পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অস্ত্রের সফল ব্যবহার করেছে ভারত: নেতানিয়াহু
এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ নামে বড় পরিসরের পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে একাধিক ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়। তিনটি রাফালেসহ ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ও ডজন খানে ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষ শেষ হয় ১০ মে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষই এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু জানান, তিনি ইসরাইলে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেপি সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর তিনি ভারতের শীর্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নেতানিয়াহু স্বীকার করেন যে, ইসরাইলি অস্ত্র ব্যবস্থা- যেমন বারাক-৮ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল এবং হারপি ড্রোন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আমরা যে প্রযুক্তি আগে সরবরাহ করেছিলাম, তা মাঠে খুব ভালো কাজ করেছে। আমরা আমাদের অস্ত্র বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নয়ন ও পরীক্ষা করি। তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মে মাসের সংঘাতে পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে ভারত বারাক-৮ মিসাইল সিস্টেম ও হারপি ড্রোন মোতায়েন করে। এছাড়াও ব্যবহৃত হয় রাশিয়ান এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। হারপি ড্রোন শত্রুপক্ষের রাডার ধ্বংসে ব্যবহৃত হয় এবং এটি নিজে নিজেই লক্ষ্য শনাক্ত করে আঘাত হানতে সক্ষম। বারাক-৮ ব্যবস্থা ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ এবং ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যভেদে সক্ষম।
ভারতের প্রতি ইসরাইলের সমর্থন ছিল স্পষ্ট। মুম্বাইয়ে ইসরাইলের কনসাল জেনারেল কোবি শোশানি অপারেশন সিঁদুরকে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে বলেন, আমি এই অভিযানে খুবই গর্বিত। গত এক দশকে ইসরাইল ভারতের অন্যতম প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে। এই সময়ে দেশটি ভারতকে প্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে রাডার, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। গাজায় চলমান যুদ্ধে জড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও, ভারতকে অস্ত্র সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরাইল। ভারতের অন্যান্য প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট।

No comments