এবতেদায়িতে পাস ৯২.৪৫- জেডিসিতে ৯০.৮৭%

আট বোর্ডের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটের (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পাশাপাশি গতকাল বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) ও এবতেদায়ি (পঞ্চম শ্রেণীর সমমান) পরীক্ষার ফলও ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে এবতেদায়িতে পাসের হার ৯২.৪৫ এবং জেডিসিতে ৯০.৮৭ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ ফল প্রকাশ করেন। এর আগে সকালে গণভবনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন।
এবতেদায়িতে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৪ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ৯২.৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে সংযুক্ত এবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৯১.৩২ এবং স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় পাসের হার ৯২.৬২ শতাংশ। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও পাসের গড়ে ছেলেরা এগিয়ে। ছাত্রদের পাসের হার ৯৩.২৮ এবং ছাত্রীদের ৯১.৭১ শতাংশ। ৯৬.৭৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে বরিশাল বিভাগ।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই হাজার ৯২০ জন। এ ছাড়া জিপিএ ৪ থেকে ৫ পেয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩৪ জন, জিপিএ ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ পেয়েছে ৪৬ হাজার জন, জিপিএ ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ পেয়েছে ৫৪ হাজার ১৮৬ জন, জিপিএ ২ থেকে ৩ পেয়েছে ৮৫ হাজার ২৭৭ জন এবং জিপিএ ১ পেয়েছে ২৭ হাজার ৪৭৭ জন।
৯৯.৬৭ শতাংশ পাসের হার নিয়ে ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে বরগুনা। ৫০৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৩টিতে শতভাগ পাস রয়েছে। পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা (৬৯.৮৩ শতাংশ)। উপজেলাগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জের লাখাইয়ে পাসের হার সর্বনিম্ন (৫০.৯৮ শতাংশ)।
ফলাফলে সেরা হয়েছে ডেমরার দারুন-নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসা হয়েছে দ্বিতীয়।
জেডিসিতে মোট তিন লাখ ৩৪ হাজার ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে তিন লাখ তিন হাজার ৫৬২ জন। পাসের হার ৯০.৮৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই হাজার ৭৮৪ জন, যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৭৭০ জন বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর ০.৮৩ শতাংশ জিপিএ ৫ পেয়েছে। এ ছাড়া ২৩.১৮ শতাংশ পেয়েছে জিপিএ ৪, জিপিএ ৩ পেয়েছে ২১.৭৬ শতাংশ, জিপিএ ২ পেয়েছে ২০.১৯ শতাংশ এবং জিপিএ ১ পেয়েছে ৯২.১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। এবার দুই হাজার ১০২টি মাদ্রাসা থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল মাত্র চার। ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর শতভাগ অনুত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৪।
জেডিসির ফলাফলে মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর ডেমরার দারুন-নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা। এ বছর এই মাদ্রাসা থেকে ২৮৩ জন শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮৭ জন।

No comments

Powered by Blogger.