ট্রাম্পের শুল্ক নীতির নেপথ্যের কারিগর এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ!
৭ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে মিরান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের ভঙ্গুর শিল্প ভিত্তির পুনর্নির্মাণ এবং মার্কিন শ্রমিক ও ব্যবসাকে শীর্ষে রাখার জন্য বাণিজ্যিক নীতি অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমাদের সামরিক ও আর্থিক আধিপত্যকে হালকাভাবে নিলে হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন এর সংরক্ষণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
সেদিনই ট্রাম্প ঘোষণা করেন এবং চীনের উপর শুল্ক ১০৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়। এরপর থেকে এটি ১২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। মিরান ২০০৫ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অর্থনীতি, দর্শন এবং গণিতে তিনি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০১০ সালে স্নাতক হন।
হার্ভার্ডে থাকাকালীন তিনি মার্টিন ফেল্ডস্টাইনের পরামর্শদাতা ছিলেন, যিনি একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের অধীনে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনে যোগদানের আগে তিনি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ সংস্থা হাডসন বে ক্যাপিটালে একজন সিনিয়র কৌশলবিদ ছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, হাডসন বে ক্যাপিটালে থাকাকালীন, মিরান ৪১ পৃষ্ঠার ‘বিশ্বব্যাপী ট্রেডিং সিস্টেম পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহারকারীর নির্দেশিকা’ রচনা করেন। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধার্থে বিশ্বব্যাপী ট্রেডিং এবং আর্থিক ব্যবস্থাগুলোকে সামঞ্জস্য করার জন্য একটি কাঠামোর রূপরেখা দেয়া হয়েছিল। এতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, অন্যান্য দেশ থেকে আমেরিকান রপ্তানির জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য শুল্ককে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই কৌশল। ফলে আলোচনাতে উঠে আসছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্থনীতিবিদও। হাডসন ইনস্টিটিউটে এক বিবৃতিতে মিরান বলেছেন, ‘শুল্কের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়া উচিত’। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ এবং কিছু বিনিয়োগকারী শুল্ক আরোপকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে উড়িয়ে দেন। এই ধারণা ভুল।' মিরান বলেন যে, প্রেসিডেন্টের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের লক্ষ্য রাজস্ব তৈরির পরিবর্তে বরং মুদ্রা কারসাজি এবং ডাম্পিংয়ের মতো অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনকে বন্ধ করা।'
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

No comments