ভিন্ন ধারার মার্কিন কূটনীতিক ক্রিস্টি কেনি

কখন গলা ব্যথা করছে, কখন খেতে ইচ্ছা করছে লাচ্ছি, কখন ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ে ত্যক্তবিরক্ত—নিজের এসব ব্যক্তিগত খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জানছে তাঁর কথা। অথচ একজন কূটনীতিক সাধারণত এভাবে নিজেকে প্রকাশ করেন না।
তিনি থাইল্যান্ডে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টি কেনি। কূটনীতিকেরা সাধারণত যে কেতাদুরস্ত ভাব নিয়ে রাখঢাকের ভেতর থাকেন, ক্রিস্টি তেমন নন। ৫৬ বছর বয়সী এই নারী কূটনীতিক বলেছেন, ‘কূটনীতি হচ্ছে সম্পর্কের উন্নয়ন। অবশ্য তা দুটি দেশের মধ্যে। এ ছাড়া দুই দেশের মানুষের মধ্যেও হূদ্যতা বাড়াবেন তাঁরা।’
কেনির প্রতিদিনের কাজের ব্যাপারে টুইটারের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার লোক খোঁজখবর রাখে। কেনি বলেন, ‘সাধারণ লোকজনের সঙ্গে এভাবেই আমার চেনাজানা হয়। এর মাধ্যমে তারা বুঝতে পারে, একজন কূটনীতিককেও কাছে পাওয়া যায়। তারা বুঝতে পারে, একজন কূটনীতিক একটি বড় ভবনের মধ্যে আটকে থাকা কোনো ব্যক্তি নন।’
গত বছর আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস প্রকাশিত গোপন তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক জন এক তারবার্তায় থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। গত জানুয়ারিতে কেনিকে থাই রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্যাংককে পাঠায় ওয়াশিংটন।
থাইল্যান্ডের মানুষের কাছাকাছি যেতে কেনি সে দেশের ভাষা শিখেছেন। থাই ভাষায় দারুণ পারদর্শিতার জন্য এক মাস আগে তাঁকে পুরস্কার দিয়েছে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, কেনি ইন্টারনেটের গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের আরও কাছাকাছি যেতে সে দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতিও রপ্ত করছেন। কূটনীতির ক্ষেত্রে কেনির এই সামাজিক কর্মকাণ্ড ও যোগাযোগ কোনো উপকারে আসবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

No comments

Powered by Blogger.