জরুরি নির্গমন পথসহ কারখানার নকশা বাস্তবায়ন জানুয়ারি থেকে

কোনো কারণে পোশাক কারখানায় আগুন লাগলে নির্মমভাবে পুড়ে মরতে হয় শ্রমিকদের। অকালমৃত্যুর এই ঘটনা ঘটে কারখানাগুলোতে জরুরি নির্গমন পথ না থাকায়।
এ বক্তব্য তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, জরুরি নির্গমন পথ তৈরিসহ কারখানার কাঠামোগত নকশা তৈরির আলোচনা চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এ ব্যাপারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। আর আগামী জানুয়ারির মধ্যে নকশা বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।
কাঠামোগত নকশার মধ্যে কারখানায় পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা, শৌচাগার, প্রশস্ত সিঁড়ি, শ্রমিকদের চিকিত্সাসহ বিভিন্ন সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পোশাক কারখানায় অংশগ্রহণমূলক কমিটিও গঠন করতে হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। পোশাক খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা এসব সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ফোরামের ত্রয়োদশ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বাণিজ্যসচিব ফিরোজ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মুস্তাফা মহিউদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান সাহাবউল্লাহ, তৈরি পোশাক উত্পাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, নিট পোশাক উত্পাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি ফজলুল হক, বেপজার মহাব্যবস্থাপক এস এম আব্দুর রশীদ, কর্মজীবী নারীর প্রধান শিরীন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: বিধিবিধান পরিপালন করছে না এমন (নন কমপ্লায়েন্ট) কারখানার বিরুদ্ধে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংকট ব্যবস্থাপনা কমিটি শ্রমিক অসন্তোষের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

No comments

Powered by Blogger.