গাজায় অর্ধমৃত জিম্মির ভিডিও নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দা, রেডক্রসের হস্তক্ষেপ দাবি
ইসরাইলি নেতারা অভিযোগ করেন, হামাস জিম্মিদের না খাইয়ে রাখছে। এর জবাবে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসাম ব্রিগেডস দাবি করে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে অনাহারে রাখে না। তারা যা খায়, বন্দিদেরও তাই দেয়। কারণ গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট চলছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। গাজা থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার খাদ্যসাহায্য নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর দু’টি স্থানে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ব্রাসলাভস্কি ও ডেভিড উভয়কেই ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অপহরণ করে হামাস। তাদের ভিডিও প্রকাশের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সব জিম্মিকে ফেরত আনার চেষ্টা অবিরাম চলবে। তিনি রোববার রেডক্রস কমিটির আঞ্চলিক প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন। খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহে জরুরি হস্তক্ষেপ চান। রেডক্রস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ভীষণভাবে মর্মাহত এই ভিডিওগুলো দেখে, যেগুলো জিম্মিদের ভয়াবহ ও প্রাণসংহারী অবস্থার স্পষ্ট প্রমাণ। তারা আবারও জিম্মিদের কাছে যাওয়ার সুযোগ, চিকিৎসা সহায়তা এবং পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা দেয়ার দাবি জানায়।
আল কাসাম ব্রিগেডস জানায়, যদি নিয়মিত ও স্থায়ী মানবিক করিডোর খোলা হয় এবং সাহায্য পৌঁছানোর সময় বোমাবর্ষণ বন্ধ থাকে, তাহলে তারা রেডক্রসকে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছানোর অনুমতি দেবে। ওদিকে তেল আবিবে সাপ্তাহিক বিক্ষোভে আবারও জিম্মিদের পরিবার ও সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানায়। ডেভিড ও ব্রাসলাভস্কির পরিবার শনিবারের এক সমাবেশে বলে, এই নরকের আগুন থেকে সবাইকে এখনই বের করে আনতে হবে। ভিডিওতে ব্রাসলাভস্কিকে দেখা যায় কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আমার খাবার ও পানি শেষ। সারাদিনে তিনটা ফালাফেলের টুকরো খেয়েছি। দাঁড়াতে বা হাঁটতেও পারি না। আমি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। অন্য ভিডিওতে ডেভিড বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে কিছুই খাইনি। পানি পর্যন্ত ঠিকমতো পাই না। এ সময় তাকে নিজের কবর খুঁড়তে দেখা যায়।

No comments