নতুন সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুত্ ব্যবস্থা থাকবে- বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পরিকল্পনা হচ্ছে: উপদেষ্টা

সরকারি মালিকানায় ভবিষ্যতে যেসব ভবন নির্মাণ করা হবে, সেগুলোয় সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে। একই সঙ্গে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে পরে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং জার্মান টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের (জিটিজেড) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘এনার্জি সেভিং কস্ট সেভিং’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, ভবিষ্যতে নতুন শিল্প স্থাপন করার সময় বিদ্যুত্-সাশ্রয় এবং উত্পাদন-ব্যয় কমাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখতে উদ্যোক্তাদের উত্সাহিত করতে হবে।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি জাফর ওসমান সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ইজাজ হোসেন এবং এনার্জি সেভিং ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের টিম লিডার মাইকেল জন ব্রিকস প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরী। এ সময় পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, সরকার বিদ্যুত্ খাতের জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া সরকার গ্যাসের উত্পাদন বৃদ্ধি এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
বিদ্যুত্সংকট কাটাতে দেশীয় কয়লা ব্যবহার করে অচিরেই উত্তরবঙ্গে বিদ্যুত্ প্রকল্প স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রতিটি নতুন ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল এবং রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম স্থাপনের বিষয়টি বর্তমান সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তবে পুরোনো ভবনের ছাদে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না বলে তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.