লড়াইটা দুদলের বিদেশিদেরও

লড়াইটা দুই প্রধানের। ইব্রাহিম-বুকোলা, সামাদ-এমেকা, শেরিফ-পলেরও কি নয়? আবাহনী-মোহামেডানের বড় ভরসা যে দুদলের বিদেশিরাই।
আবাহনী আজ সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকবে ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার ইব্রাহিমের দিকে। গত পাঁচ বছরে আকাশি-নীল জার্সি গায়ে গোটা ১৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তাঁর। এখন নাকি আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচটাকে আর আলাদা মনে হয় না। রসিকতা করে বললেন, ‘এটা আমার কাছে ছোট ম্যাচ!’
আবাহনী কোচ বললেন, ‘ইব্রাহিম ফাইনাল পাসটা দিতে পারলে...।’ ইব্রাহিম নিজেও সেটা জানেন। কথাটা তাঁকে মনে করিয়ে দিতেই বললেন, ‘গতবার এমিলিকে অনেক বল তৈরি করে দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা ভালোই গড়ে উঠেছিল। সে খুবই ভালো স্ট্রাইকার। ফুটবলে একজনের সঙ্গেই সব সময় খেলব, এমনটা হয় না। আস্তে আস্তে নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কম্বিনেশনটা ভালো হচ্ছে।’
আবাহনীর-মোহামেডান ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই নবাগত শেরিফের। কিন্তু উত্তাপটা তিনিও যেন পাচ্ছেন, ‘শুনেছি আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচটা খুবই জমজমটা হয়। আমিও সেটা টের পাচ্ছি। তবে কোনো টেনশন নেই। মাঠে যাব...গোল করার চেষ্টা করব...ব্যাস।’ সেমিফাইনালে মোহামেডানের খেলা দেখে তাঁর মূল্যায়ন, ‘ওরা ভালো দল। তবে আবাহনীই সেরা। আমরা অবশ্যই ফাইনালে জিতব।’ আলোচনায় যোগ দিয়ে সামাদ বললেন, ‘এটা আসলে বাড়তি কিছু নয়। আমি কোনো উত্তেজনা অনুভব করছি না। তবে কঠিন লড়াই হবে।’ আওয়ালের কথা, ‘কোচ যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই খেলব আমরা।’
কাল বিকেলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে অনুশীলন করছিল মোহামেডান। আবাহনীর চার বিদেশির কথার প্রতিধ্বনি সেখানেও। ফাইনালের আপ পর্যন্ত করেছেন ৮ গোল, আজ কটা গোল করবেন? প্রশ্নটাকে সিরিয়াসলিই নিলেন বুকোলা, ‘কটা গোল করব জানি না। সেই প্রতিশ্রুতি আমি দেবও না।’ নিজেই এর পর প্রতিশ্রুতির সুরে একটা ঘোষণা দিয়ে ফেললেন, ‘দেখে নেবেন আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব।’
গতবার আবাহনীতে খেলেছেন। এবার আবাহনীকে দেখিয়ে দেওয়ার কি ব্যাপার আছে? মিডফিল্ডার এমেকার কথা, ‘না না, তেমনটা একদমই নেই।’ হয়তো বলতে চাইলেন না, ‘আমি অবশ্যই দলকে জেতাতে চাই। ভূমিকা তো রাখবই। তবে দলের জয়টাই বড়। আমি আবাহনী ছেড়ে এসেছি...প্রতিশোধ? এসব পেশাদার খেলোয়াড়েরা ভাবে না।’
গোলরক্ষক পলের উপলব্ধি, ‘এ ম্যাচটা সত্যিই অন্যরকম উত্তেজনা ছড়ায় এখানকার ফুটবলে। অন্যবারের মতো এবারও তাই দেখছি। এবার আমরাই জিতব।’

No comments

Powered by Blogger.