সংলাপ ও ইন্টারপোল পর্যালোচনা

পৃথিবীতে পতিত হয়ে আদম ও হাওয়া প্রথম যা করেন, তা হলো সংলাপ। তাঁদের মধ্যে সংলাপ হয় আগে, অন্যান্য কাজকর্ম আরও পরে। প্রথম প্রভাতে তাঁরা যে সংলাপ শুরু করেন, তাঁদের ছেলেমেয়ে ও সন্তানসন্ততি তা অব্যাহত রেখেছে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত। সব রকমের কথাবার্তাই সংলাপ, তবে একা একা যদি কেউ কথা বলে, তা ঘরের মধ্যেই হোক বা মাইকের সামনে হোক, তা সংলাপ নয়—একালাপ। যার কথা বলার আছে কিন্তু শোনার কেউ নেই, সে একালাপ করে। নাটকের মঞ্চে স্বগতোক্তি চলে, কিন্তু জীবনের মঞ্চে, বিশেষ করে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে স্বগতোক্তি বা একালাপের চেয়ে সংলাপের মূল্যই বেশি। বাংলাদেশে সংলাপ জিনিসটির চেয়ে ওই শব্দটির মূল্য বেশি। দুগ্ধপোষ্য শিশু সদ্য যার দাঁত উঠেছে নিচের পাটিতে দুটি আর ওপরের পাটিতে দুটি—তারাও আজ এই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কেবল হাঁটতে শিখেছে এমন শিশুও ‘সংলাপ’ শব্দটি জানে। প্রতিদিন, প্রতিমূহূর্তে টিভির পর্দায়, পত্রিকার পাতায়, অফিসকক্ষে, আলোচনার টেবিলে, মুদিদোকানে, বাস-ট্রেন-লঞ্চের খোলের মধ্যে, হাটবাজারে—এমন কোনো জায়গা নেই, এমন মানুষ নেই যেখানে ও যার মুখে ধ্বনিত হচ্ছে না সংলাপ শব্দটি। খবরের কাগজের পাতাজুড়ে সংলাপ, টিভি টক শোর সর্বজ্ঞদের মুখে সংলাপ। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত সংলাপ যে রোজকেয়ামতের আগে হবে, তা কোনো সাবালকের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন।
হুজুররা যখন প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে মাও ঝে দোঙের মতো ঢাকার দিকে লংমার্চের প্রস্তুতির কথা বলেছিলেন এবং তাঁদের সময়সীমা ৫ মে এগিয়ে আসছিল, তখন টিভির পর্দায় শুনলাম সংলাপের ‘আহ্বান’। ‘যেকোনো জায়গায়’ ‘যেকোনো বিষয়ে’ সংলাপ হতে পারে বলে শোনা গেল। ত্রিকালদর্শী প্রবীণদের কারও কারও কাছে দৌড়ালেন সাংবাদিকেরা। একমুহূর্ত ভাবনা-চিন্তা না করে তাঁরা শোকরানা আদায় করে বললেন, ‘এত দিনে আশার আলো দেখছি।’ আমার মতো দ্বিকালদর্শী ও দ্বিদলদর্শী নৈরাশ্যবাদীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো, আমি প্রশ্নকর্তাদের হতাশ করে দিয়ে বললাম: এসব কিচ্ছু না, কথার কথা মাত্র।
আমার সামান্য আক্কেলে বুঝতে পেরেছিলাম সংলাপ ‘যেকোনো জায়গায়’ হওয়া সম্ভব নয়। যদি প্রথম পক্ষ থেকে বলা হয়, চলুন যাই নদীর মধ্যে, নৌকায় বসে হাওয়া খাই আর আলাপ করি। দ্বিতীয় পক্ষের স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতারা দাঁড়িয়ে যাবেন। একবাক্যে বলবেন, সংলাপ নদীর মধ্যে হতেই পারে না। এ এক বিরাট চালাকি। নৌকা তাদের নির্বাচনী প্রতীক। সংলাপ কভার করতে গিয়ে চ্যানেলগুলো যখন লাইভ দেখাবে যে নৌকা দুলছে তখন নির্বাচনী প্রচার অর্ধেক হয়ে যাবে। যে লক্ষ্যে সংলাপ—দ্বিতীয় পক্ষের সেই উদ্দেশ্যটাই যাবে ভেস্তে।
