ইউক্রেন ইস্যু: ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে!
এর আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটোতে অর্থ ব্যয় নিয়ে তার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ন্যাটোকে মার্কিন অর্থ ব্যয় নিয়ে এমন মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ন্যাটো আমাদের সুরক্ষা দিচ্ছে না। ট্রাম্প ব্লকটিকে আমেরিকার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রথম মেয়াদেও ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যু তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বিভেদের প্রতিনিধিত্ব করছে। মূলত ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের সঙ্গে ট্রাম্পের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে গত সপ্তাহের শুক্রবার। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। পরে সাংবাদিকদের সামনে ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। এক পর্যায়ে জেলেনস্কিকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছে বলেও খবর রয়েছে। ওভাল অফিসে উভয় পক্ষই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেছে।
ট্রাম্প হুমকি দেন জেলেনস্কি যদি শান্তিচুক্তিতে রাজি না হন তাহলে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণরুপে ত্যাগ করবেন তিনি। জেলেনস্কিকে অকৃতজ্ঞ বলেও অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি নিজের অবস্থান থেকে ট্রাম্পকে তার দেশের ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দেখান এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তিনি আমেরিকান জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। ওভাল অফিসে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এমন উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এটা নজিরবিহীন। সেখানে সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকায় তাদের ওই উত্তেজিত মুহূর্ত অল্প সময়ের মধ্যেই সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেন ইস্যুতে বিপাকে পড়েছে ইউরোপ। তারা ইউক্রেন ইস্যুতে লন্ডনে রোববার একটি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন। যা প্রতিনিধিত্ব করেছে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। সেখানে ইউক্রেন সংঘাত থামাতে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি এবং স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করানো যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেন। যদিও জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ওই উত্তেজিত মুহূর্ত তৈরি হওয়ার আগেই সম্মেলনটি নির্ধারণ করা হয়। শীর্ষ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্টারমার বলেছেন, বিশ্ব এখন ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এ পরিস্থিতিতে এমন একটি পথের প্রয়োজন যা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করা যায়।

No comments