সব মিলিয়েই এই পাকিস্তান
বল ট্যাম্পারিং, ম্যাচ পাতানো, ডোপ-কলঙ্ক, নিরাপত্তা সমস্যা, গণপদত্যাগ, বহিষ্কার, ড্রেসিংরুমে মারামারি, খুনের অভিযোগ—কোন সমস্যাটায় গত কয় বছরের মধ্যে পড়েনি পাকিস্তান! পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে একের পর এক ‘বেখবরে’ যেন গা সওয়া হয়ে গেছে ক্রিকেট-বিশ্বের।
একটার পর একটা খবর, তার প্রতিক্রিয়ায় হাস্যকর সব ঘটনা জন্ম দিয়ে দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা, সহানুভূতির এতটুকু আর অবশিষ্ট রাখেনি এই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তার পরও কোথাও যদি কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা টিকে থেকে থাকে, এই ধাক্কায় সেটুকুও শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ফাঁস করা সর্বশেষ কেলেঙ্কারিতে মনে হচ্ছে, এখনো ম্যাচ গড়াপেটার শেকড় রয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে প্রথম যখন ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারির ঝড় উঠল, তখন দলেই ছিলেন আমির সোহেল। এর পর থেকে কখনো কর্মকর্তা হিসেবে, কখনো বিশ্লেষক হিসেবে দেখছেন এসব নাটক।
সব দেখেশুনে খেপে যাওয়া সোহেল বলছেন, ‘দুনিয়ার জঘন্যতম ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা হলো আমাদের। কোনো রকম দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা-টরিকল্পনা ছাড়াই আমরা টিকে আছি স্রেফ দর্শকদের অনিঃশেষ ভালোবাসার কারণে।’ তবে এই ভালোবাসারও একটা সীমা আছে বলে মনে করছেন আরেক সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক, কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদ, ‘সমর্থকেরাও এই বিশৃঙ্খল দলটার কাছ থেকে অনেক সহ্য করেছে।’
কিন্তু পাকিস্তানেই কেন এমন হবে? পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক কামরান খানের মতে, এ সবকিছু ঘটছে খেলাধুলায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে, ‘কোনো দেশেই প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী এভাবে একটা ক্রীড়া সংস্থার প্রধান নির্বাচন করে না। পাকিস্তানে তাঁরা যখন বোর্ডের লোকজন মনোনীত করে, তখন যোগ্যতাকে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এরপর আবার এদের জবাবদিহি বলে কিছু নেই। আর এসব কিছুই হলো আমরা দলে যা দেখছি তার উৎস।’
এই রাজনৈতিক, সামাজিক, ক্রিকেটীয় সমস্যাকে এক করে দেখতে পারার উপযুক্ত মানুষ হলেন ইমরান খান। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়কের মতে পাকিস্তানের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের ওপর, ‘খেলোয়াড়েরা যখন দেখে প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদেরা বসে আছে, লোকেরা অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে; তখন তারা ভাবে, আমরাও এভাবে পার পেয়ে যাব।’
শেষ পর্যন্ত বিশ্লেষণ যা-ই বলুক, এটা ক্রিকেটের জন্যই লজ্জা। লজ্জা একসময় বিশ্বকাপটা পাকিস্তানে নিয়ে আসতে পারা ইমরানদের জন্যও। শেষতক তাই লজ্জায় অবনত ইমরানের মাথা, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই কেলেঙ্কারিটা পাকিস্তানের ক্রিকেটের নৈতিকতা নাড়িয়ে দেওয়া একটা ঝড় হয়ে এল। যেখানে যাচ্ছি, লোকেরা জিজ্ঞেস করছে, কী হচ্ছে এসব! বড়ই বেদনাদায়ক পরিস্থিতি।’
একটার পর একটা খবর, তার প্রতিক্রিয়ায় হাস্যকর সব ঘটনা জন্ম দিয়ে দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা, সহানুভূতির এতটুকু আর অবশিষ্ট রাখেনি এই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তার পরও কোথাও যদি কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা টিকে থেকে থাকে, এই ধাক্কায় সেটুকুও শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ফাঁস করা সর্বশেষ কেলেঙ্কারিতে মনে হচ্ছে, এখনো ম্যাচ গড়াপেটার শেকড় রয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে প্রথম যখন ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারির ঝড় উঠল, তখন দলেই ছিলেন আমির সোহেল। এর পর থেকে কখনো কর্মকর্তা হিসেবে, কখনো বিশ্লেষক হিসেবে দেখছেন এসব নাটক।
সব দেখেশুনে খেপে যাওয়া সোহেল বলছেন, ‘দুনিয়ার জঘন্যতম ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা হলো আমাদের। কোনো রকম দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা-টরিকল্পনা ছাড়াই আমরা টিকে আছি স্রেফ দর্শকদের অনিঃশেষ ভালোবাসার কারণে।’ তবে এই ভালোবাসারও একটা সীমা আছে বলে মনে করছেন আরেক সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক, কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদ, ‘সমর্থকেরাও এই বিশৃঙ্খল দলটার কাছ থেকে অনেক সহ্য করেছে।’
কিন্তু পাকিস্তানেই কেন এমন হবে? পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক কামরান খানের মতে, এ সবকিছু ঘটছে খেলাধুলায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে, ‘কোনো দেশেই প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী এভাবে একটা ক্রীড়া সংস্থার প্রধান নির্বাচন করে না। পাকিস্তানে তাঁরা যখন বোর্ডের লোকজন মনোনীত করে, তখন যোগ্যতাকে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এরপর আবার এদের জবাবদিহি বলে কিছু নেই। আর এসব কিছুই হলো আমরা দলে যা দেখছি তার উৎস।’
এই রাজনৈতিক, সামাজিক, ক্রিকেটীয় সমস্যাকে এক করে দেখতে পারার উপযুক্ত মানুষ হলেন ইমরান খান। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়কের মতে পাকিস্তানের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের ওপর, ‘খেলোয়াড়েরা যখন দেখে প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদেরা বসে আছে, লোকেরা অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে; তখন তারা ভাবে, আমরাও এভাবে পার পেয়ে যাব।’
শেষ পর্যন্ত বিশ্লেষণ যা-ই বলুক, এটা ক্রিকেটের জন্যই লজ্জা। লজ্জা একসময় বিশ্বকাপটা পাকিস্তানে নিয়ে আসতে পারা ইমরানদের জন্যও। শেষতক তাই লজ্জায় অবনত ইমরানের মাথা, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই কেলেঙ্কারিটা পাকিস্তানের ক্রিকেটের নৈতিকতা নাড়িয়ে দেওয়া একটা ঝড় হয়ে এল। যেখানে যাচ্ছি, লোকেরা জিজ্ঞেস করছে, কী হচ্ছে এসব! বড়ই বেদনাদায়ক পরিস্থিতি।’
No comments