আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড়

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদ্রাসা ছাত্র সোলাইমান (১৯) হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালতের এজলাসের ভেতর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হামলার শিকার হন তিনি। তাকে কিল ঘুষি দেয়া হয়। এ সময় পুলিশ তাকে দৌড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে।

এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ প্রিয়জন ভ্যান ঘিরে রাখেন। তখন ভ্যানের চারপাশে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সাবেক আইনমন্ত্রীর ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন। পরে কড়া পুলিশ পাহারায় আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া সোলাইমান হত্যা মামলায় আনিসুল হককে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ই আগস্ট দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী হাফেজ সোলাইমান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২২শে আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহত সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রী দিপু মনি, আনিসুল হক, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত বছরের ৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। ওই সময় আনিসুল হকের নির্দেশ পেয়ে আসামিরা সড়কে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি ও হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। তখন মাদ্রাসাছাত্র সোলাইমান গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.