মজার খবর- কথা বলা তিমি
তিমির কণ্ঠে মানুষের স্বর! শুনে অনেকেই হয়ত চমকে উঠবে। তবে ঘটনা কিন্তু মিথ্যা নয়। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি বেলুগা তিমির স্বর প্রায় মানুষের মতো হয়ে উঠেছে।
তিমির স্বরে মানুষের কণ্ঠস্বরের মতো শব্দ শুনে বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। এখন পর্যন্ত একমাত্র ডলফিন ছাড়া আর কোন প্রাণীকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে মানুষের কথার শব্দ নিখুঁতভাবে ও এত বেশি সময় ধরে নকল করা শেখানো যায়নি। নয় বছর বয়সী এই বেলুগা প্রজাতির তিমিটির নাম এনওসি। এনওসির স্বরের রেকর্ডকৃত অংশে দেখা যায়, তিমিটি পাশ্চাত্য সঙ্গীত সারগামের অক্টেভ প্রায় আয়ত্ত করে ফেলেছে। তবে তিমির উৎপন্ন শব্দটি কোত্থেকে আসছে তা নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। বেলুগা তিমিদের সৃষ্ট ধারাবাহিক উচ্চ তরঙ্গের শব্দের জন্য তাদের ‘সাগরের ক্যানারি’ বলে ডাকা হয়। তিমিদের মানুষের মতো শব্দ উৎপন্ন করার কথা এর আগে শোনা গেলেও কেউ এর রেকর্ডকৃত কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল মেরিন ম্যামাল ফাউন্ডেশনের এক ডুবুরি একদিন ডুব দিয়ে উঠে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে আমাকে যেতে বলল!’ পরে ওই শব্দের উৎস হিসেবে এনওসিকে শনাক্ত করে তার স্বর রেকর্ড করা হয়। এনওসির স্বরের রেকর্ড বিশেষণ করে দেখা যায়, তা তিমির চেয়ে মানুষের স্বরের সঙ্গেই বেশি মিলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মেরিন ম্যামাল ফাউন্ডেশনের প্রধান স্যাম রিজওয়ে বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে মানুষের মতো শব্দ উৎপন্ন করার জন্য তিমিটিকে তার স্বর তৈরির কলাকৌশলের উন্নয়ন করতে হয়েছে। আমরা যে শব্দ শুনেছি তা বেলুগা তিমির স্বরশীলনের এক পরিষ্কার উদাহরণ।সবচেয়ে বড় ফুল
সবচেয়ে বড় ফুল কোথায় পাওয়া যায় জানো? বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলের নাম হয়তো অনেকেই জানো। আবার অনেকে নাও জানতে পারো। সবচেয়ে বড় ফুলটির নাম অরুম টাইটান। বৈজ্ঞানিক নাম আমের ফোক্যাল্যাস টাইটানাম। সুইজারল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম শহর বাসেলের উদ্ভিদ উদ্যানে চার দিন আগে ফুটেছে ফুলটি। খবর পেয়ে দর্শনার্থীরা ভিড় করছে ফুলটি এক নজর দেখার জন্য। কারণ ফুলটি সচরাচর ফোটে না। বছরে একবার অথবা দ্বিতীয়বার কখনও ফোটেই না। তবে ফুলটি দেখতে গেলে একটি অসহ্য গন্ধ হজম করতে হয়। কারণ অরুম টাইটান ফুলের গন্ধ পচা মাংসের মতো। তবুও চোখের তৃপ্তির জন্য বাসেলের উদ্ভিদ উদ্যানে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ফুলটির উচ্চতা প্রায় দুই দশমিক সাতাশ মিটার। অরুম টাইটানের উৎপত্তি স্থান ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে। নিজস্ব পরিবেশের বাইরে ফুলটি সুইজারল্যান্ডে দেখা যায়। ২০১১ সালের এপ্রিলে প্রথমবার ফুলটি ফুটেছিল বাসেলের উদ্ভিদ উদ্যানে। তবে তারও আগে ১৯৩৬ সালে সর্বপ্রথম ফুলটি সুইজারল্যান্ডে দেখা যায়।
ইব্রাহিম নোমান
সূত্র : ডেইলি মেইল
No comments