সামরিক সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে: শ্রীলংকা প্রধানমন্ত্রী

রানিল বিক্রমাসিঙ্গে ও আলাইনা টেপলিজ
শ্রীলংকা সফররত মার্কিন সেনা সদস্যদের বিষয়ে স্টেটাস অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট (সোফা) নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কলম্বোর আলোচনা এখানো চলছে। এই চুক্তি শ্রীলংকার সার্বভৌমত্বকে খাটো করবে বলে প্রেসিডেন্টের হুশিয়ারীকে পাত্তা দেননি তিনি।
গত বছর থেকে প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্গের মধ্যে যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে তা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
বিক্রমাসিঙ্গে গত বুধবার পার্লামেন্টকে বলেন যে সোফা কোন সামরিক চুক্তি নয়। এটা হলো মার্কিন সেনারা যদি এ দেশে আসে তাহলে তারা কি অধিকার ও সুবিধা ভোগ করবে সে ব্যাপারে চুক্তি।
তিনি বলেন, সোফা হলো শান্তিকালীন চুক্তি, এতে যুদ্ধের নিয়মকানুন, সশস্ত্র সংঘাতের আইন বা সমুদ্রের আইন সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এতে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম, তৎপরতা ও মিশনেরও অনুমতি দেয়া হয়নি।
এতে শুধু মার্কিন সেনা সদ্যদের কার্যক্রমের কাঠামো দেয়া হয়েছে। যদিও আলোচনা চলছে তবে শ্রীলংকার সার্বভৌমত্বকে হুমকিগ্রস্ত করে এমন চুক্তিকে তিনি সমর্থন করবেন না বলে বিক্রমাসিঙ্গে উল্লেখ করেন।
ভারত মহাসাগরে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত শিপিং লাইনের পাশে শ্রীলংকার অবস্থান। চীন গত কয়েক বছর ধরে এই দেশটিতে বড় বিনিয়োগকারী, বন্দর ও মহাসড়ক নির্মাতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।
চীনের এই ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিরোধ করতে চাচ্ছে পাশেই অবস্থিত দেশ ভারত। তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান যোগ দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
তবে সিরিসেনা জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি এমন কোন সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করবেন না যা দেশের জন্য অনুপযুক্ত।
শ্রীলংকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আলাইনা টেপলিজ এই দ্বীপ দেশটিতে মার্কিন অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উদ্বেগ নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি বলেন যে শ্রীলংকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে কোন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল রূপবাহিনীকে টেপলিজ বলেন, আমি মনে করি এখানে আমাদের সম্পর্কে যে বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে সেগুলো হচ্ছে দুই দেশের অভিন্ন নিরাপত্তা স্বার্থ।
তিনি বলেন, আমরা একটি খুবই শক্তিশালী, সক্ষম ও সার্বভৌম শ্রীলংকা দেখতে চাই, যে দেশটি তার উপকূল রক্ষা করতে পারবে এবং তার পানিসীমা নিয়ন্ত্রণ করবে, তার আকাশ সীমা উন্মুক্ত রাখবে যেন সব দেশ চলাচল করতে পারে এবং সবাই যেন আন্তর্জাতিক আইনের বিধান ও রীতিগুলো মেনে চলে।

No comments

Powered by Blogger.