হলমার্কের ব্যাংক জালিয়াতির টাকা উদ্ধার কত দূর?

ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যাংকের শাখায় শাখায় হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের পর বৈঠকেও অনুমোদন মেলে না তাঁদের ঋণ প্রস্তাবের। তাঁদের পুরনো ঋণের পুনঃ তফসিলীকরণেও রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নিয়মকানুন। তবে ভুঁইফোড় অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধা নয় কোনো কিছুই।


এমনকি ভুয়া ঋণপত্র দেখিয়ে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একটি শাখা থেকেই সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা তুলে নিতেও বেগ পেতে হয়নি এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ নামের একটি গোষ্ঠী ঋণপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে একাই হাতিয়ে নিয়েছে দুই হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ব্যাংকের ইতিহাসে একক বৃহত্তম এই জালিয়াতির ঘটনাটি উন্মোচিত হয়েছে তিন মাস আগে। এত দিনেও সেই টাকা উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি বা বদলি করা ছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও তেমন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে সোনালী ব্যাংকে, যে ব্যাংকটি সরকারের ট্রেজারি ব্যাংক হিসেবে কাজ করে এবং যার মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য স্বেচ্ছায় অনুদান গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই ব্যাংকের একটি শাখা থেকে পুকুরচুরির এই ঘটনা বিশেষজ্ঞদের কাছেও একটি বড় বিস্ময়। ঘটনাটি নিয়ে এখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত চালাচ্ছে। তবে বের হয়ে যাওয়া এই অর্থের কতখানি শেষ পর্যন্ত ফেরত আসবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞ ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, এ ধরনের চাতুরীতে বন্ধকি জমির অতিরিক্ত ও অবাস্তব দাম দেখানো হয়। আইনগত প্রক্রিয়ায় আদায়ও অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এটিকে দৈবাৎ কোনো ঘটনা হিসেবে দেখেন না বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
তাঁদের কাছে ঘটনাটি রাষ্ট্র খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও তদারকি ভেঙে পড়ার জ্বলন্ত উদাহরণ। তাঁদের মতে, কমবেশি এ চিত্র রাষ্ট্র মালিকানার প্রায় সব ব্যাংকেই রয়েছে, যেখানে পরিচালনা পর্ষদে সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটান। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও প্রভাব খাটানো হয়। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হলমার্ক গ্রুপকে বিপুল অঙ্কের টাকা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টার প্রভাব থাকার কথা দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে। শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে অনেক সময় ফেঁসে যান এমন নজিরও রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা।
এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদকের তদন্তদল। আজ হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে বিশদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান খান বলেন, এটি দৈবাৎ কোনো ঘটনা নয়। কেবল ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা এ কাজটি করেছেন, এমন মনে করারও কারণ নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রায় সব ব্যাংকেই কমবেশি এই অবস্থা।
বাংলাদেশে ব্যাংক সেবার ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনার আর কোনো নজির মনে করতে পারেননি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এতে প্রমাণ হয় ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা (ইন্টারনাল ম্যানেজমেন্ট) ভেঙে পড়েছে। তদারকি ব্যবস্থা কার্যকর নয়। তা ছাড়া গভর্ন্যান্স প্রবলেমও প্রকট, যার জন্য বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের দুর্বলতা দায়ী।
এ ধরনের ঘটনায় পুরো অর্থ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সব সময় সংশয় থাকে বলে তিনি জানান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই 'ওভার-ভ্যালুড মর্টগেজ' দেখানো থাকে, যা বিক্রি করে প্রকৃত টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব হয় না। তা ছাড়া আইনগত প্রক্রিয়াও অনেক সময়সাপেক্ষ।
চাতুরির ঘটনা প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত তদন্তেই ধরা পড়ে। তারপর সোনালী ব্যাংক নিজেই তদন্ত করে বিস্তৃত প্রমাণ পায়। এ ঘটনায় জড়ানো হয় আরো কয়েকটি ব্যাংককে। আগের তদন্তের ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন অন্যান্য ব্যাংকের সম্পৃক্ততার অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, হলমার্ক গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে রপ্তানি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলা হয় সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায়। একসময় কিছু এক্সপোর্ট এলসি ভুয়া পাওয়া যাওয়ার পরও এ ধরনের এলসির বিপরীতে স্থানীয় এলসি খোলা অব্যাহত থাকে। এ ধরনের বেশ কিছু এলসি আবার বিক্রি করা হয় অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে। সেগুলোতে সোনালী ব্যাংকের অনুমোদন থাকায় ওই সব এলসির বিপরীতে অর্থ পরিশোধে বাধ্য তারা। এভাবে সরাসরি ঋণের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকের দায়ও যোগ হয়েছে সোনালী ব্যাংকের হিসাবে।
এলসি নিয়ে ছল-চাতুরির পুরো চিত্র পেতে চলমান তদন্তের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, হলমার্ক গ্রুপের বন্ধকি জমির মূল্য যাচাই করে এবং এখনো নিষ্পন্ন হয়নি এমন রপ্তানি ঋণপত্রের অর্থ সমন্বয় করার পর বোঝা যাবে বের হয়ে যাওয়া অর্থের কতখানি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। সর্বশেষ উপায় হিসেবে অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধকি জমি বিক্রি করে পাওনা আদায়ের উদ্যোগ নিতে পারে সোনালী ব্যাংক।
কারসাজির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা বের করে নেওয়ার এই ঘটনায় হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ ও চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে আজ দুদকে তলব করা হয়েছে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি আজ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এর আগে সোনালী ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কারসাজি করে হাতিয়ে নেওয়া মোট অর্থের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ বের করে নিয়েছে দুই হাজার ৭৩১ কোটি টাকা।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বলা হলেও হলমার্ক গ্রুপ পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য নয়। এর ওয়েবসাইটটিও নির্মাণাধীন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন) রয়েছে। জানা গেছে, সাভারের হেমায়েতপুরে প্রতিষ্ঠানটির কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ ও চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী জেসমিন ইসলাম।
