ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক
জরিপের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক বলেন, ‘মানুষ তাদের মতামত দিয়েছে। আমেরিকায় মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন! এটাই ভাগ্য।’
মাস্ক সম্ভাব্য একটি নামও প্রস্তাব করেন, 'দ্য আমেরিকা পার্টি'। এই নামটির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে তার গঠিত সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (পিএসি)) 'আমেরিকা পিএসি'-এর সঙ্গে। ২০২৪ সালে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য এই পিএসি গঠন করা হয়। ওই সুপার পিএসি ট্রাম্পের পক্ষে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় দাতা ছিলেন মাস্ক। শনিবার এনবিসি নিউজের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন যে, মাস্ক যদি তাদের বিরোধের মাঝে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীদের তহবিল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাকে ‘পরিণতি ভোগ করতে হবে’।
তবে সেই পরিণতি কী হবে তা বলতে চাননি ট্রাম্প। ২০১৬ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে মাস্ক ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় মাস্ক বলেছিলেন যে, তিনি রিপাবলিকানকে ভোট দিতে চান এবং সেইসঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সেইসঙ্গে সরকারের দক্ষতা বিভাগের (DOGE) প্রধান হিসাবে মাস্ককে নিযুক্ত করেন ট্রাম্প।
তবে, ট্রাম্প এবং মাস্কের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসাধারণের নজর কেড়েছে। ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’-এর প্রতি মাস্কের অসম্মতির মধ্য দিয়ে এই বিবাদ শুরু হয়। বিলটিকে তিনি ‘জঘন্য’ বলে উল্লেখ করেন এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারীদের বলেন, ‘কিল দ্য বিল।’
গত বৃহস্পতিবার, দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে টানাপোড়েন আরও তীব্র হয়। মাস্ক অভিযোগ করেন, প্রয়াত অর্থদাতা এবং যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইন সম্পর্কিত ফাইলগুলোতে ট্রাম্পের নাম রয়েছে। যদিও তিনি এই সম্পর্কিত কোনও প্রমাণ প্রদান করেননি এবং শনিবার ভোরে নিজের পোস্টটি এক্স থেকে মুছে ফেলেন।
মাস্ক, আরেকটি মুছে ফেলা পোস্টে লেখেন, ‘ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা উচিত এবং ভ্যান্সকে তার স্থলাভিষিক্ত করা উচিত।’
প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প টেসলার সিইওকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে বলেন। ফ্লোরিডার রিপাবলিকান প্রতিনিধি জিমি প্যাট্রোনিস শুক্রবার নিউজন্যাশন-এর ব্লেক বারম্যানকে বলেন, ‘ইলন মাস্ক নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন না… ট্রাম্প জানেন, কখনো কখনো আপনি যাদের বিশ্বাস করেন, পছন্দ করেন, বন্ধুত্ব করেন—তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। এটা আমাদের এখানে ডিসিতে সবসময়ই ঘটে। আমার কথা মনে রাখবেন, এক মাস পর এদের আবার একসঙ্গেই দেখা যাবে।’
সূত্র : টাইম

No comments