বিজয়ী ভাষণে মামদানি: মুসলিম হওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে রাজি নই, নিউইয়র্ক হবে আলোকিত, ট্রাম্পকে চার শব্দ
মামদানি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যানড্রু কুমোকে ব্যক্তিগত জীবনে ‘সেরা শুভকামনা’ জানান। বলেন, ‘এ রাতটি হোক শেষবার আমি তার নাম উচ্চারণ করেছি। কারণ আমরা এমন একটি রাজনীতি ত্যাগ করছি যা কয়েকজনের জন্য কাজ করে’।
নিউইয়র্কবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা একটি পরিবর্তনের ম্যান্ডেট, একটি নতুন ধরনের রাজনীতির ম্যান্ডেট এবং একটি শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা আমরা বাঁচাতে পারি। জয়ী ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ১লা জানুয়ারি, আমি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে শপথ নেব। নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর। অভিবাসীরা এই শহরকে গড়েছে, অভিবাসীরা এটিকে শক্তি যুগিয়েছে এবং এ রাত থেকে এটিকে নেতৃত্ব দেবে একজন অভিবাসী। আমরা সবাইকে ভালোবাসব, আপনি অভিবাসী হোন বা না হোন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক জওহরলাল নেহরু’র ‘ট্রিস্ট উইথ ডেস্টিনি’ ভাষণ উদ্ধৃত করে বলেন, ইতিহাসে বিরল মুহূর্ত আসে যখন আমরা পুরনো থেকে নতুনের দিকে পা রাখি, যখন একটি যুগ শেষ হয় এবং যখন দীর্ঘ সময় ধরে দমনকৃত জাতির আত্মা প্রকাশ পায়। তিনি আরও বলেন, তার নির্বাচনী জয় সমস্ত নিউইয়র্কবাসীর জন্য, ট্যাক্সি চালক থেকে শুরু করে লাইন কুক পর্যন্ত। তিনি একটি গল্প শেয়ার করেন যেখানে তিনি সিটি হলে ১৫ দিন অনশন করেছিলেন ট্যাক্সি চালক রিচার্ডের সাথে। তিনি বলেন, আমার ভাই, এখন আমরা সিটি হলে আছি।
মামদানি আরও জানান, বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে তার কথোপকথন, দোকান মালিক থেকে নার্স পর্যন্ত, তার প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব দেয়া। তিনি বলেন, ‘এই শহর তোমাদের শহর এবং এই গণতন্ত্র তোমাদেরও। তিনি পুনরায় তার সর্বজনীন শিশু যত্ন এবং বাড়ি ভাড়া কমানো প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করেন।’ সমর্থকদের বলেন, ‘এই অন্ধকার মুহূর্তে নিউইয়র্ক হবে আলো।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন সব নিউইয়র্কবাসীর পাশে থাকবেন, এমনকি যারা তাকে ভোট দেয়নি তারাও।
বক্তব্যে তিনি তার মুসলিম পরিচয়কে গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, ‘আমার মা ও বাবার প্রতি, আমি তোমাদের ছেলে হতে পেরে গর্বিত। আমি তরুণ এবং মুসলিম। মুসলিম হওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে রাজি নই।’

No comments