দ্বিতীয় পক্ষ যদি প্রস্তাব দেয় যে চলুন পাকা ধানের খেতের আল দিয়ে হাঁটি আর আলাপ করি। তৎক্ষণাৎ অন্য পক্ষ খেপে যাবে। যাদের নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ। তাদের সঙ্গে নৌকাঅলারা পাকা ধানের খেতের ত্রিসীমানায় যেতেই পারেন না। বৃষ্টি-বাদলার দিনে কোনো ছাতিমগাছের তলায়ও সংলাপ হওয়া সম্ভব নয়। আদৌ হলে সংলাপ উপযুক্ত কক্ষেই হতে হবে। তবে লুই কানের ডিজাইন করা বড় দালানটির কক্ষে হওয়াই ভালো।
প্রথম পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ছাড়া’ ‘যেকোনো বিষয়ে’ আলোচনা হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হওয়াও কঠিন। কোনো পক্ষ থেকে যদি বলা হয় বরইর আচার বড়ই মজা, শুনলেই জিহ্বায় পানি আসে; অপর পক্ষ বলবে, আমের কাশ্মীরি আচারের ওপর আচারই হয় না। তবে আমরা কিছুটা ছাড় দিতে পারি যদি তেঁতুলের আচার মেনে নেন। কোনো পক্ষই মানামানির মধ্যে নেই। সংলাপের শেষ পর্যায়ে খেতে বসে যদি এক পক্ষ দেখে প্লেটে টাকি মাছের ভর্তা, সঙ্গে সঙ্গে অন্য পক্ষ বলবে শুঁটকির ভর্তা কোথায়? আপ্যায়নে এত অবহেলা? খামু না। ওখানেই সংলাপের ভবিষ্যৎ শেষ।
মনে হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেতাদের ঘরবাড়ি, কাগজ-কলম বলে কিছুই নেই। সবই রাজপথে, জনসভায় ও মুখে মুখে। কাউকে চায়ের দাওয়াত চিঠিতে দুলাইন লিখে অথবা ফোনে দেওয়াই ভালো। বিশাল জনসভা থেকে ঘোষিত হলো চায়ের দাওয়াত। যে দাওয়াতের ভেন্যু গুলশানের কোনো বাড়ি না কোনো পাঁচতারা হোটেলের লবি, তা বলা হয়নি। সত্যি সত্যি যদি কাঙ্ক্ষিত অতিথি আমন্ত্রয়িতার বাসভবনে পরদিন সাড়ে সাতটায় গিয়ে হাজির হতেন—কী অবস্থা হতো? হোস্ট হয়তো তখনো থাকতেন ঘুমিয়ে। কাজের লোকেরা সম্মানিত অতিথিকে এক পেয়ালা চা আর বগুড়ার দই দিয়ে আপ্যায়িত করতেন, কিন্তু তাতে চা-ই খাওয়া হতো, সংলাপ হতো না।
রাজনৈতিক বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপের একটা রীতিনীতি আছে। উভয় পক্ষেরই প্রাথমিক কাজ দলীয় নেতাদের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। একটা সিদ্ধান্ত ও দ্বিতীয় বিকল্প সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা। তারপর হোমওয়ার্ক করা। কোন কোন নেতা আলোচনায় দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাঁদের নির্বাচন করা। একটি রাষ্ট্র কোনো ছেলেখেলার জিনিস নয়। জনগণ কোনো হেলাফেলার পাত্র নয়। মুখ দিয়ে খুশিমতো ধাঁ করে কিছু বললাম আর সব হয়ে গেল, তা নয়। সরকারি পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে বলা হচ্ছে, সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলছেন, প্রায় প্রতিদিন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান থাকার প্রশ্নে কোনো আপস নেই।’ তাই যদি হয়, তাহলে দ্বিতীয় পক্ষ কী করে বলে—চলেন, আপনাদের সঙ্গে আপস করতে সংলাপে বসি। নির্বাচনে যদি আমরা ৩৫টি আসন পাই, তা হবে পরম পাওয়া। গতবারের তুলনায় গোটা পাঁচেক বেশি। বিচিত্র নামীয় সংগঠন প্রতিদিন আলোচনা সভার আয়োজন করছে। কোনো সংগঠন সরকারপক্ষীয় ও চেতনাপন্থী। কোনো সংগঠন বিরোধীপক্ষীয়—তারা মধ্যপ্রাচ্যপন্থী। কোনোটি প্রাক্-মধ্যযুগপন্থী। চেতনাপন্থী আলোচনা সভায় মহাজোটের কয়েকজন নেতা অবধারিতভাবে বক্তা থাকছেন। নেতারা বলছেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই আগামী নির্বাচন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হবে। কখনো কখনো তাঁদের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে এই সংসদই থাকবে, প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন এবং ঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। তাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে, যেদিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে, সেদিন আগের ৩৫০ এবং নতুন ৩০০ মোট আমাদের সাংসদ হবে ৬৫০। অবশ্য তা অল্প সময়ের জন্য। এসব কথার কথা। নেতাদের কথার কারণেই এসব কথা উঠছে।
কয়েক দিন টেলিভিশনের পর্দায় শোনা গেল, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইল অর্থাৎ ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ব্যবস্থার মতো চলবে। এর মধ্যে ধর্মের হেফাজতকারীরা জিহাদের ডাক দিলেন। সময়সীমাও বেঁধে দিলেন। চতুর্দিকে আকাশ-বাতাস মুখরিত হলো হুংকারে। যেসব অমূল্য দফা তাঁরা ঘোষণা করলেন তার যুগোপযোগিতা সম্পর্কে প্রশ্ন করে এমন দুটো মাথা কার ঘাড়ের ওপরে আছে? কিন্তু তাঁরা ভুল করলেন অথবা তাঁদের বুদ্ধিজীবীরা ও দফা রচয়িতারা ভুল করলেন সংখ্যার ব্যাপারে। কিরো বলেছেন, ১৩ সংখ্যাটি আনলাকি। এদিকে সরকার মনে করল, হয়তো হেফাজতের জন্য ১৩ সংখ্যাটি লাকি। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিলেন—বাংলাদেশ মুসলমানদের ‘স্তান’ সব মানুষের ‘দেশ’ নয়—সুতরাং তা চলবে ‘মদিনা সনদ’ অনুযায়ী। হতে পারে কথাটা কথার কথা! কিন্তু মহাজোটের সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধকারী বাম দলের নেতাদের কেউ প্রতিবাদ করলেন না। বাম নেতাদের অবস্থা এখন অনেকটা আওয়ামী নেতাদের পেয়াদার মতো। তাঁদের ভোট না থাকলেও তাঁদের যে শক্ত রাজনৈতিক আদর্শ ছিল, সে জন্য মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধার চোখে দেখত, সে কথা তাঁরা ভুলে গেছেন। একজন মানুষের জীবনে ক্ষমতার রাজনীতিই সব নয়। তা যে নয় তার জন্য মহাত্মা গান্ধী, জয়প্রকাশ নারায়ণ বা মওলানা ভাসানীর দৃষ্টান্তের প্রয়োজন নেই। এই ভারতবর্ষে অগণিত আদর্শবান রাজনীতিক আগে তো ছিলেনই—আজও আছেন অনেকে। যাঁদের কাছে মন্ত্রিত্ব বা এমপিত্ব অতি তুচ্ছ। বামদেরও দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাদের সাংগঠনিক শক্তি সীমিত। তাই তাদের কাছে পুরোনো দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী তত্ত্বের চেয়ে সময়োপযোগী আম-ছালাতত্ত্ব বেশি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু বড় দলের নেতাদের কী অবস্থা? যখন প্রতিদিন আলোচনা সভায় বিরোধীদলীয় নেতাকে গালাগাল করেন তখন তাঁরা মহাবীর আলেকজান্ডার। গর্জন করেন সিংহের মতো। যখন তাঁরা নিজের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় যোগ দেন, দলীয় নেতার সামনে খরগোশের চেয়ে লাজুক ও শান্ত। দলের স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সঠিক কথাটি বলাকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে না। এখন বরং বিশ্বাস হয়, উদ্দীনীয় প্রশাসনের সময় তাঁরা এমন কিছু করেছেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, যার জন্য এখন খোশামুদি করা ছাড়া মুখ খোলার সাহস নেই। একই অবস্থা বিএনপির নেতাদেরও।
