হত্যা মামলার আসামি অভিনেতা ইরেশ যাকের: মামলা বিরক্তিকর -ফারুকী
মামলায় সাবেক এমপি-মন্ত্রী, ঢাকার সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার, আইনজীবী, অভিনেতাসহ ৪০৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকের ১৫৭ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি। মামলার এজহারে নিহতের বড় ভাই উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবন (২১) বিএনপির দলীয় কর্মী। সে রেনেটা কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল হিসাবে ৬ মাস ধরে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতো সে। গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার সময় ছাত্র জনতার মিছিল মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মাঝের রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের নির্দেশে দলটির পাঁচ শতাধিক নেতা কর্মী একত্রে শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ চালায়। তারা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল, রাবার বুলেট, রাইফেল, শট গান, পিস্তলের গুলি করে এবং ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, সংঘবদ্ধ আসামিদের গুলি বর্ষণের ফলে শ্রাবনের বুকের বাম পাশে গুলি লাগে, যা ডান পাশের কোমর ছিদ্র হয়ে বের হয়ে যায়। গুলির আঘাতে তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত অবস্থায় সে মিরপুর মডেল থানার গেটের সামনের রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এসময় শ্রাবনসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে আসামিদের নিক্ষিপ্ত গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ শ্রাবনকে চিকিৎসার জন্য মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জুলাই আন্দোলনে যুক্ত ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা বিরক্তিকর: ফারুকী
অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় হত্যামামলা হওয়াকে বিরক্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, ইরেশ যাকেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি জুলাই আন্দোলনেও জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, মামলা করেছে একজন ব্যক্তি। এটা রাষ্ট্রপক্ষের মামলা না। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে। যেটা সত্য সেটা গ্রহণ করবে। যেটা মিথ্যা সেটা বাতিল করে দেবে। মানুষ এখন মামলা করার স্বাধীনতাও পেয়েছে।
ইরেশ যাকেরকে হত্যামামলায় আসামি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এখন সরকারে আছি। অ্যাক্টিভিস্ট থাকলে অনেক কথা বলতে পারতাম। ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি জুলাইয়ের আন্দোলনেও জড়িত ছিল, সেটা আমি জানি। ফলে এটা গভীরভাবে একটা বিরক্তিকর ব্যাপার। মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে মামলা করার স্বাধীনতা সবাই পেয়েছে। তবে কেউ কেউ এটির অপব্যবহারও করছে।

No comments