গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিতে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জার্মানি ও ফিনল্যান্ডের
বিগত সপ্তাহগুলোয় গাজা উপত্যকায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সেখানে ১১ সপ্তাহ ধরে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। সম্প্রতি গাজায় সীমিত পরিসরে ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হলেও তা ঠিকমতো হাতে পাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের এই নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মের্ৎসও।
হেলসিঙ্কিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মের্ৎসের পাশে ছিলেন পেত্তেরি অর্পোও। গাজায় অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, ‘ভুক্তভোগী মানুষের কাছে যেন সত্যিকার অর্থে ত্রাণ পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে হবে।’
ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘গাজায় আমরা যা দেখেছি, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকাটির বেসামরিক লোকজনের ওপর ‘মাত্রাতিরিক্ত’ প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় হত্যাকাণ্ড ও মানুষের দুর্দশা বন্ধ করার আহ্বান জানান মের্ৎস।
গাজায় জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহের কথা বলেন অর্পোও। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিতে হবে। আর ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে হবে। তবে এগুলো ফিলিস্তিনিদের হাতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে হামাস যেন বাধা না দিতে পারে, তা–ও নিশ্চিত করা লাগবে।’
এদিকে মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে সুইডেন। গাজায় বাধাহীন ও দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলকে বলেছে দেশটি। এক বিবৃতিতে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। তবে বর্তমানে যুদ্ধ যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
![]() |
| জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস। ফাইল ছবি: রয়টার্স |

No comments