গ্রেপ্তার এড়াতে ৪০০ কিমি ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী

গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। রেহাই পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশ ইসরাইলও। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও তাদের টপকে বন্ধু ইসরাইল সবার আগে পেয়েছেন ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। সেই মতো সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন নেতানিয়াহু। তবে তেল আবিব থেকে অতিরিক্ত ৪০০ কিলোমিটার ঘুরে আমেরিকা পৌঁছায় তার বিমান।

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের ভয়ে বেশ কিছু দেশের আকাশসীমা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেন নেতানিয়াহু। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের জেরে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক আদালত। ফলে আদালতের এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে মান্যতা দিতে পারে যেকোনো দেশ।

নেতানিয়াহুর আশঙ্কা ছিল হাঙ্গেরি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সহজ পথে এমন কিছু দেশ রয়েছে যারা সুযোগ পেলে এই পরোয়ানা জারি করে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই হাঙ্গেরি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ৪০০ কিলোমিটার বা ২৪৮ মাইল পথ বাড়তি ঘুরতে হয়েছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও হাঙ্গেরি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বিমানে তেল ভরে দিয়েছে। কিন্তু বাকি যাত্রাপথে থাকা আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসকে নিয়ে ইসরাইল সরকারের আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই এই তিন দেশকে এড়িয়ে গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স ও আটলান্টিক মহাসাগর হয়ে আমেরিকা যান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে আমেরিকা পৌঁছান নেতানিয়াহু।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ইসরাইলের বর্বরতা বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান ফ্রান্স, মিশর ও জর্ডানের

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে মিশর, জর্ডান এবং ফ্রান্স। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহের আমন্ত্রণে কায়রোতে এক বৈঠকে উপস্থিত হন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রন এবং জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ। ওই বৈঠক থেকেই ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান তারা। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে বলা হয়, তিন দেশের শীর্ষ বৈঠকের নেতৃত্ব দেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকে সকল দেশের নেতারা অবিলম্বে যুদ্ধবন্ধের আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে এবং অবিলম্বে জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন তারা।

জর্ডানের রয়্যাল কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিন নেতাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধে চাপ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে এর সকল ধাপ বাস্তবায়নের আহ্বানও জানানো হয়েছে। যেন গাজাবাসীর মানবিক সংকট দূর হয়। বাদশাহ আব্দুল্লাহ সতর্ক করে বলেছেন, ইসরাইলের ক্রমাগত হামলা সংকট অবসানের সকল কূটনৈতিক এবং মানবিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল এবং বাধাগ্রস্ত করেছে। যার ফলে গাজাবাসী আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে সংকট আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আঞ্চলিক শান্তি স্থাপনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ। এ লক্ষ্যে সবরকম রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক তৎপরতা সন্ধানের কথা বলেছেন তিনি। আব্দুল্লাহ বলেছেন, এমন পথ খুঁজে বের করতে হবে যাতে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইল উভয় পক্ষই শান্তির সন্ধান পায়। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন দেয়ায় মিশরের প্রশংসা করেছেন জর্ডানের বাদশাহ। এছাড়া গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরব বিশ্বকে সমর্থন দেয়ায় ফ্রান্সকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.