গিলানির ছেলে অপহূত দেহরক্ষী নিহত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির এক ছেলেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে অপহরণ করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এ সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ও এক দেহরক্ষী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর খবরে বলা হয়, মুলতানের উপকণ্ঠে মাতিতাল এলাকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে আলী হায়দার গিলানির ব্যক্তিগত সহকারী ও এক দেহরক্ষী নিহত হন। আহত হন আরও পাঁচজন। এখনো কোনো পক্ষ এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে নিষিদ্ধঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান সম্প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল, নির্বাচন সামনে রেখে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (ন্যাপ) মতো ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোকে তারা কোনো ছাড় দেবে না। পুলিশ কর্মকর্তা খুররাম শাকুর সাংবাদিকদের জানান, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে এবং ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে আলী হায়দার গিলানিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আলী হায়দার ওই সময় দলীয় সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। বন্দুকধারীরা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা একটি গাড়িতে হায়দারকে উঠিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায় পুলিশ কর্মকর্তা শাকুর বলেন, ‘আমরা ওই এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছি।’ টেলিভিশনে দেখা গেছে, ভাইকে হারিয়ে গিলানির আরেক ছেলে আলী মুসা গিলানি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি পিপিপির ক্ষুব্ধ সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি কাল প্রাদেশিক নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। গিলানির অপহূত ছেলে পিপিপির হয়ে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর অন্য দুই ভাই জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে লড়াই করছেন।

No comments

Powered by Blogger.