করতারপুর নিয়ে বৈঠকে ভারত-পাকিস্তান, নজরে যোগাযোগ ও পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা

আগের বৈঠকে সমাধানসূত্র মেলেনি। রবিবার, করতারপুর করিডর নিয়ে ফের আলোচনার টেবিলে ভারত ও পাকিস্তান। আজ আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে বসতে চলেছে দু’পক্ষের বৈঠক।
ইসলামাবাদের সঙ্গে এই বৈঠকে মূলত দু’টি বিষয়কে তুলে ধরতে চাইছে নয়াদিল্লি। পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক তীর্থক্ষেত্র থেকে পাকিস্তানের করতারপুরের দরবার সাহিব পর্যন্ত সেতু নির্মাণ করছে ভারত। কিন্তু, ওই একই জায়গায় কজওয়ে তৈরিতে জোর দিচ্ছে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, কজওয়ে তৈরি হলে ভারতের পক্ষে তা বিপজ্জনক হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘পাকিস্তান তার নিজের দিকে কজওয়ে তৈরি করলে ভারতের গুরুদাসপুর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বর্ষার সময় ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে ইরাবতী নদী। তাতে পুণ্যার্থী তো বটেই, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন স্থানীয় ভারতীয় নাগরিকরাও।”
এ দিনের বৈঠকে পাক প্রতিনিধির সামনে ফের একবার এই আশঙ্কার কথাই তুলে ধরতে চলেছে নয়াদিল্লি। বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অনিল মালিক। থাকবেন পাক বিদেশমন্ত্রকের দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ ফয়সল।
করতারপুরে প্রতি দিন হাজির থাকেন প্রায় ৫ হাজার পূণ্যার্থী। বিশেষ বিশেষ দিনে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। এই বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জোর দিচ্ছে নয়াদিল্লি। অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারির জন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে ভারত।
এর আগেও করতারপুর করিডর নিয়ে বৈঠকে বসে ভারত ও পাকিস্তান। গত ১৪ মার্চ চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনাও হয়। কিম্তু, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নানা টানাপড়েনের জেরে থমকে যায় সেই প্রক্রিয়া। এমনকি গত ২ এপ্রিলের বৈঠক বাতিলও হয়। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পর ফের বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু হয়। করতারপুর করিডর চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান যে আগ্রহী, সেই বার্তাও দিয়েছে ইমরান খান সরকার। ইতিমধ্যেই শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খালিস্তানপন্থী নেতা গোপাল সিংহ চাওলাকে।

No comments

Powered by Blogger.