বিএনপি বুঁদ হয়ে আছে ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায়। খালেদা জিয়া আলটিমেটাম দিলেন। তিনি সময় বেঁধে দিলেন ৪৮ ঘণ্টা। একটা বাড়ি বদল করতেও এক সপ্তাহ সময় লাগে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাটা যে হেফাজতিদের হাতে তুলে দেবেন তার একটা গোছগাছ করতেও ১০-১৫ দিন সময় প্রয়োজন। ৪৮ দিন সময় দিলেও পারতেন। ৫ মে ঢাকায় আসা ‘মুসাফির ও মেহমানদের খাদ্য-পানীয় দিয়ে সহায়তার জন্য তাঁদের পাশে’ থাকতে ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানালেন। ঢাকাবাসীর মধ্যে কিছু যে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সমর্থকও আছেন তা তিনি জানেন। ৬ মে ভোররাতে ঢাকাবাসী তো দূরের কথা, নয়াপল্টনের কর্মীরাও তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন না। বরং সেদিন সুবহে সাদিকের সময় নয়াপল্টনের অফিসের বাসিন্দারা জাতীয় কবির গজল গেয়েছেন। চত্বর থেকে মুসাফিররা ঘরে ওরফে মাদ্রাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন চোখে পানি নিয়ে। তখন এক হাতে পানির বোতল ও আরেক হাতে খানার প্যাকেট নিয়ে জামায়াত-বিএনপি-জাতীয় পার্টির নেতারা গেয়েছিলেন নজরুলের গজল:
মুসাফির মোছ এ আঁখি-জল
ফিরে চল আপনারে নিয়া।
তাঁদের সবাই আপনারে নিয়া ফিরে যেতে পারেননি। অনেকের জায়গা হলো হাসপাতালের বারান্দায়। বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে সরকার মারাত্মক আন্তরিক। সে কথা বান সাহেবের সুদর্শন সহকারীকে বলে দিয়েছেন। এখন যদি বিরোধী দল বলে, সংলাপে যামু। যেইখানে যাইবার কন সেইখানে বসুম গিয়া। তবে ইন্টারপোলের লোকদের কইয়া দেন আমাদের দলের ‘পলাতক’ আসামিকে সংলাপের দুই-চার দিন পরে যেন ধইরা ঢাকায় আনে। বিরোধী দলকে সংলাপে বসার আহ্বান আর ইন্টারপোলকে দড়ি নিয়ে এগিয়ে আসার আমন্ত্রণ—দুটো একসঙ্গে শোভন নয়। লন্ডনে ‘গেটিসবার্গ বক্তৃতা’র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুদকের কর্মকর্তারা মালকোঁচা মেরে নামলেন। তাতে দুটি কাজ হলো: দুদকের চেয়ারম্যানের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ার সম্ভাবনা এবং সংলাপের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা। সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সরকারি দলের নেতাদের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিও শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ গরিব, কিন্তু তারা গণতন্ত্র পছন্দ করে। সংবাদমাধ্যমের ওপর আঘাত, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, হামলা-মামলা, ইন্টারপোল দিয়ে দলের নেতাকে পাকড়াও করার ইচ্ছা প্রকাশ—এসব মানুষ পছন্দ করে না। যে দেশে জনসংখ্যা বেশি এবং মানুষের মাথা গরম, সেখানে সরকারের মাথা ঠান্ডা না হলে বড় বিপত্তি এড়ানো সম্ভব নয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলামলেখক।

No comments

Powered by Blogger.