ট্রাম্প কি ফ্যাসিস্ট? জবাবে যা বলেছেন মামদানি

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক চমকপ্রদ সুরে কথা বলেন। মামদানি অতীতে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে উল্লেখ করেন। সে প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, মামদানি চাইলে এখনো তাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলতে পারেন, এতে তার আপত্তি নেই। সিএনএন জানিয়েছে, একজন রিপোর্টার মামদানিকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কি এখনো সেই মন্তব্যে অবিচল আছেন? মামদানি উত্তর দিতে শুরু করেন, আমি এ বিষয়ে বলেছি...। কিন্তু ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে তাকে থামিয়ে দেন। ট্রাম্প বলেন, ঠিক আছে, আপনি শুধু ‘হ্যাঁ’ বলতে পারেন। ব্যাখ্যা করার চেয়ে এটা সহজ। আমার কিছু মনে হবে না।

এই মন্তব্যটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিএনএন’কে জানান, নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে তার ওভাল অফিসের বৈঠক ছিল দারুণ ও খুবই ফলপ্রসূ। মামদানিকে ট্রাম্প বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিল পাওয়া গেছে। বিশেষ করে আবাসন উন্নয়ন ও খাদ্যদাম বৃদ্ধির বিষয়ে। ট্রাম্প বলেন, আমাদের একটি দারুণ, খুব ভালো, খুব ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। একটি সাধারণ বিষয় হলো আমরা দু’জনেই চাই এই শহর, যাকে আমরা ভালোবাসি, সেই শহর ভালোভাবে এগিয়ে যাক। আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং আমরা অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি, যেমন আবাসন নির্মাণ, খাদ্যের দাম। তেলের দাম অনেক নিচে নেমে আসছে।

ট্রাম্প মামদানিকে শুভকামনাও জানান এবং ইঙ্গিত দেন যে তিনি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অনেককে অবাক করতে পারেন। ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয়, আপনারা একজন দারুণ মেয়র পেতে যাচ্ছেন। তিনি যত ভালো করবেন, আমি তত খুশি হব। দলের পার্থক্য এখানে কোনো বিষয় নয়। তিনি কিছু রক্ষণশীল মানুষকে এবং কিছু উদারপন্থীকেও চমকে দেবেন বলে আমার মনে হয়। প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে মামদানি ট্রাম্পের বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং বলেন যে, বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে এবং নিউইয়র্কবাসীর জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। মামদানি বলেন, আমি বৈঠকটির প্রশংসা করি। এটি ছিল একটি ফলপ্রসূ আলোচনা, যেমন প্রেসিডেন্ট বলেছেন নিউইয়র্ক সিটির প্রতি আমাদের যৌথ ভালোবাসা ও সম্মান থেকেই কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। তিনি আরও জানান, তারা ভাড়াবৃদ্ধি, বাজারদর, ইউটিলিটি বিলসহ সেই সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যেগুলো শহরের মানুষকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।

মামদানি বলেন, আমরা ভাড়া, বাজার, ইউটিলিটিস- সবকিছু নিয়ে কথা বলেছি। কীভাবে মানুষ শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে সেটাও আলোচনা করেছি। প্রেসিডেন্টের সময় দেয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমরা একসঙ্গে কাজ করে নিউইয়র্কবাসীর জন্য সাশ্রয়ী জীবন নিশ্চিত করতে চাই।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.