এ ছাড়া আরো পাঁচটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার এই ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন হলমার্ক গ্রুপের কর্ণধার তানভীর মাহমুদ, প্যারাগন গ্রুপের সাইফুল ইসলাম, খানজাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের আবদুল জলিল শেখ, ডি অ্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেডের শফিকুর রহমান, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের তসলিম হাসান ও নকশী নিট লিমিটেডের আবদুল মালেক।
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার (যা আগে শেরাটন শাখা নামে পরিচিত ছিল) কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে বিপুল এই অর্থ বের করে নিয়েছে হলমার্ক ও অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের বিভিন্ন সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসার পর তারা ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়। এর ভিত্তিতে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদককে তদন্তের অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশ্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
জানা গেছে, হলমার্ক গ্রুপ সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে নানা কারসাজি করে মোট দুই হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বের করে নিয়েছে। এই শাখা থেকে আরো কয়েকটি কম্পানি মিলে একই প্রক্রিয়ায় মোট তিন হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার ঋণদায় তৈরি করে। সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব তথ্য বের হয়ে এসেছে। প্রতিবেদনে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ও সহকারী শাখা ব্যবস্থাপকের পাশাপাশি প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম), উপমহাব্যবস্থাপক ও শাখা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এই ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকটির ৪১ জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে হলমার্কের নামে সর্বাধিক ঋণ সৃষ্টি হয়। এত বড় একটি ঋণদায়ের ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে যখন হলমার্ক টাকা বের করে নিচ্ছিল, তখন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন হুমায়ুন কবীর। বর্তমানে ব্যাংকটির এমডি পদে কাজ করছেন প্রদীপ কুমার দত্ত।
কারসাজির নমুনা : ব্যাংক থেকে হলমার্কের নেওয়া পৌনে তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও চলতি মূলধনজাতীয় ঋণও আছে। তবে এ অর্থের ৮০-৮৫ ভাগই নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয় ঋণপত্র (এলসি) খুলে বের করে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ হলমার্ক গ্রুপ রূপসী বাংলা শাখাতে সুতা কিনতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ও স্টার স্পিনিং মিলসের অনুকূলে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থানীয় ঋণপত্র খোলে। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তিনটিও একই শাখার গ্রাহক। একই দিনে এই এলসির অর্থ পরিশোধে নিশ্চয়তা (একসেপটেন্স) দেয় হলমার্ক গ্রুপ। তার বিপরীতে শাখাটি তিন প্রতিষ্ঠানের (একসেপটেন্স বিল কিনে নিয়ে) হিসাবে টাকা জমাও করে দিয়েছে। এলসির প্রক্রিয়াটি ছিল কাগজপত্রে। কিন্তু নির্ধারিত অংশ জমা রেখে (মার্জিন) ব্যাংক তিন কম্পানির হিসাবেই টাকা জমা করে দেয়।
এর কয়েক দিন পরই এই প্রতিষ্ঠান তিনটি ওই পুরো টাকা হলমার্ককে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেয় ব্যাংককে। ব্যাংক যথারীতি এই তিন প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে অর্থ কেটে হলমার্কের হিসাবে জমা করে দেয়। পরে হলমার্কের হিসাব থেকে সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা একটি চলতি হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে টাকাগুলো কৌশলে বের করে নেয় হলমার্ক গোষ্ঠী। আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ও স্টার স্পিনিং মিলস এবং সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা চলতি হিসাবগুলো অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান। এগুলো প্রকৃত অর্থে হলমার্কের বেনামি প্রতিষ্ঠান বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক জানিয়েছে, হলমার্ক গ্রুপ বেআইনি ও নিয়মবহির্ভূতভাবে সোনালী ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে সীমার বাইরে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন নামে হাতিয়ে নিয়ে গেছে। এটাকে ঋণ বলে অভিহিত করা যায় না।
আরো জানা গেছে, এরই মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ জামানত হিসেবে দুই হাজার ১৯০ ডেসিমেল জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই জমির মূল্য দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। আরো এক হাজার ৩০০ ডেসিমেল জমি জামানত হিসেবে রাখার কথা বলেছে। এসব জমির প্রকৃত মালিক হলমার্ক গ্রুপ কি না তার সত্যতা যাচাই করতে এরই মধ্যে ব্যাংকের তিনটি কমিটি কাজ করছে। এ ছাড়া ব্যাংকের আইনজীবী দিয়েও মালিকানার বিষয়টি নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিপুল এই অর্থ লোপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য ঢাকায় সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জব্দ করেছে দুদক। গত ১ আগস্ট দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান দলের সদস্যরা ওই ছয়টি কম্পানির ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন ও ঋণ গ্রহণ-সংক্রান্ত সব ধরনের নথি জব্দ করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে হলমার্ক গ্রুপের কোনো কর্মকর্তার সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হলমার্ক গ্রুপে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হলমার্ক গ্রুপ নামসর্বস্ব কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করেনি। এমনকি সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপ কোনো অর্থ আত্মসাৎ বা জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

No comments

Powered by Blogger.