আসামিপক্ষের শত কৌশলেও এগিয়েছে ট্রাইব্যুনাল by জাকিয়া আহমেদ ও জেসমিন পাঁপড়ি

২০১২ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যে গতি পেয়েছিল, তাকে স্থবির করে দিতে বছরের শেষ ভাগে এসে আসামিপক্ষ একের পর এক আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ।
এ ক্ষেত্রে তাদের ইস্যু, এ ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী চেয়ারম্যানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ বেলজিয়ামের ব্রাসেলস প্রবাসী বাংলাদেশি আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপি সংলাপ।

মূল বিচারকাজ বন্ধ রেখে এসব আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে বছরের শেষভাগে এসে প্রায় অচলাবস্থায় পড়ে গেছে ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক কার্যক্রম। তবে ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারিক কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে ঠিক মতোই।

সব মিলিয়ে দুই ট্রাইব্যুনালে চলমান ১৪ মামলার মধ্যে ২ মামলার বিচারিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ শেষ করে রায় যে কোনো দিন দেবেন বলে সিএভি রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল। একটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষের পথে। বাকি ৬টি মামলার কার্যক্রম সাক্ষ্যগ্রহণ এবং ৫টি মামলার কার্যক্রম তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।    

তবে ‘ডিসেম্বরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় প্রদান শুরু’- বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী-এমপিদের দেওয়া এমন বক্তব্যকে মিথ্যা করে কোনো রায় ছাড়াই ২০১২ সাল পার করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সারা বছরই নানা আবেদন ও বর্জনসহ আসামিপক্ষের নানা কৌশলী বাধায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিচার কার্যক্রম। তারপরও নিজস্ব গতিতে চলে ৯টি মামলার কাজ এগিয়ে নিতে সক্ষম হওয়া ট্রাইব্যুনাল সারা বছরই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন।

শেষ হয়েছে দুই মামলার কার্যক্রম
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত ও বিএনপির ১৪ জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন আছে। এগুলোর মধ্যে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সাবেক রোকন (সদস্য) পলাতক আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলার সকল ধাপ শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন তাদের রায় ঘোষণা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ ও ট্রাইব্যুনাল-২।

বাচ্চু রাজাকারের বিচার কাজ শুরুর মধ্য দিয়েই শুরু হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর কার্যক্রম। চলতি বছরের ২৫ মার্চ কাজ শুরু করেন দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ২২ মার্চ নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুমতি দেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এর পর নতুন ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর। অন্য দুই সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ট্রাইব্যুনাল-১ এর রেজিস্ট্রার মো. শাহীনুর ইসলাম।

বিচারপতির পদত্যাগ
ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরুর পর থেকে বিদায়ী বছরই বিভিন্ন কারণে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় বিদায় নিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারপতি। এ বছরের ২৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ। তার স্থলাভিষিক্ত হন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। বছরের শেষে এসে ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন একই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক।

বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে দু’টি ট্রাইব্যুনালকেই পুর্নগঠন করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরকে করা হয় ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান( বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য ছিলেন)। তার স্থলে ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসেন বিচারপতি আনোয়ার উল হক। 

অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য ওবায়দুল হাসানকে করা হয় ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান। নতুন সদস্য হিসেবে এখানে যোগ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিঞা।

সাঈদীর মামলা
রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদারের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় ২০১২ সালের কার্যক্রম শুরু হয়। ১০ জানুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে তার এলাকার সংসদ সদস্য আউয়াল তার সাক্ষ্য প্রদান করেন। এরপর একে একে সাঈদীর বিরুদ্ধে মূল সাক্ষী, জব্দ তালিকার সাক্ষী এবং তদন্ত কর্মকতার কাছে দেওয়া জবানবন্দিকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণসহ এ মামলায় মোট ৪৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিনসহ রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৩ অক্টোবর সাঈদীর পক্ষে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে নিহত শহীদ ভাগীরথির ছেলে গণেশ চন্দ্র সাহার সাক্ষ্য গ্রহণসহ মোট ১৭ জন সাফাই সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। এর আগে ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ২০ জন সাফাই সাক্ষীর নাম গ্রহণ করেন।
এর মধ্যে গত ৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিশা বালীর ভাই সুখরঞ্জন বালী ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এলে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে তাকে সাদা পোষাকধারী প্রশাসনের লোকে অপহরণ করে নিয়ে যান বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন।

কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তাদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা না নেননি বলে অভিযোগ তুলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনাল বর্জন করেন এবং এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে বক্তব্য দেন। পরে ৬ নভেম্বর আইনজীবী তাজুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনাল-১ এজলাসকক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষ হলে আসামিপক্ষও তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। টানা এক মাস যুক্তিতর্ক শেষে গত ৬ ডিসেম্বর মামলার রায়ের জন্য সিএভিতে(যে কোনো সময় দেওয়া হবে) মর্মে রেখে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের মধ্যে সাঈদীর বিচার সবার আগে শুরু হয়। ২০১১ সালের ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
স্কাইপি সংলাপ প্রসঙ্গ

সাঈদীর মামলাটি যখন রায়ের জন্য সময়ের অপেক্ষা করছিল ঠিক সে সময় ঘটে যায় ভিন্ন ঘটনা। গত ৬ ডিসেম্বর বিদেশি পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপ প্রকাশ করতে চাওয়ায় এ পত্রিকার বিরুদ্ধে রুল জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

এরপর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ধারাবাহিক ভাবে স্কাইপি সংলাপ প্রকাশ করা শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নিজামুল হক গত ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন।

গোলাম আযম
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ বছরের শুরুতেই গত ৯ জানুয়ারি জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রসিকিউশনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাকে ১১ জানুয়ারি আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিন গোলাম আযম ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এখন পর্যন্ত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়ে সাফাই সাক্ষ্য শুরু হয়েছে। তবে বার বার প্রথম সাফাই সাক্ষী গোলাম আযমের ছেলে ও তার আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে হাজির না থাকায় সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সাকা চৌধুরীর বিচার চলছে
২০১০ সালে বিএনপির ডাকা ২৭ জুনের হরতালের আগের দিনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে প্রথমবারের মতো সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সাকার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, দেশান্তর, লুটপাট, লোকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে চট্টগ্রামের গুডস হিলে নির্যাতন করাসহ ২৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট’৭৩ এর ৩২(২) এর এ, সি, জি এবং এইচের ধারাগুলো অনুসারে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

এগিয়ে চলছে ট্রাইব্যুনাল-২
অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারাধীন জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এ মামলাটির রায়ের জন্য যে কোনো দিন ধার্য রয়েছে। এ আসামি মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলার কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরুর দিন ধার্য রয়েছে।

বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম, জামায়াতে আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

অন্যদিকে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম, আব্দুস সুবহান ও দিগন্ত মিডিয়ার চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলী ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বন্দি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

আসামিপক্ষের আবেদন 
তবে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর থেকেই আসামিপক্ষ বিচার বিলম্বিত করতে নতুন কৌশলের আশ্রয় নেন। তারা গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলা পুর্নবিচারের (রি-ট্রায়াল) আবেদন করেন। যদিও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট’৭৩ এর ৬ (৪) এবং ৬(৬) এ স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বিচার কাজ যেটা যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকেই শুরু করা যাবে। একজন বিচারপতি অনুপস্থিত থাকলে বা না থাকলে (যে কোনো কারণেই বিচারপতি পরিবর্তন হতে পারেন) বিচার ব্যবস্থা কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না।’

তারপরও পুনর্বিচারের দাবিতে গোলাম আযমের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গত ১৯ ডিসেম্বর ৬শ’ পৃষ্ঠার লিখিত আবেদন করেন। ২৪ ডিসেম্বর থেকে এর শুনানি শুরু করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

অন্যদিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে পুনর্বিচারের আবদেন করা হয় ২৩ ডিসেম্বর। নিজামীর পক্ষে ২শ’ ১৪ পৃষ্ঠা ও সাঈদীর পক্ষে ৬শ’ পৃষ্ঠার আবেদন করেন তারা। এ আবেদনগুলোরও শুনানি চলছে।

তবে এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘তারা যে সব আবেদন করেছেন তা আইনে টেকে না। এ আইনে রি-ট্রায়াল করার কোনো সুযোগ নেই।’’

এদিকে সুযোগ বুঝে সাকা চৌধুরীও একের পর এক অঅবেদন করছেন। মূল বিচারকাজ বন্ধ রেখে এসব আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে বছরের শেষভাগে এসে প্রায় অচলাবস্থায় পড়ে গেছে ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক কার্যক্রম।

No comments

Powered by Blogger.