রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ দেবে যুক্তরাষ্ট্র!
এখন ট্রাম্প যদি এই নতুন নিষেধাজ্ঞায় অনুমোদন দেন, বিশেষ করে বুধবার স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ সম্পদ চুক্তি সইয়ের পর, তবে তা ক্রেমলিনের প্রতি তার কঠোর অবস্থানকে নির্দেশ করতে পারে। ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওই খনিজ চুক্তি করা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন তিনি। ইউক্রেনে ২০২২ সালে রাশিয়া পুরোদমে সামরিক অভিযান শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা মস্কোর বিরুদ্ধে কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব পদক্ষেপ রাশিয়ার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও মস্কো বিভিন্ন উপায়ে নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে যুদ্ধে অর্থায়ন করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ন্যাটো দূত কার্ট ভলকার বলেন, পুতিনকে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির প্রতিটি সুযোগ দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু পুতিন তা প্রত্যাখ্যান করে চলেছেন। এখন এটি (নতুন নিষেধাজ্ঞা) রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরির নতুন ধাপ।
ট্রাম্পের প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট মেয়াদে ইউক্রেন-বিষয়ক বিশেষ দূতের ভূমিকা পালনকারী কার্ট ভলকার অভিযোগ করে বলেন, পুতিন উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন যৌথভাবে অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। আর পুতিন এখন একা হয়ে যাচ্ছেন। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর নিজের শান্তি প্রচেষ্টায় রাশিয়াকে আরও বেশি রাজি করতে ট্রাম্প কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ও ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে নিশানা বানাতে গঠিত বিচার বিভাগের একটি টাস্কফোর্স বাতিল করেছেন তিনি। এ ছাড়া ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুদ্ধ শুরু করার দায় দিয়ে মস্কোপন্থি বিবৃতি এবং তাকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এমন এক শান্তি কৌশলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল মস্কোর কাছে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি পুতিনের সঙ্গে চারবার সাক্ষাৎও করেছেন। সর্বশেষ সাক্ষাৎ ছিল গত সপ্তাহে।

No comments