ফুলেল শুভেচ্ছা কবীর চৌধুরীকে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ দাবি- সংস্কৃতি সংবাদ

 বসার ঘরের পুরোটাই ফুলে ফুলে ছেয়ে গিয়েছিল। শিশু যুবক বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষ এসেছিলেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর বাসভবনে। প্রিয় ব্যক্তিত্বকে মঙ্গলবার দিনভর তাঁরা 'শুভ জন্মদিন' বলেছেন।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার আদর্শ পুরম্নষের ৮৮তম জন্মদিনটি তাই প্রকৃত অর্থেই রঙিন হয়ে ধরা দিয়েছিল। এদিন জন্মদিনের অনুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, জীবন দীর্ঘ হলেও একঘেয়ে হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগোনোর ফলে এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে নানা বৈচিত্র্য। নিজের লেখার বেলাতেও এ বৈচিত্র্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় লেখাগুলো পাঠকের কাছে একঘেয়ে হয়ে উঠত। বর্তমানের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, সাউথ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সাহিত্যের অনুবাদ করার পর এখন আমি আফগানিসত্মানের লেখক খালেদ হোসাইনের একটি বইয়ের অনুবাদের কাজ করছি। বহির্বিশ্বের সাহিত্য সম্পর্কে এদেশের পাঠকদের জানার সুযোগ করে দিতে তাঁর এ প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ফুল, নিজের লেখা প্রিয় বই, জন্মদিনের কেকসহ নানা উপহার নিয়ে কবীর চৌধুরীর বাসভবনে আসতে থাকেন। দুপুরের খানিকটা সময় বিশ্রামে কাটানোর পর ফের বিকেলে শুরম্ন হয় শুভেচ্ছা গ্রহণের পালা। এ সময় গাঢ় মেরম্নন রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত কবীর চৌধুরীকে আরও একবার 'চির তারম্নণ্যের' মনে হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৰে এদিন লেখককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার প্রলয় জোয়ার্দার। একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটির পৰে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী, বিচারপতি গোলাম রাব্বানীসহ অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে ফুল দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, খেলাঘর, ক্রানত্মি, বাংলা জার্মান সম্প্রীতি, দি জেনারেশন, রবীন্দ্র একাডেমীসহ বহু সংগঠন দিনভর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় লেখককে। এদিন কন্যা শাহীন কবীর, নাঈমা কবীর, নাতনি এশা কবীরসহ শুভেচ্ছা জানাতে আসা ভক্ত অনুরাগীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে ৮৮তম জন্মদিনের কেক কাটেন কবীর চৌধুরী। সকলেই এসময় করতালি দিয়ে এ প্রিয় মানুষের সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। জন্মদিন উপলৰে এদিন তথ্যবহুল একটি স্যুভিনিয়রও প্রকাশ করে ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটি। সব মিলিয়ে তাই বেশ উপভোগ্য ছিল জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিনটি।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবি পুনর্ব্যক্ত করল সাংস্কৃতিক জোট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের ন্যাক্কারজনক হামলা ও ছাত্র খুনের ঘটনার প্রেৰিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। শিাথর্ী খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিবাদসভা থেকে এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুছ, ম. হামিদ, লায়লা আফরোজ, হাসান আরিফ, সালাউদ্দিন বাদল, আহমেদ গিয়াস, জামশেদ আনোয়ার তপন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবির আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে এ গোষ্ঠীটি। আলস্নাহর নাম মুখে নিয়ে ছাত্রদের রগ কাটছে তারা। দ্রম্নত স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা না হলে এ প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে সরকারকে সতর্ক করে দেন বক্তারা। এ প্রসঙ্গে ধর্মভিক্তিক রাজনীতি বন্ধ করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তাঁরা।
আগামী ১ মার্চ থেকে দেশব্যাপী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরম্ন হবে বলেও জানানো হয় প্রতিবাদসভায়।
প্রতিবাদসভা শেষে শুরম্ন হয় দ্বিতীয় দিনের একুশের অনুষ্ঠানমালা। এদিন একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন মহাদেব ঘোষ, মলয় কুমার গাঙ্গুলী। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী। একক আবৃত্তি করেন সোলায়মান কবির হোসেন, মৌমিতা, জহিরম্নল হক খান। দলীয় আবৃত্তি করে উৎস। ভোরের পাখির শিশুরা চমৎকার নাচ পরিবেশন করে।

ইফ্ফাত আরা দেওয়ানের একক গানের আসর বেঙ্গলে
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের শিক আনত্মর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ অমিয় দাশগুপ্তের কন্যা অলকনন্দা দাশগুপ্ত প্যাটেল এখন ঢাকায়। তাঁর জন্ম ও কৈশোর কেটেছে বাংলাদেশে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে রয়েছে তাঁর প্রভূত জ্ঞান। তাই তাঁর সম্মানে মঙ্গলবার এক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এতে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ান।

No comments

Powered by Blogger.