গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

রাজশাহী ॥ রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক ব্যক্তি খুনের ২০ ঘণ্টার মাথায় এবার জেলার চারঘাটে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। উপজেলার নাওদাড়া পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে বুধবার গত রাতে দুর্বৃত্তরা এ নৃশংস ঘটনা ঘটায়। নিহতের নাম শফিকুুল ইসলাম মোল্লা।


তিনি উপজেলার মুক্তারপুর আন্দারীপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ও সারদা ট্রাফিক মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী। পুলিশ এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী ও নিহত শফিকুল ইসলামের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে শফিকুল (৩০) ও মুক্তারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান (৬০) সারদা বাজার থেকে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নাওদাড়া পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দু’জনকেই গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এ সময় হাবিবুর কৌশলে বাঁধন খুলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও দুর্বৃত্তরা শফিকুল ইসলামকে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় খুন করে লাশ বেঁধে রেখেই চলে যায়।
পরে পালিয়ে আসা হাবিবুর গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানালে এলাকার লোকজন রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছে বাঁধা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়।
চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক খান জানান, লাশ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে মোশাররফ হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা হাবিবুরের দেয়া তথ্য যাচাইÑ বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার তওফিক মাহবুব চৌধুরী, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার এসএম ইমরান হোসেন, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদ, চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা নিহতের পরিবাররে সান্ত¡না দিতে গেলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পুলিশ সুপার যে কোনো মূল্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে চারঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.