ক্ষুধা মোকাবিলায় পোকামাকড়!

পোকামাকড় দিয়ে তৈরি বাগসালাদ
ক্ষুধা মোকাবিলায় পোকামাকড় খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে জাতিসংঘ। সাধারণ খাদ্যদ্রব্যের ওপর চাপ কমাতে সংস্থাটি বিশ্ববাসীকে বেশি বেশি পোকামাকড় খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, পোকামাকড়ে পুষ্টিমান যেমন রয়েছে, তেমনি তা পরিবেশের দূষণ রোধেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্তত ২০০ কোটি লোক সহায়ক খাদ্য হিসেবে পোকামাকড় ভক্ষণ করছে।
ভিমরুল, কাঁচপোকাসহ অন্যান্য পোকামাকড় বর্তমানে মানুষের খাদ্যের উপাদান ও জীবিকা হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। পোকামাকড় চাষ করার মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা ও নিরাপত্তা মেটানো সম্ভব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সর্বত্রই পোকামাকড় পাওয়া যায় এবং দ্রুতই এরা বংশ বৃদ্ধি করে। তাদের জন্মহার ও খাদ্য রূপান্তরের হার অনেক বেশি। পরিবেশগত ক্ষতির মাত্রাও কম।
কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, পোকামাকড়ে উচ্চমাত্রার প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ যেমন চর্বি ও খনিজ উপাদান রয়েছে। তাঁরা বলেন, অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুদের জন্য পোকামাকড় হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক খাবার।
এফএও বলছে, সাধারণ খাবারকে ভোজ্য মাংসের মতো পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে পোকামাকড়ের ব্যবহার ‘খুবই কার্যকর’। যেমন: একই পরিমাণ প্রোটিন উৎপাদনের জন্য গবাদিপশুর চেয়ে ১২ গুণেরও কম ঝিঁঝিপোকার প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া বেশির ভাগ পোকামাকড়ের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা কম। যেমন: শূকরের মতো প্রচলিত প্রাণীগুলোর চেয়ে পোকামাকড় থেকে অনেক কম অ্যামোনিয়া উদ্গীরণ হয়।

No comments

Powered by Blogger.