গাজায় বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো

দখলদার ইসরাইলের হামলা থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া গাজার বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো প্রবল বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছে। তাদের অস্থায়ী তাঁবু প্লাবিত হয়েছে। শীতের শুরুতে এমন বৃষ্টিপাতে দুর্ভোগের শেষ নেই। শুক্রবার আল জাজিরা এমনটাই জানিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, ইসরাইলের আরোপিত সাহায্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে লাখো মানুষ পর্যাপ্ত আশ্রয় পাচ্ছে না। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আবদুর রহমান আসালিয়া বলেন, বৃষ্টিতে তাদের কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভিজে গেছে। তিনি বলেন, আমরা সাহায্যের আবেদন করছি। নতুন তাঁবু দরকার, যা অন্তত শীতের ঠাণ্ডা থেকে মানুষকে রক্ষা করবে।

তিনি জানান, প্রায় দুই ডজন মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা এলাকা থেকে পানি সরানোর চেষ্টা করছিলেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানায়, বন্যা মূলত উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে, যেখানে গত মাসে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির পর বহু পরিবার ফিরে এসেছে। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতেও জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরাইলের দুই বছরের যুদ্ধের কারণে যাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। তাদের ‘দুর্দশার সমাধানে’ এগিয়ে আসা প্রয়োজন। শীতের শুরুতেই আমরা বাড়ি, কারাভ্যান এবং তাঁবুর দ্রুত সরবরাহের আহ্বান জানাই, যাতে এই বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর কষ্ট কিছুটা কমে।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিশর, সৌদি আরব, তুর্কি প্রভৃতি আরব ও মুসলিম-অধ্যুষিত দেশগুলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থনকারী মার্কিন খসড়া প্রস্তাব দ্রুত পাসের আহ্বান জানিয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, জর্ডান ও তুর্কি বর্তমানে আলোচনায় থাকা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে সমর্থন জানাচ্ছে। তারা এর দ্রুত অনুমোদন চেয়েছে।

ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে একটি প্রস্তাব আলোচনা করবেন, যাতে গাজার জন্য ৩ হাজার ফিলিস্তিনি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরে সেখানে মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। শুক্রবার দেখতে পাওয়া এক নথির উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইইউর কূটনৈতিক দপ্তর মন্ত্রীদের বৈঠকের আগে একটি নথিতে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা নিয়ে ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার বাস্তবায়নে ইইউ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে পারে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ইইউর পুলিশ সহায়তা মিশন গাজার ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণের নেতৃত্ব নিতে পারে, যেখানে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে সরাসরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পরবর্তীতে গাজার পুরো ১৩ হাজার সদস্যের বাহিনীকে প্রশিক্ষণের লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

https://mzamin.com/uploads/news/main/189607_Untitled-2.webp

No comments

Powered by Blogger.