আমির হতে পারেন অন্য উদাহরণ
মাত্র ১৮ বছর বয়স; মাত্র ১৪টি টেস্ট, ১৫টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা। ক্রিকেট-দুনিয়াটা ভালোভাবে বুঝে ওঠার আগেই তাঁর বলে ঝরল আগুন। সবাই বলতে শুরু করল—নতুন ওয়াসিম আকরাম। প্রশংসাটা হজম করারও সময় পেলেন না মোহাম্মদ আমির।
এর মধ্যেই বলের আগুন জ্বলল বিতর্ক হয়ে। শোনা গেল, স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত অমিত প্রতিভাধর এই পাকিস্তানি তরুণ। পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বশেষ বিতর্ক নিয়ে চারদিকে যতটা ‘ছি ছি’ রব, তার চেয়েও বেশি আমিরকে নিয়ে আক্ষেপ-আশঙ্কা। এই অন্যায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আমির না শেষ হয়ে যায়!
এই শঙ্কা থেকেই বিকল্প একটা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল আথারটন। তাঁর মতে, দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি না দিয়ে আমিরকে বরং ‘সুস্থ’ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
দ্য টাইমস-এ লেখা কলামে আথারটন লিখেছেন, ‘মানছি, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে অন্যদের সাজা দিয়ে আমিরকে ছেড়ে দেওয়াটা অন্যায় হবে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, আমিরই হতে পারে এই সময়ের দুর্দান্ত এক প্রতীক—কী ছিলে, কী আছ আর কী হতে পারো।’
আরও একটু ব্যাখ্যা করে আথারটন বলছেন, আমিরকে যদি বুঝিয়ে, সুশিক্ষা দিয়ে সৎ জীবনে ফেরানো যায়; তাহলে সেটা বাকি ক্রিকেটারদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে। অন্তত বাকি তরুণেরা বুঝবে অন্যায় না করেও ক্রিকেট থেকেই অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব, ‘ওকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে। ক্রিকেট থেকেই যে কত কিছু অর্জন করা সম্ভব, তার উদাহরণ হিসেবে ওকে তৈরি হয়ে উঠতে সহযোগিতা করতে হবে। পাকিস্তানের ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত করার উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকা উচিত আমিরের পুনর্বাসন প্রকল্প। মনে রাখবেন, এই প্রতিভাধর বোলারটি কিন্তু সমস্যার কারণ নয়, সমস্যার করুণতম এক শিকার মাত্র।’
তবে আথারটনের এসব প্রস্তাব আদৌ কেউ ভেবে দেখবেন কি না, সেই সদিচ্ছা কারও আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। আর আমির দোষী প্রমাণিত না হলে তো পুনর্বাসনের প্রসঙ্গই আসছে না!
আমিরের বড় ভাই মোহাম্মদ ইজাজের দাবি, আমির অপরাধী নন। আমিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমির খুবই হতাশ, ভেঙে পড়েছেন। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবিও নাকি করেছেন। আর আমিরের কথার ওপর দারুণ বিশ্বাস আছে তাঁর ভাইয়ের। সেই বিশ্বাস থেকেই এখন ‘সত্য’র মুখ চেয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন, ‘আমরা ওকে বিশ্বাস করি, কারণ আমরা ওর চরিত্রটা খুব ভালো করে জানি। ও একবার যখন বলেছে ও নির্দোষ, অবশ্যই নির্দোষ। আমরা ওকে বলেছি শক্ত থাকতে। কারণ সত্যি বেরিয়ে আসবেই।’
এর মধ্যেই বলের আগুন জ্বলল বিতর্ক হয়ে। শোনা গেল, স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত অমিত প্রতিভাধর এই পাকিস্তানি তরুণ। পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বশেষ বিতর্ক নিয়ে চারদিকে যতটা ‘ছি ছি’ রব, তার চেয়েও বেশি আমিরকে নিয়ে আক্ষেপ-আশঙ্কা। এই অন্যায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আমির না শেষ হয়ে যায়!
এই শঙ্কা থেকেই বিকল্প একটা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল আথারটন। তাঁর মতে, দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি না দিয়ে আমিরকে বরং ‘সুস্থ’ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
দ্য টাইমস-এ লেখা কলামে আথারটন লিখেছেন, ‘মানছি, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে অন্যদের সাজা দিয়ে আমিরকে ছেড়ে দেওয়াটা অন্যায় হবে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, আমিরই হতে পারে এই সময়ের দুর্দান্ত এক প্রতীক—কী ছিলে, কী আছ আর কী হতে পারো।’
আরও একটু ব্যাখ্যা করে আথারটন বলছেন, আমিরকে যদি বুঝিয়ে, সুশিক্ষা দিয়ে সৎ জীবনে ফেরানো যায়; তাহলে সেটা বাকি ক্রিকেটারদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে। অন্তত বাকি তরুণেরা বুঝবে অন্যায় না করেও ক্রিকেট থেকেই অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব, ‘ওকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে। ক্রিকেট থেকেই যে কত কিছু অর্জন করা সম্ভব, তার উদাহরণ হিসেবে ওকে তৈরি হয়ে উঠতে সহযোগিতা করতে হবে। পাকিস্তানের ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত করার উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকা উচিত আমিরের পুনর্বাসন প্রকল্প। মনে রাখবেন, এই প্রতিভাধর বোলারটি কিন্তু সমস্যার কারণ নয়, সমস্যার করুণতম এক শিকার মাত্র।’
তবে আথারটনের এসব প্রস্তাব আদৌ কেউ ভেবে দেখবেন কি না, সেই সদিচ্ছা কারও আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। আর আমির দোষী প্রমাণিত না হলে তো পুনর্বাসনের প্রসঙ্গই আসছে না!
আমিরের বড় ভাই মোহাম্মদ ইজাজের দাবি, আমির অপরাধী নন। আমিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমির খুবই হতাশ, ভেঙে পড়েছেন। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবিও নাকি করেছেন। আর আমিরের কথার ওপর দারুণ বিশ্বাস আছে তাঁর ভাইয়ের। সেই বিশ্বাস থেকেই এখন ‘সত্য’র মুখ চেয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন, ‘আমরা ওকে বিশ্বাস করি, কারণ আমরা ওর চরিত্রটা খুব ভালো করে জানি। ও একবার যখন বলেছে ও নির্দোষ, অবশ্যই নির্দোষ। আমরা ওকে বলেছি শক্ত থাকতে। কারণ সত্যি বেরিয়ে আসবেই।’
No comments