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা: বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলদল এ সেমিনারের আয়োজন করে। এ সময় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার এই সরকারের আমলেই সম্পন্ন করা হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো সরকার গঠন করবে।  আলোচ্য বিষয়ে তিনি বলেন, কলুষিত ছাত্র রাজনীতি শিক্ষাঙ্গনকে যেদিন থেকে আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে ধরেছে, সেদিন থেকে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আজকের শিক্ষাব্যবস্থা কতটা নাজুক তা ৭৩ সালের ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন অধ্যাদেশ এবং ২০০৫ সালের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন পর্যালোচনা করলেই পরিষ্কার বোঝা যাবে। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আমাদের আলোকিত শিক্ষাব্যবস্থাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। বর্তমানের একাত্তরের চেয়ে বেশি নব্য রাজাকার জন্ম নিয়েছে, যারা এদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো‏হাম্মদ সেলিম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া সেমিনারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান, নীলদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.