অন্তঃসত্ত্বা মায়ের থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে যেতে পারে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও
পরীক্ষামূলকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে সন্তানসম্ভবা ইঁদুর মায়েদের শরীরে পলিঅ্যামাইড-১২ প্রবেশ করানো হয়েছিল। সন্তান জন্মের পরে তাদের শরীর পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে বিষয়টি। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট, মানুষের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রূণেও প্রবেশ করতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিক। ইঁদুরের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শাবক জন্মের দীর্ঘসময় পর পর্যন্ত তাদের কোষের মধ্যে সেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি থাকে। মানবসন্তানের ক্ষেত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্থায়িত্বের বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গর্ভস্থ মানবশিশুও আর নিরাপদ নয়। সদ্যোজাতকের মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ডর মতো অর্গানে যদি এমন ক্ষতিকারক প্লাস্টিক জড়ো হয়, তাহলে কিন্তু শরীর রোগের ডিপো হতে পারে। ভবিষ্যতে বাসা বাঁধতে পারে মারণ রোগও। ছ’টি গর্ভবতী ইঁদুরকে ১০ দিন অ্যারোসোলাইজড ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক পাউডারের ধারে-কাছে রাখা হয়েছিল। তার পরই তাদের উপর করা হয় পরীক্ষা। তবে একটা জিনিস তখনও ভাবাচ্ছিল বিজ্ঞানীদের, সন্তান জন্ম হয়ে যাওয়ার বহু পরেও কি এই প্লাস্টিকের কণাগুলো এভাবেই বহাল তবিয়তে থেকে যায় শরীরে? তবে দীর্ঘদিন ধরে তারা নজর রেখে দেখেছেন, অন্তত ইঁদুরের ক্ষেত্রে তো এসব ক্ষতিকর জিনিস পাকাপাকি ভাবে শরীরেই থেকে যায়। জন্মের দুই সপ্তাহ পর, দুটি নবজাতক ইঁদুরের শরীরে মাইক্রো এবং ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল।
সূত্র : সায়েন্স এলার্ট
No comments