‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’ শুরু: ‘আত্মরক্ষা ছাড়া উপায় ছিল না পাকিস্তানের’

পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে হামলার জবাবে ভারতে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস’ পরিচালনা করেছে পাকিস্তান। দেশটির পক্ষ থেকে এ  দাবি করে জানানো হয়েছে, ভারতের বেশকিছু স্থানকে টার্গেট করে হামলাটি চালানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সাইবার হামলায় ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিডের শতকরা ৭০ ভাগ অকার্যকর হয়ে গেছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেএফ-১৭  হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আদমপুরে ভারতের এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজৌরিতে সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। হামলা চালানো হয়েছে ‘কেজি টপ’ ব্রিগেড হেডকোয়ার্টসে। উরি’তে সরবরাহ ডিপোতে। আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরাটগড় এবং সিরসাতে বিমানঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে। দেহরাঙ্গিয়ারিতে আর্টিলারি পজিশনে হামলা হয়েছে। বিয়াসে ব্রহ্ম স্টোরেজে হামলা হয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দিনের শুরুতে আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন রুবিও। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, রুবিও উভয় পক্ষের প্রতি উত্তেজনা হ্রাসের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ওদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিশোধ নেয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো উপায় ছিল না। জিও নিউজকে তিনি বলেন, তিনদিন ধরে ভারত তামাশা করছে। আমরা ভারতকে আধিপত্য করতে দেবো না। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং সরকার এটা হতে দেবে না। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা যে অপারেশন শুরু করেছি, তা এক পর্যায়ে শেষ হবে। ভারত কী চায় তার ওপর নির্ভর করবে সেটা।

পাকিস্তানের নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। এর ফলে বেসামরিক সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাল্টা হামলার। এর কোনো বিকল্প ছিল না। আর ধৈর্যের পরীক্ষা দেয়া যায় না। আমরা তাদেরকে শুধু জবাব দিয়েছি। এ পর্যন্ত তাদেরকে আমরা প্রচুর ধৈর্য দেখিয়েছি। ভারতের বেসামরিক মিলিটারি নেতৃত্ব যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা আনুপাতিক। এর চেয়ে অনেক বেশি ব্যবস্থা নেয়া যেতো। এর জন্য আমরা প্রস্তুতও। তবে এখন পর্যন্ত যেটুকু করা হয়েছে তা সর্বনিম্ন। এটা অব্যাহত থাকবে। প্রথম দিনে আমরা আমাদের স্থানে থেকেছি। যেসব যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছি।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.